ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ . وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالصِّلَةِ أَنْ تَصِلَهُمْ إِنْ وَصَلُوكَ؛ لأَِنَّ هَذَا مُكَافَأَةٌ، بَل أَنْ تَصِلَهُمْ وَإِنْ قَطَعُوكَ . فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ لَيْسَ الْوَاصِل بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِل الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।সিলাহ রেহমির অর্থ এটা নয় যে,কেউ আপনার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করল,আর বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন।কেননা এটার নাম তখন সিলাহ রেহমি না হয়ে মুকাফা'।বরং আত্মীয় কেউ আপনার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করার পরও আপনি তার দিকে উত্তম ব্যবহার নিয়ে অগ্রসর হবেন এটাই হলো মূলত সিলাহ রেহমি।যেমন সহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন রেওয়াতে এসেছে,সিলাহ রেহমি এটা নয় যে,আত্মীয় কারো ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন,বরং সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পরও তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নামই হলো সিলাহ রেহমি।(৩/৮৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1577
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ সমস্ত আত্মীয় যাদের সাথে সম্পর্ক না রাখলে গুনাহ হবে, তারা পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট হবে। উপরের লিংকে বর্ণিত লিখা পড়ে নিলেই বুঝে নিতে সক্ষম হবেন।
আত্মীয় সম্পর্ক রক্ষার্থে তাদের সাথে ফোনে খোজ খবর নিলেই হবে। বাবার আত্মীয় থেকে মায়ের আত্মীয়দের যদি বেশি সাহায্য সহযোগিতা করা হয়,তাহলে সেটা অনুচিত হবে। বরং বাবার আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
(২)
যেই রুমে ছবি থাকে, সেই রুমে নামায পড়া মাকরুহ।
(৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.ওষুধ কোম্পানি ডাক্তারদের যে গিফট দেয়,সেটা নেয়া শর্তের সাথে জায়েয।
২.ওষুধ কোম্পানি থেকে তাদের ওষুধ লেখার জন্য ডাক্তারদের টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা নেওয়া জায়েয হবে না।
৩.যাদের ফার্মেসী আছে তাদেরকে ওষুধ কোম্পানি গিফট দেয়। সেই গিফট গুলো যদি তারা তাদের আত্মীয়দেরকে দেয়; কিংবা ছাত্র শিক্ষককে দেয়, তাহলে সেই গিফটগুলো আত্মীয়-শিক্ষকের নেয়া জায়েজ হবে। সাধারণত কলম-লেখার প্যাড দেয়,সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/594
সুতরাং
ওষুধ কোম্পানিতে স্যাম্পল ওষুধ দেয় ওই ওষুধ বিক্রি করার টাকা হালাল হবে। তবে যদি তাদের ঔষধ বিক্রি বাধ্যতামূলক ভাবে কিছু দেয়, তাহলে তখন সেটা জায়েয হবে না।