আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
331 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১. একই সময়ে অযু শেষ ও আজান শুরু হলে কোনটা আগে করবো? আজানের জবাব না অযুর পরের মাসনুন জিকির?

২. আজানের সময় নফল বা সুন্নতে রত থাকলে নামাজের পরে আজানের জবাব একসাথে দেওয়া হলে উক্ত ফজিলত পাওয়া যাবে?

৩. ইমামের পিছে নামাজ পড়া অবস্থায় ইমাম রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় সামিআল্লাহ..... বলবে আর মুক্তাদী রব্বানা লাকাল হামদ বলবে। ইমাম যখন রুকু থেকে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে তখন কি মুক্তাদী দুয়া পড়বে নাকি চুপ থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অতি দ্রুত অজুর মাসনুন দু'আ শেষ করে আযানের জবাব দিবেন।যদি আপনি দেখেন যে অজুর দু'আ শেষ করার পর আর আযান পাবেন না,তাহলে আপনি এমতাবস্থায় আযানের জবাব দেয়ার পর অজুর দু'আ গুলি পড়ে নিবেন।

আপনি অজু ও আযানের জবাবের মধ্য থেকে যেকোনো একটিকে আগে-পিছ করতে পারেন,তবে এমন পরক্রিয়ায় করবেন,যাতেকরে কোনো একটি ছুটে না যায়।এবং সর্বদা আযানের জবাবকে প্রথমে রাখতে হবে।কেননা আযান শেষ হয়ে গেলে আর জবাব দেয়া যাবে না।তবে অজুর শেষ হওয়ার অনেক পরও অজুর দু'আ পড়া যাবে।

(২)
আযানের জবাব মূলত আযানের সাথে সাথেই দিয়ে দেয়ার নিয়ম।তবে কারো দেড়ী হলে সে কি পরে দিতে  জবাব দিতে পারবে?
এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোথাও কিছু মিলেনি,তবে কিয়াস বলে,সাথে সাথে জবাব দিতে না পারলে আর না দেয়াই নিয়ম।

আযানের জবাবের পদ্ধতি
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عن عمر بن الخطاب قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " إذا قال المؤذن الله أكبر الله أكبر فقال أحدكم الله أكبر الله أكبر ثم قال أشهد أن لا إله إلا الله قال أشهد أن لا إله إلا الله ثم قال أشهد أن محمدا رسول الله قال أشهد أن محمدا رسول الله ثم قال حي على الصلاة قال لا حول ولا قوة إلا بالله ثم قال حي على الفلاح قال لا حول ولا قوة إلا بالله ثم قال الله أكبر الله أكبر قال الله أكبر الله أكبر ثم قال لا إله إلا الله قال لا إله إلا الله من قلبه دخل الجنة "
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি মুয়াজ্জিনের আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার-এর জওয়াবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলে এবং আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর জওয়াবে আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে এবং আশহাদু আন্না মুাহম্মাদার রাসূলুল্লাহ এর জওয়াবে আশহাদু আন্না মুাহম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলে। অতঃপর হাইয়্যা ‘আলাস্-সলাহ-এর জওয়াবে যদি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে। তারপর হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ-এর জওয়াবে যদি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে। তারপর যদি আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার জওয়াবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর জওয়াবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৫)


(৩)
তখন মুক্তাদি চাইলে দু'আ করতে পারে।তবে অন্য কিছু বলা মুস্তাহাব নয়।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 688 views
0 votes
1 answer 99 views
...