জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে যতক্ষণ জার্নি করা হচ্ছে গুনাহও ততক্ষণ ই হতে থাকবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন-
عن أبى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاث دعوات مستجابات لا شك فيهن : دعوةالوالد ، ودعوة المسافر ، ودعوة المظلوم
‘তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়।
১। সন্তানের জন্য পিতার দোয়া।
২। মুসাফিরের দোয়া।
৩। মজলুমের দোয়া।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস:১৫৩৫, সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৩৫০৯]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারা যে জার্নি টা করছে তখন দু'আ করলে যে দোয়া কবুল হবেনা,এমন কথা কোথাও পাইনি।
,
তাই সেটা সফরকারীর দু'আ কবুলের সময় হিসেবে গন্য হবেনা,এমনটি বলা যায়না।
তাই এমতাবস্থায় ইস্তেগফারের পাশাপাশি দোয়া চালিয়ে যাওয়াই উচিত বলে মনে করছি।
(০৩)
তাদেরকে কাফের বলা যাবেনা।
(০৪)
চেহারা,হাত,মুখ সহ পুরো শরীর পর্দা করতে হবে। গায়রে মাহরাম পুরুষ দের সাথে কথা বলা যাবেনা।
প্রয়োজনে কথা বলতে হলে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলতে পারবে।
জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় ও হাসি ঠাট্রা মূলক কথাবার্তা না বলে শুধু যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু কথা বলতে হবে। কম কথায় শেষ করে দিবে।
এক্ষেত্রে কন্ঠের কোমলতা পরিহার করে মোটা কন্ঠে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।
ফিতনা হয়,এমন কথা ও কাজ থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।
ফিতনা হবে,এমন স্থানে যাওয়া যাবেনা,এমন কাজ করা যাবেনা।
সবচেয়ে ভালো হয়,নিয়মিত ক্লাশ না করে পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দেয়া।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
(০৬)
পুরুষ উস্তাদ এর কাছে পড়লে তাকে পড়া শুনাতে হয়,এক্ষেত্রে মূলত আলেমদের মতবিরোধ রয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
পুরুষ উস্তাদের কাছে তাজবিদ,কুরআন শিক্ষা করা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই,এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৭)
তবুও যথাসম্ভব মোটা গলায় কথা বলতে হবে।
এক্ষেত্রে মুখের উপর হাতের আঙ্গুল রেখেও কথা বলা যেতে পারে।
তাহলে বিষয়টি অনেকটা সহজ হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}