জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরজ নামাজের পর দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
এটি বিভিন্ন হাদীস দ্বারা প্রমানিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আবূ উমামাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ : كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنَ الصَّلَاةِ يَقُولُ " لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ، أَهْلُ النِّعْمَةِ وَالْفَضْلِ وَالثَّنَاءِ الْحَسَنِ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ "
আবুয-যুবাইর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণে বলতে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফারয সলাত শেষে বলতেনঃ ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ দীন ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন। আহলুন নি‘আমি ওয়াল ফাদলি, ওয়াস সানায়িল হুসনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ দীন ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন।’’
মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতের পর যিকর করা মুস্তাহাব), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ সালামের পর তাহলীল করা, হাঃ ১৩৩৮)।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ وَرَّادٍ، مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَىُّ شَىْءٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : إِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ فَأَمْلَاهَا الْمُغِيرَةُ عَلَيْهِ وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ " -
মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সালাম ফিরানোর পর কোন দু‘আ পাঠ করতেন তা জানার জন্য মু‘আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহর কাছে পত্র লিখলেন। অতঃপর মুগীরাহ (রাঃ) মু‘আবিয়াহর (রাঃ) নিকট পত্রের জবাব লিখে পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বায়তা ওয়ালা মু‘ত্বি‘আ লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।’
বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সলাতের পর যিকর, হাঃ ৮৪৪), মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতের পর যিকর করা মুস্তাহাব)।
আরো জানুনঃ-
(০২)
এটা সত্য নয়।
তবে দোয়া কবুলের জন্য রিযিক হালাল হতে হবে,আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা,অবৈধ কোনো দোয়া করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
পাঞ্জাবী, পায়জামা,জুব্বা,লুঙ্গি,চাদর রাসুলুল্লাহ সাঃ পরিধান করেছেন। সুতরাং এগুলো সুন্নতি পোশাক।
তবে এর বাইরে যেকোনো পোশাককে ঢালাওভাবে সুন্নাতের খেলাফ বলা যাবেনা।
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের মূলনীতি জানুনঃ
আঁটোসাট যেনো না হয়,ফাসেকদের সাথে যেনো সাদৃশ্য না হয়,উপরোক্ত মূলনীতি সহ এসব শর্ত মেনে যেকোনো পোশাক পরিধান করলেকে সেটি সুন্নাতের খেলাফ বলা যাবেনা। বরং সেটিও সুন্নাত অনুযায়ী হয়েছে বলেই গণ্য হবে।
হ্যাঁ, বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ كَعْبٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ أَنْ تَقُولَ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّه“ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ قَالَ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا فَمَاتَ مِنْ يَوْمِه„ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ.
শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো বান্দার এ দু‘আ পড়া- ‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নি‘য়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা কর।’’
যে ব্যক্তি দিনে (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ ইসতিগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হবার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (প্রথম ভাগে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ দু‘আ পড়ে নেবে আর সে ভোর হবার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে।
[বুখারী শরীফ ৬৩০৬.৬৩২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৫৪,তিরমিযী ৩৩৯৩, নাসায়ী ৫৫২২, আহমাদ ১৭১১১, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ১০১৪, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭১৭২, শু‘আবূল ঈমান ৬৫৮, ইবনু হিব্বান ৯৩৩, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৬২০/৪৮৪, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ২১, সহীহ আত্ তারগীব ৬৫০, সহীহ আল জামি‘ ৩৬৭৪,মিশকাত ২৩৩৫।)