আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম।হুজুর কেমন আচেন।হুজুর আপনার কাছে খুবি বিনিতভাবে অনুরধ করছি আপনি প্রশ্নের উত্তরগুল আশা করি দিবেন।উত্তরগুল পেলে ঝুবি উপকৃত হব। আপনার উপর বেশি আস্থা যে,আপনি সঠিক  উত্তর দেন তাই অন্নের কাছে প্রশ্ন করি না।


প্রশ্ন(১) কোন বেক্তি যদি এমনটি ভাবে যে, তার medecine এর দোকান এক সারিতে অনেকগুলো দোকানের পরে আর চৌরাস্তার মড়ের পর যেখানে অনেক গাড়ি থামায় সেখানে প্রথম দোকানগুলো  customer এর হাতের কাছে হউয়াতে  customer এর সহজলভ্য হয় এজন্য প্রথম দোকানগুলোতে বেশি বিক্রি হয় আর তার দোকান অনেক  শেষে বলে বিক্রি কম হয় এমন্তি যদি ভাবে তাহলে কি কোন শিরকি গনাহ হবে?তবে সেই বেক্তি  যদি  বিশ্বাস করে যে,আল্লাহ যদি চান তাহলে তার দোকানে বিক্রি বেশি হবে।মানুষ আরাম প্রিয়, মানুষকে আল্লাহ সাধিনতা বৈশিষ্ট্য দান করচেন তাই এমনটা হয় এমনটা বিশ্বাস করলে কি কোন শিরকি কিংবা কুফরি গুনাহ হবে কি?

প্রশ্ন(২) পিতামাতা যদি সন্তানের নামে অন্নের কাছে গীবত করে তাহলে সেই সন্তান কি আদবের সাথে মা বাবা কে নসিহত করতে পারে কি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে কি?

প্রশ্ন (৩) একজন ভণ্ড লোক এক মৃতা বেক্তি কে খাটনি করে কবর দেওয়ার জন্য গরস্থানে নিয়ে  যাওয়ার সময় গান বাজনা ও ঢোল বাজায় তাই অপর এক বেক্তি তার এই ভুল ও বিদাতি মতাদর্শ অনুসারী হওয়ার কারন জানতে চাইলে ঐ বিদাতি বেক্তি তখন তার এই অনুসারী হওয়ার যুক্তি বলার আগে এই বলে কথা শুরু  করতিচিল যে," আল্লাহর অলির দরবারে, আল্লাহর নবীর দরবারে, আল্লাহর অলির দরবারে,আল্লহর রাসুলের দরবারে" তার পরে তার এই ভুল মতাদর্শের যুক্তি বর্ণনা করচিলেন। এখন প্রশ্ন হল যে প্রশ্নকারি বেক্তি তার এই ভুল মতাদর্শের কারন জানতে চাওয়ার জন্য যখন প্রশ্ন করছিলেন তখন ঐ বিদাতি বেক্তির বার বার আল্লাহর দরবারে, রাসুলের দরবারে,আল্লাহর অলির দরবারে এই কথাগুল তার শুনতে বিরক্ত লাগতিচিল এবং মনে মনে ভাবতিচিল এত দরবারের নাম কেন বলতিচে, কারন সে   খুবি আগ্রহ ছিল তার সেই ভুল মতাদর্শের  কারন গুলো জানার জন্য।পরে সে ভাবে দেখল সে আল্লাহর নাম, রাসুলের নাম অপচন্দ করে না সে তার ভুল মতাদরশের কারন জানার জন্য খুবি আগ্রহি ছিল তার মূল কথা শুনার জন্য তাই বার বার বিভিন্ন দরবারের নাম নিসচিল তাই তার বিরক্ত লাগচিল।পরে প্রশ্নকারি ভুঝতে পারে এখানেত আল্লাহর নাম ছিল,রাসুলের নাম চিল।প্রথমে সে বুঝতে পারছিল না। এখন এই প্রস্ন কারির এমন বিরক্ত হউয়ার কারনে সে কি কাফের কিংবা মুরতাদ হয়ে গিয়েছে কি? যদি না হয় তার কারণটা দয়া করে জানাবেন।জাজাকাল্লাহ আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুক।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 

শিরকের ব্যপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

বিস্তারিত জানুনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এমনটা বিশ্বাস করলে কোন শিরকি কিংবা কুফরি গুনাহ হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ আদব রক্ষা করে বুঝাতে পারবে।
নসিহত করতে পারবে।
তবে বেয়াদবি করা যাবেনা,উঁচু বাক্য ব্যবহার করা হতে বিরত থাকতে হবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে উক্ত প্রশ্নকারী বিরক্ত হওয়ার কারনে সে কাফের কিংবা মুরতাদ হয়ে যায়নি।

কেননা এক্ষেত্রে সে মহান আল্লাহ তায়ালা, রাসুলুল্লাহ সাঃ কাউকে নিয়েই সে বিষোদগার করেনি, ঘৃণাও করেনি।
বারবার দরবারের নাম উল্লেখ করার কারনেই মূলত সে বিরক্ত হয়েছিলো।

সুতরাং এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর আমি আপনার উওর অনেক স্নতুস্ত।আল্লাহ আপনাকে অনেক মর্যাদা দান করুক।আল্লাহ আপনাকে অনেক বর আলেম করুক।আপ্নাকে জান্নাত দান করুক।হুজুর আমার জন্য দোয়া করবেন।আসসালামু আলাইকুম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...