আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।উস্তায, ১/কেউ ঝগড়া করলো  এখন সে যদি আমার কাছে ঝগড়া সময় কে কাকে কি বলল এসব সম্পকে সব ঘটনা বলে অথবা  দুই পক্ষ  এসেই বলে তাহলে আমি শুনলে আমার গুনাহ হবে। আর গুনাহ হলে আমি কি করতে পারি।অনেকে আবার নিজের  কষ্টের কথা বলে তবে সেটা গিবত। এরকম কারো কাছে গিবত শুনলে যার সম্পকে গিবত করে ওনার সম্পর্কে আমার মনে এটা আসে যে ওনি খারাপ। আমি গিবত শুনতে চাই না তবুও মানুষ আমাকে কাছে এসে বলে এক্ষেএে আমি কি করতে পারি?

২/আমি IOM এর ২য় সেমিস্টার এ পড়ি।এখন আমার পড়া গুলো যাতে ভালো করে মনে থাকে তাই যেদিন আমার ক্লাস থাকে না সেদিন আমি ১ম সেমিস্টার এর লাইভ ক্লাস করি মানে আমার নিচের ব্যাচ এর বোনদের ক্লাস এ অংশগ্রহণ করি। এতে আমি শিক্ষক,শিক্ষথী কারো কোনো সমস্যা করি না। এতে আমার গুনাহ হবে??

৩/মাজে মাঝে আমার ভুলে ফরজ ছুটে গেলে আমার নিজের প্রতি  খুব খারাফ লাগে এতো আমি বলি মনে চায় মরে যায়।এ জীবনে দাম আছে! এমন বলি এতে গুনাহ হবে?

৪/শায়েখ আমার জন্য একটু দোয়া করবেন যাতে আমার মনের নেক ইচ্ছা গুলো পুরন হয়

বেশি প্রশ্ন হওয়ায় আফওয়ান শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি বিচারক নন, তাই এই সব ঝগড়া বিবাদ শুনতে যাবেন না। এগুলো গিবত শ্রবণের সমতুল্য হবে। তবে যদি আপনি মীমাংসার জন্য এগিয়ে যান, তাহলে উভয় পক্ষের আলোচনা শুনে মীমাংসা করতে পারবেন।

(২)
আপনি যদি কাউকে ডিস্টার্ব না করেন, তাহলে জয়েন হতে পারবেন।এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের উস্তাদের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণই একান্ত কাম্য।

(৩)
মরে যাবো, এমনটা বলা বা কল্পনা করা যাবে না।হ্যা, নিজেকে দোষারোপ বা তিরস্কার করতে পারবেন।আর তিরস্কার করাই কামিল ঈমানের পরিচায়ক।

(৪)
আল্লাহ আপনার মনের ইচ্ছাকে পূরণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...