আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
512 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুুহ
ওযু করার আগে কোনো দুআ আছে কী? ওযুর নিয়ত কী মনে মনে করলে হবে না দুআ পড়তে হবে? ওযু করার সম্পূর্ন নিয়ম জানতে চাই। আর যেগুলো ভুল নিয়ম সেগুলো ও।

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

অযুর ফরজঃ
★মুখমন্ডল ধোয়া।
★দুই হাত কনূই পর্যন্ত ধোয়া।
★মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা (ভেজা হাত বুলানো)
★দুই পায়ের টাকনু পর্যন্ত ধোয়া। 

কুরআনে বর্নিত আছেঃ 

يا ايها الذين امنوا اذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا وجوهكم و ايديكم الي المرافق وامسحوا بروؤسكم وارجلكم الي الكعبين.....  

“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতের কনূই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথায় মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা আপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রীদের সহিত সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতে মসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদিগকে কষ্ট দিতে চাহেন না; বরং তিনি তোমাদিগকে পবিত্র করিতে চাহেন ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চাহেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।“(সূরা মায়িদা, আয়াত:৬)।
،
অযুর সুন্নাত মুস্তাহাব সমুহঃ 

বিসমিল্লাহ্ বলা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে খিলাল করা।
মেস্ওয়াক করা।
অযুর কাজগুলো তিনবার করে।
অযুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া।
অযুর দুই কাজের মধ্যে দেরি না করা।
অযুর সময় কথা না বলা।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উঁচু  স্থানে অযু করা। ইত্যাদি।  


حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ حُمْرَانَ بْنِ أَبَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ تَوَضَّأَ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ ثَلَاثًا فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلَاثًا، ثُمَّ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ، ثُمَّ غَسَلَ قَدَمَهُ الْيُمْنَى ثَلَاثًا، ثُمَّ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ " مَنْ تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ: غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . - صحيح 

উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-এর মু্ক্তদাস হুমরান ইবনু আবান সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-কে অযু করতে দেখেছি। তিনি প্রথমে উভয় হাতে তিনবার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেন। এরপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন। তারপর ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, বাম হাতও অনুরূপ করলেন। এরপর মাথা মাসাহ্ করলেন। এরপর তিনবার ডান পা ধুলেন, বাম পাও অনুরূপ করলেন। সর্বশেষে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি আমার এই অযুর ন্যায় অযু করতে দেখেছি। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার এই অযুর মত অযু করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করবে, যাতে তার মনে কোনরূপ পার্থিব চিন্তা আসবে না, আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ তিনবার করে উযু করা, হাঃ ১৫৯), মুসলিম (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ উযুর পদ্ধতি ও পূর্ণাঙ্গরূপে উযু করা)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
 
بسم الله الرحمن الرحيم 
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-আমি নামাযের উদ্দেশে পবিত্রতা লাভের উদ্দেশে ও আল্লাহ্’র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে ওযু করিতেছি” বলে প্রথমে দুই হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।

পানি নিয়ে তা মুখে দিয়ে ভাল মত  গড়গড়াইয়া কুলি করতে হবে। এভাবে তিনবার।

ডান হাতে পানি নিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলি,আর কনিষ্ঠাংগুলি দ্বারা নাকের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে। এমনভাবে পানি প্রবেশ করাতে হবে যেন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। এইভাবে পর পর তিনবার করতে হবে।

এবারে মুখমন্ডল অর্থাৎ কপালের উপরে যেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে মাথার চুল গজায় সেখান থেকে নিচের থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান, পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে।পুরুষদের  দাঁড়ি ঘন থাকলে তা খিলাল করতে হবে। যেন দাঁড়ি পরিষ্কার হয় এবং দাড়ি ঘন না  হলে দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছাইতে হবে।

পানি দ্বারা প্রথমে ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ভালভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর একই ভাবে বাম হাতও পরিষ্কার করতে হবে। কারো হাতে আংটি থাকলে ঘুরাইতে হবে আংটির নিচেও যেন পানি প্রবেশ করে।

সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করবে।
এবারে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা কানের ভিতরের অংশ আর বৃদ্ধাংগুলি দ্বারা কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাতের পিছনের অংশ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করতে হবে।

পানি ঢেলে প্রথমে ডান পায়ের টাখনু বা গোঁড়ালি পর্যন্ত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এমনভাবে যেন সমস্ত জায়গা পানি পোঁছে। একই ভাবে বাম পা ধৌত করতে হবে। এভাবে তিনবার।

ওজুর পর কালেমায়ে শাহাদত পড়া।

ওজুর পর বদনায় বেঁচে থাকা পানি থেকে কিছু পানি পান করা।এবং দু'আ পড়াঃ

اللهم اجعلني من التوابين واجعلني من المتطهرين".

উচ্ছাঃ-আল্লাহুম্মা ইজ আলনি মিনাততাওয়াবিনা ওয়াজ আলনি মিনাল মুতাতাহহিরিন।
,
মুসলিম শরীফে আছেঃ

 حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِي فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَىَّ يَقُولُ الَّتِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ " .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ইবনু মাইমূন (রহঃ) ..... উকবাহ ইবনু আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তার এ কথা শুনতে পেলাম, "যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু' রাকাআত সালাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। উকবাহ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলামঃ বাহ! হাদীসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরো উত্তম। আমি সে দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি 'উমার। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দু'আ পড়বে- "আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয় আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"। তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম শরীফ,ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৪)

অযুর শেষে অযুর বাচা পানি পান করা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِقْسَمِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي شَيْبَةُ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَلِيٌّ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، قَالَ دَعَانِي أَبِي عَلِيٌّ بِوَضُوءٍ فَقَرَّبْتُهُ لَهُ فَبَدَأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهُمَا فِي وَضُوئِهِ ثُمَّ مَضْمَضَ ثَلاَثًا وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلاَثًا ثُمَّ الْيُسْرَى كَذَلِكَ ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ مَسْحَةً وَاحِدَةً ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلاَثًا ثُمَّ الْيُسْرَى كَذَلِكَ ثُمَّ قَامَ قَائِمًا فَقَالَ نَاوِلْنِي فَنَاوَلْتُهُ الإِنَاءَ الَّذِي فِيهِ فَضْلُ وَضُوئِهِ فَشَرِبَ مِنْ فَضْلِ وَضُوئِهِ قَائِمًا فَعَجِبْتُ فَلَمَّا رَآنِي قَالَ لاَ تَعْجَبْ فَإِنِّي رَأَيْتُ أَبَاكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ مِثْلَ مَا رَأَيْتَنِي صَنَعْتُ يَقُولُ لِوُضُوئِهِ هَذَا وَشُرْبِ فَضْلِ وَضُوئِهِ قَائِمًا .

ইবরাহীম ইবনু হাসান মিকসামী (রহঃ) ... হুসায়ন ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার পিতা আলী (রাঃ) আমাকে উযূর পানি আনতে বলেন। আমি তাঁর নিকট পানি এনে দিলাম। তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে আরম্ভ করলেন। (প্রথমে) উযূর পানিতে হাত ঢুকাবার পূর্বে হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করলেন। এরপর তিন বার কুলি করেন ও তিন বার নাক ঝাড়েন। তারপর তিন বার মুখমণ্ডল ধৌত করেন এবং ডান হাত তিনবার কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। অনুরূপভাবে বাম হাতে ধৌত করলেন এবং একবার মাথা মাসাহ করেন। তারপর টাখনু পর্যন্ত ডান পা তিনবার এবং অনুরূপভাবে বাম পা ধৌত করেন।

পরে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন এবং বললেন, পানির পাত্রটা (আমার হাতে) দাও। আমি (তাঁর উযূর পর যে পানিটুকু পাত্রে ছিল তা সহ) পাত্রটি তাঁকে দিলাম। তিনি উযূর অবশিষ্ট পানিটুকু দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন। আমি তাঁকে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখে অবাক হলাম। তিনি আমার অবস্থা দেখে বললেনঃ অবাক হয়ো না। তুমি আমাকে যেমন করতে দেখলে, আমিও তোমার নানা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ করতে দেখেছি। আলী (রাঃ) তাঁর এ উযূ (ওজু/অজু/অযু) এবং অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা সম্পর্কে বলছিলেন।

সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ হাঃ ১০৭।

আরো জানুনঃ 
,

কালেমায়ে শাহাদত আসমানের দিকে তাকিয়ারা বলার কথাও এসেছেঃ

,
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ، - وَهُوَ ابْنُ شُرَيْحٍ - عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، عَنِ ابْنِ عَمِّهِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الرِّعَايَةِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ " فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ " . ثُمَّ رَفَعَ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ .

উক্ববাহ ইবনু ‘আমির আল-জুহানী (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে ‘উটশালায়’ কথাটি উল্লেখ করেননি। তিনি তাঁর বর্ণনায় ‘উত্তমরূপে অযু করার পর ‘আকাশের দিকে তাকিয়ে’ (দু‘আ পড়ার কথা) বলেছেন।
আবু দাউদ ১৭০.দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৭১৬), আহমাদ (৪/১৫০)

হুসাইন ইবনু ঈসা ............. উকবা ইবনু আমের আল-জুহানী (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেখানে উটের রাখালী সম্পর্কে যা উক্ত হয়েছে- তা এই হাদীছে উল্লেখ নেই। অতঃপর তাঁর বর্ণনা পরস্পরায় তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে (উপরোক্ত দু’আ পাঠ করে) তবে তার জন্য আটটি জান্নাতের সমস্ত দরজা খুলে যাবে। 
(আবু দাউদ ৩৪৮৭)
,
তব কিছু উলামায়ে কেরামগন এর খেলাফ বলেছেন।  
   
অযুর দোয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...