ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনার নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে চাওয়া টা ভুল হবে না। তবে স্ত্রীকে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিতে হবে।আপনার মা যাতে অন্যায়ভাবে প্রভাব না খাটায়, সেদিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার স্ত্রীর উচিৎ, শাশুড়ীর পরামর্শ অনুযায়ী ঘরোয়া বিষয়কে ম্যানেজ করা।
(২) স্ত্রীকে আলাদা সংসার না দিলে সে থাকতে ইচ্ছুক না। তাহলে তাকে আপনার বাড়ির পাশে একটি রুম বানিয়ে দিয়ে দিন, আপনি আপনার মায়ের সাথে খাবার খান।প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে খরচাপাতি দিয়ে দিন। এমনটা করলে দেখবেন, বিচারা ধীরে ধীরো ঠিক হয়ে যাবেন।
(৩)সফর দূরত্ব অতিক্রম করে আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা এবং ছোট বোনকে সাথে নিয়ে থাকা জায়েয হবে না।ঢাকা থাকে।এতে সে অবশ্যই অবাধ্য হিসেবে বিবেচিত হবে, গুনাহগার হবে।
(৪) যেহেতু বিয়ের সময় কন্ডিশন ছিলো ৩ বছর পর সংসার শুরু করা।সেক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী এখন বাড়িতে না গেলে গুনাহ হবে না।হ্যা, তিন বৎসর পর উনি আপনার বাড়িতে যাবেন।
(৫) আপনি আপনার সামার্থ্য অনুযায়ী ভরণপোষণ দিবেন। এর চেয়ে বেশী দিতে না পারলে গোনাহ হবে না। আপনার সামর্থ্যর পরিমাণ ন্যায়পরায়ণতার সাথে নির্ধারণ করতে হবে।
(৬) স্বামী-স্ত্রীর সাথে একই বিছানায় তার ছোট বোনকে(৬বছর) রাখা জায়েয হবে না।