আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।
ক) ইমাম সালাম ফেরানোর পর মাসবুক ছুটে যাওয়া রাকাতের জন্য দাঁড়ালো। অতঃপর দেখতে পেল, ইমামের ফরজ ছুটে যাওয়ার কারণে পুনরায় জামাত শুরু হচ্ছে। এমতাবস্থায় মাসবুক কি তার সালাত সম্পূর্ণ করে জামাতে শরীক হবে? নাকি সালাত ভেঙে জামাতে শরীক হবে?
খ) ইমাম এক রুকন থেকে অন্য রুকনে যাওয়ার সময় তাকবীর কখন বলবে? সাথে সাথে নাকি একটু পর? যেমন সিজদাহ থেকে কিয়ামের জন্য উঠার সময় মাথা উত্তোলন করার পূর্ব থেকে তাকবীর বলা শুরু করবে? নাকি কিছুদূর উঠার পর?

গ) ইমাম দাঁড়ানো অবস্থা থেকে সিজদায় যাওয়ার সময় একটু দীর্ঘ সময়ের দরকার হয়। এমতাবস্থায় "আল্লাহু আকবার" দীর্ঘ হয়ে "আল্লা......হু আকবার" হয়ে যায়। এতে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (707,880 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 

(ক)
মাসবুক নামাযকে ভঙ্গ করে আবার ইমামের সাথে নামাযে দাড়াবেন।

(খ)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমাম সাহেব রু'কু কিংবা সেজদাতে যাওয়া এবং কওমাহ তথা রু'কু সেজদা থেকে উঠে দাড়ানোর সময় সাথে সাথেই তাকবীর বলবেন।অর্থাৎ যখন রু'কুতে যাওয়ার জন্য মাথা নুয়াইতে শুরু করবেন,তখনই তাকবীর শুরু করে দিবেন।এবং যখন রু'কুতে গিয়ে পিঠ সোজা করবেন,তখন তাকবীরকে শেষ করবেন।এই ভাবে অন্যন্য রুকুনগুলো আদায় করবেন।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله مع الانحطاط) أفاد أن السنة كون ابتداء التكبير عند الخرور وانتهائه عند استواء الظهر، وقيل إنه يكبر قائما، والأول هو الصحيح كما في المضمرات وتمامه في القهستاني
সুন্নত হলো,নামাযী ব্যক্তি(রুকুতে যাওয়ার প্রক্কালে)যখন মাথা নুয়াইতে শুরু করবে, তখন তাকবীর বলা শুরু করবে, আবার যখন রু'কুতে গিয়ে পিঠ সোজা করবে,তখন তাকবীর শেষ করবে।কেউ কেউ বলেন,দাড়ানো অবস্থায় তাকবীর শেষ করে তারপর রু'কু করবে।প্রথম মতটাই বিশুদ্ধ( মুযমামারাত)(রদ্দুল মুহতার-১/৪৯৩)


মুক্তাদি ইমামের অনুসরণ কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে করবে?
والحاصل أن المتابعة في ذاتها ثلاثة أنواع: مقارنة لفعل الإمام مثل أن يقارن إحرامه لإحرام إمامه وركوعه لركوعه وسلامه لسلامه، ويدخل فيها ما لو ركع قبل إمامه ودام حتى أدركه إمامه فيه. ومعاقبة لابتداء فعل إمامه مع المشاركة في باقيه. ومتراخية عنه، فمطلق المتابعة الشامل لهذه الأنواع الثلاثة يكون فرضا في الفرض، وواجبا في الواجب، وسنة في السنة عند عدم المعارض أو عدم لزوم المخالفة كما قدمناه.
মোটকথাঃইমাম সাহেবের অনুসরণ তিনভাবে হতে পারে।(১)ইমাম সাহেবের সাথে সাথেই রুকুন পরিবর্তন করা।(২) ইমাম সাহেবের যৎসামান্য পর রুকুন পরিবর্তন করা।(৩)ইমাম সাহেবের এক রুকুন থেকে পরিপূর্ণরূপে অন্য রুকুনে চলে যাওয়ার পর মুক্তাদির রুকুন পরিবর্তন করা।এই তিন পদ্ধতির সবকটিরই অনুমোদন রয়েছে।রুকুন ফরয হলে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করে রুকুন পরিবর্তন করা ফরয।ওয়াজিব হলে ওয়াজিব।এবং সুন্নত হলে সুন্নত।তবে যে সমস্ত স্থানে ইমামের অনুসরণ না করার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে গুলো ব্যতীত এ বিধান প্রযোজ্য হবে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪৭১)

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/3923

(গ)
ইমাম দাড়ানো অবস্থা থেকে তাকবির শুরু করবেন, এবং সিজদাতে গিয়ে তাকবীর শেষ করবেন।এটাই বিশুদ্ধতম মত।এক্ষত্রে আল্লা------হু বলতে লামে এক আলিফের জায়গায় সর্বোচ্ছ চার আলিফ পর্যন্ত লম্বা করা যাবে।একে মদ্দে তা'যিম (সম্মানার্থে মদ)বলা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...