বিয়ে সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং পূর্বের প্রশ্নের বর্ধিত অংশ

Question

আমার আগের প্রশ্নে আমি আমার বিয়ে নিয়ে পরিবারের অবস্থা এবং বাবার আচরণ সম্পর্কে জানিয়েছিলাম উস্তায। এরপরে বাবা আবারও এই বেদ্বীন পরিবারে বিয়ের জন্য আমাকে চাপাচাপি করে এবং এক পর্যায়ে এখানে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে মারধর করে। তারপরেও আমি এখানে বিয়ে করতে রাজি হইনি। এই ঘটনার পর থেকে বাবার প্রতি আমার সম্মান অনেক কমে গিয়েছে,কিন্তু তারপরেও আমি তাকে খাবার দিয়ে আসি,দুই একটা কথা বলি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,বাবার এই অন্যায় আচরণের কি বিচার হবেনা? আমি বাবার সাথে আর আগের মত স্বাভাবিক হতে পারছিনা। বাবা আমার মাকেও মারধর করেছে যে মা কেনো আমার পাশে থেকেছে! সেই থেকে মাও আর বাবার সাথে স্বাভাবিক নেই। বাবা আমাদের কারও দিকে তাকায় না,কথা বলেনা,মার সাথে থাকেনা। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে,বাড়িতে কিছুই আর স্বাভাবিক নেই।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এইযে বাবার সাথে আমার আর মার সম্পর্ক যে স্বাভাবিক থাকলো না,এর জন্য আমার কি গুনাহ হচ্ছে? আমি যথাসম্ভব তাও চেষ্টা করি বাবাকে খাবার দিয়ে আসার এবং স্বাভাবিক আচরণ করার। কিন্তু বাবাই আর সে পরিস্থিতি রাখেনি।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

https://www.ifatwa.info/80534 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

পর্দার ব্যাপারে শীতিলতা প্রদর্শনের জন্য পিতার আদেশ নির্দেশকে মান্য করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।সুতরাং আপনি সঠিক কাজই করেছেন।এজন্য বাবা নারাজ হলেও আপনার গোনাহ হবে না। দ্বীনের কাজ করতে গেলে, দ্বীন মেনে চলতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক প্রকার বিপদাপদের সম্মুখীন হতে হবে। তখন ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করতে হবে। এজন্য দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।আমীন।চুম্মা আমীন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنكَرِ وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا أَصَابَكَ ۖ إِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ -

হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।( সূরা লুকমান-১৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

এখনো আপনি আবার বাবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন।বাবাকে খুশী করার যাবতীয় চেষ্টা করুন।বাবার জন্য, বাবার হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকুন। তবে আপনার বিয়ে রিজেক্টের কারণে আপনার গোনাহ হবে না।