আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

মহিলাদের মাহরাম ছাড়া সফর দূরত্বে যাওয়া শরীয়ত অনুমোদন করে না।কিন্তু এখন যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য সফর দূরত্ব অতিক্রম করে অনেক দূর দুরান্তে যাচ্ছে,কখনো বা বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে একা একাই।
দু'আ কবুলের একটা সময় হচ্ছে সফর কারীর দুয়া কবুল হয়।শরীয়ত যেহেতু অনুমোদন করে না সেখানে তো এই সফর টা একজন মহিলার গুনাহ হবে বরং। প্রশ্ন:

১/যতক্ষণ জার্নি করা হচ্ছে গুনাহও কি ততক্ষণ ই হতে থাকবে?
২/তারা যে জার্নি টা করছে তখন দু'আ করলে কী সেটা সফরকারীর দু'আ কবুলের সময় হিসেবে গন্য হবে?
৩/সহশিক্ষা হারাম,যারা অন্নেক চেষ্টা করেও বের হতে পারছে না কিন্তু হারামকে হারাম বলেই বিশ্বাস করছে সেটা ভিন্ন কথা,কিন্তু যারা হারাম বলে বিশ্বাস ই করতে চায় না এতে কী ঈমান থাকবে?
৪/বলা হয়েছে,পর্দা করে সহশিক্ষায় যেতে পারলে অনুমতি আছে।সেক্ষেত্রে পর্দার ক্ষেত্রগুলো কিকি হবে একটু বিস্তারিত জানালে ভালোভাবে উপকৃত হতাম।যেমন: কণ্ঠের পর্দা,বাহ্যিক পর্দা এবং আরো কিকি বিষয়ের পর্দা বা সতর্কতা মেইনটেইন করতে হতে পারে?

৫/দ্বীনি কোনো সাবজেক্ট যেমন,তাজউইদ বা আরবি ভাষা এটা শেখার জন্য অনেক কোর্স আছে অনলাইনে।তারপরেও একটু বেশি ভালোভাবে শেখার জন্য কি কোনো পুরুষ উস্তাযের কাছে পড়া ঠিক হবে যেখানে সরাসরি কথা বলতে হয়?নফল পড়াশোনার জন্য।

৬/কণ্ঠের পর্দা কিভাবে করতে হয়?মোটা গলায় কথা বলতে গেলে রুড আচরণ করছি মনে হয়।মনে হয় ধমক দিচ্ছি।এটা কি ঠিক আছে কণ্ঠের পর্দা হিসেবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এক্ষেত্রে যতক্ষণ জার্নি করা হচ্ছে গুনাহও  ততক্ষণ ই হতে থাকবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন-

عن أبى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم  ثلاث دعوات مستجابات لا شك فيهن : دعوةالوالد ، ودعوة المسافر ، ودعوة المظلوم

‘তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়।
১। সন্তানের জন্য পিতার দোয়া।
২। মুসাফিরের দোয়া।
৩। মজলুমের দোয়া। 
[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস:১৫৩৫, সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৩৫০৯]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারা যে জার্নি টা করছে তখন দু'আ করলে যে দোয়া কবুল হবেনা,এমন কথা কোথাও পাইনি।
,
তাই সেটা সফরকারীর দু'আ কবুলের সময় হিসেবে গন্য হবেনা,এমনটি বলা যায়না।
তাই এমতাবস্থায় ইস্তেগফারের পাশাপাশি দোয়া চালিয়ে যাওয়াই উচিত বলে মনে করছি।

(০৩)
তাদেরকে কাফের বলা যাবেনা।

(০৪)
চেহারা,হাত,মুখ সহ পুরো শরীর পর্দা করতে হবে। গায়রে মাহরাম পুরুষ দের সাথে কথা বলা যাবেনা।
প্রয়োজনে কথা বলতে হলে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলতে পারবে।
জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় ও হাসি ঠাট্রা মূলক কথাবার্তা না বলে শুধু যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু কথা বলতে হবে। কম কথায় শেষ করে দিবে।

এক্ষেত্রে কন্ঠের কোমলতা পরিহার করে মোটা কন্ঠে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।

ফিতনা হয়,এমন কথা ও কাজ থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।

ফিতনা হবে,এমন স্থানে যাওয়া যাবেনা,এমন কাজ করা যাবেনা।

সবচেয়ে ভালো হয়,নিয়মিত ক্লাশ না করে পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দেয়া।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

(০৬)
পুরুষ উস্তাদ এর কাছে পড়লে তাকে পড়া শুনাতে হয়,এক্ষেত্রে মূলত আলেমদের মতবিরোধ রয়েছে। 
বিস্তারিত জানুনঃ-  

পুরুষ উস্তাদের কাছে তাজবিদ,কুরআন শিক্ষা করা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই,এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৭)
তবুও যথাসম্ভব মোটা গলায় কথা বলতে হবে।
এক্ষেত্রে মুখের উপর হাতের আঙ্গুল রেখেও কথা বলা যেতে পারে।
তাহলে বিষয়টি অনেকটা সহজ হয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 130 views
...