বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُولَـٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।(সূরা নিসা-১৭)
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَـٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।(সূরা নিসা-১৮)
صفوة التفاسير (1/ 243):
"{إِنَّمَا التوبة عَلَى الله لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السواء بِجَهَالَةٍ} أي إِنما التوبة التي كتب الله على نفسه قبولها هي توبة من فعل المعصية سفهاً وجهالة مقدَّراً قبح المعصية وسوء عاقبتها ثم ندم وأناب {ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ} أي يتوبون سريعاً قبل مفاجأة الموت {فأولئك يَتُوبُ الله عَلَيْهِمْ} أي يتقبل الله توبتهم {وَكَانَ الله عَلِيماً حَكِيماً} أي عليماً بخلقه حكيماً في شرعه {وَلَيْسَتِ التوبة لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السيئات حتى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الموت قَالَ إِنِّي تُبْتُ الآن} أي وليس قبول التوبة ممن ارتكب المعاصي واستمر عليها حتى إِذا فاجأه الموت تاب وأناب فهذه توبة المضطر وهي غير مقبولة وفي الحديث: «إِن الله يقبل توبة العبد ما لم يغرغر»"
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাওবাহ হল,
অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হওয়া,বর্তমানে ছেড়ে দেওয়া, ভবিষ্যতে উক্ত গোনাহে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করা।
এভাবে অবশ্যই তাওবাহ কবুল হবে। যদি কেউ উপরের বর্ণনামতে তাওবাহ না করে, তাহলে তার উচিৎ, এভাবে তাওবাহ করে নেয়া। গোনাহ করার পর সঠিকভাবে তাওবাহ না করলে, তার নেক আমল করার তৌফিক ছিনিয়ে নেয়া হতে পারে।
অথবা তওবা করার পর যদি কেউ দেখে যে, তার নামাজ পড়ার তৌফিক হচ্ছে না সব ওয়াক্তে, হয়তো এজন্য হতে পারে যে, তাওবা কবুল হয়নি। অথবা ভিন্ন কারণেও হতে পারে। এ সব গাইবের বিষয়।নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাবে না। আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়া হয়নি, কেননা সরাসরি উত্তর হেকমতের খেলাফ ই মনে হচ্ছে।