ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিয়ে করা সুন্নত। যিনা ব্যভিচারের ভয় থাকলে তখন ফরয। বিয়ে করা শরীরের একটি হক।
(২)
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।
মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/50
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সাদাস্রাবের সমস্যায় কেউ মা'যুর হলে তখন তাহাজ্জুদের অজু দ্বারা ফজরের নামায পড়া যাবে না। যদি কারো সাদ্রাস্রাবের সমস্যা কমে আসে, দুই রাকাত নামায পড়ার সমপরিমাণ সময় সাদাস্রাব নির্গত হওয়া থেকে মুক্ত থাকে, তখন আর এক অজু এক নামাযের ওয়াক্তের জন্য যথেষ্ট হবে না।বরং তখন প্রয়োজনে বারংবার অজু করে হলেও নামায পড়তে হবে।
(৩)
কর্তৃপক্ষের নিয়মের উল্টো হলে পারবেন।এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।