জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুনরায় এসব বিতর এর কাজা আদায় আবশ্যক।
(০২)
নামাজে থাকাকালীন সময়ে যদি আয়নার দিকে চোখ একদম না ফিরানো হয়, বরং নিচের দিকে তাকিয়ে নামাজ আদায় করা হয়; অথবা হঠাৎ চোখ পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি আয়নার দিকে বারবার তাকানো হয়, কিংবা যদি তাকানোর মাধ্যমে কোনোভাবে নামাজের খুশুখুজু (একাগ্রতা ও আল্লাহভীরুতা) নষ্ট হয়ে যায়— তাহলে নামাজ মাকরূহে তানযিহি হবে। কেননা নামাজে খুশু খুজু ধরে রাখা মুস্তাহাব।
(মাকরুহে তানযিহি অর্থাৎ শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে অপছন্দনীয় বিষয় এটি। তবে এতে নামাজ ফাসিদ হবে না।)
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
إنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه و سلم كانَ إِذَا صَلَّى، طَأْطَأَ رَأْسَهُ وَرَمَى بِبَصَرِهِ نَحْوَ الأَرْضِ
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন মাথাটা নিচু করে ঝুঁকিয়ে রাখতেন এবং দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন জমিনের দিকে”।
[মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস নং ১/৪৭৯। ]
অপর এক হাদিসে বর্ণিত,
دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ مَا خَلَفَ بَصَرُهُ مَوْضِعَ سُجُودِهِ حَتَّى خَرَجَ مِنْهَا
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কা‘বা ঘরে প্রবেশ করেন, বের না হওয়া পর্যন্ত তার দৃষ্টি সেজদার স্থান হতে অন্য দিকে ফেরান নি”।
[এ ইমাম হাকেম মুস্তাদরাকে বর্ণনা করেন]
وَكَذَا صَرَّحَ فِي الْأَشْبَاهِ أَنَّ الْخُشُوعَ فِي الصَّلَاةِ مُسْتَحَبٌّ. وَالظَّاهِرُ مِنْ هَذَا أَنَّ الْكَرَاهَةَ هُنَا تَنْزِيهِيَّةٌ فَافْهَمْ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب ما يفسد الصلاة وما يكره فيها-1/654،
সারমর্ম
নিঃসন্দেহে নামাজের মধ্যে খুশু খুজু মুস্তাহাব,তাই এক্ষেত্রে মাকরুহে তানযিহি হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই এই আয়নার সামনে সালাত আদায় করা যাবে।
তবে আয়নার দিকে চোখ একদম ফিরানো যাবেনা, বরং নিচের দিকে তাকিয়ে সালাত আদায় করতে হবে। হঠাৎ আয়নার দিকে চোখ পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে হবে, তাহলে সালাত আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না।