আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
السلام عليكم و رحمة اللهِ و بركاته

সম্মানিত উস্তায,
আমি একটা বিষয় নিয়ে ভীষণ দ্বিধায় আছি। আমি বুঝতেও পারছি না আমার গোনাহ হচ্ছে কি না। আমার একজন ছেলেকে পছন্দ হয়েছে তার দ্বীনের জন্য। আমার ভাইয়ের সাথে উনার সুসম্পর্কই আছে। আমি উনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি কোনো গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলেন না, তাই আমি উনাকে মেসেজ করতে পারবো না। আবার আমার ভাই এতোটা গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। সে প্রস্তাব দেয়ার ভাষাই খুঁজে পায় না। তাই আমিই একদিন আমার ভাইয়ের আইডি থেকে উনাকে মেসেজ করে প্রস্তাব দিই। তারপর তিনি প্রস্তাব কবুল করেন এবং আমার সম্পর্কে সবকিছু শুনে পছন্দ করেন। (আমার সম্পর্কে যা বলেছি তা সব সত্য, কোনোকিছু বাড়িয়ে বলিনি, মিথ্যা বলিনি, তারপর আমার দ্বীনের বিষয়ে উনারও পছন্দ হয়েছে).. এখন আমার কেবল মনে হচ্ছে এটা কি উনাকে ধোঁকা দেয়া? উনি তো জানলে কথা বলতেন না আমার সাথে। উনার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য আমি এই কাজ করেছি। আবার মাঝে মাঝে মনে হয় এটা ধোঁকা না, আমি তো কেবল কৌশল করেছি, উনাকে ফিতনায় ফেলতে চাইনি এবং নিজেও ফিতনায় পড়তে চাইনি। আমি উনার কোনো ক্ষতি করার জন্য তো এমনটা করিনি। শুধু উনার দ্বীনদারিতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম, আর উনার প্রতি আমার কোনোরূপ ফ্যান্টাসি বা আলাদা কোনো বাজে ফিলিংস ছিলো না। শুধু দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর লোভে আমি এমনটা করেছি। আর বলে রাখি, আমি আমার সকল চ্যাট আবার আমার ভাইকে দেখাতাম যাতে করে আমি ফিতনা সৃষ্টি না করি। গোপনীয় কিছু ছিলো না।
এখন আমার অপরাধবোধ হচ্ছে, উনি বিষয়টা জানলে হয়তো কষ্ট পাবেন, এমনকি ঘৃণাও করতে পারেন আমাকে। এখন আমি কি করবো? আমার কোনো রাস্তা ছিলো না, এদিকে আমার বাবা প্রকৃত দ্বীনদার পাত্রের ব্যাপারে গাফেল। আমি প্রতিনিয়ত ইস্তেগফারও করি। আর ইস্তেখারা করে উনার ব্যাপারে ভালোই ইশারা হয়, খারাপ লাগে না।
১. উস্তায, উনাকে এভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার জন্য কি আমি মারাত্মক গোনাহগার হবো? আমার মনে হয়, আমাদের বিয়ে হয়ে গেলেও এ অপরাধবোধ কাজ করবে আমার মাঝে।
২. নাকি উনাকে বিষয়টা বলতে হবে?
৩. বললে তো উনি আমাকে ঘৃণা করবেন হয়তো! আমার কি করা উচিৎ উস্তায?
৪. আমিও যথাসম্ভব দ্বীন পালনের যুদ্ধ করি। আর আল্লাহর কাছে আশা করি উনার মতো একজন শক্ত দ্বীনদার জীবনসঙ্গী দ্বারা যেন আমার দুনিয়া ও আখিরাত সহজ করেন। এখন বিয়েটা এগুলে কি এগোতে দেয়া উচিৎ?

আমার উদ্দেশ্য একদম খারাপ ছিলো না, আর কোনো রাস্তা না পেয়ে এমন কৌশল অবলম্বন করেছি আমার প্রস্তাব উনার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য। আর স্বাক্ষী রেখেছি কেবল আমার ভাইকে। এখন পরিবার পর্যন্ত গড়াতে পারে ইনশাআল্লাহ। সরাসরি নারীও তো প্রস্তাব দিতেই পারে, কিন্তু ফিতনা না হওয়ার জন্য ভাইয়ের আইডি ব্যবহার করেছিলাম। আর আমি একবার একটা বইয়ে পড়েছিলাম যে খাদীজা রা: রাসূল ﷺ-কে বিয়ে করার ব্যাপারে তার বৃদ্ধ পিতা বা মতান্তরে বৃদ্ধ চাচার থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন চাচাকে/পিতাকে হালকা শরাব খাইয়ে। তখন শরাব হারাম ছিলো না। এটা তিনি কৌশল করেছিলেন যেন তার চাচা/পিতা অমত না করেন। (আল্লাহু আ'লাম) আল্লাহ আমাকে মাফ করুন

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- সহীহ বোখারী-১

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1266

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নেক উদ্দেশ্য ছিল, তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা নারী পুরুষ যে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। তাছাড়া এ সম্পর্কে আপনার ভাইও অবগত ছিলো। সুতরাং এ নিয়ে অনুশোচনার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। এবং পাত্রকে এ সম্পর্কে জানানোরও কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...