আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)

https://ifatwa.info/80827 - এখানে আমি যে প্রশ্নগুলো করেছি সেগুলো ওয়াসাওয়াসার ভিত্তিতে নয়। জানার জন্য করেছি। যেহেতু ওখানে উত্তর দেননি প্লিজ এখানে উত্তর দিন।

 

[ উক্ত লিংকে করা প্রশ্ন নিম্নরূপ ঃ

পবিত্রতা সম্পর্কিত ঃ

১. যদি স্বপ্নদোষের কারণে বীর্য বিছানায় লেগে যায়, আর সেই বিছানা কিছুক্ষণ পর শুকিয়েও যায়। এরপর যদি ভিজা হাতে ঐ বিছানা স্পর্শ করা হয় তবে হাত নাপাক হবে কি?

২. একই কথা অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও কি হবে? মানে অন্যান্য জিনিসের গায়ে প্রথমে নাপাকি লাগলে এবং পরে তা শুকিয়ে গেলে সেই জিনিসটা যদি ভিজা হাতে ধরা হয় তবে হাত কি নাপাক হবে?

৩. মুখে নাপাকি চলে গেলে শুধু থুতু ফেলা কি ঠিক হবে? নাকি সম্পূর্ণ কুলি করতে হবে?

৪. নাপাকি মুখে গেলে তা খাওয়া কি হারাম হবে? আর কতটুকু নাপাকি মুখে গেলে তা হারাম হবে? অল্প একটু নাকি অনেক বেশি?

৫. কোন কোন জিনিস নাপাক? থুতু কি নাপাক? সর্দি? এগুলো জামায় লাগলে কি জামা ধুয়ে ফেলতে হবে? তিনবার ধুতে হবে?

৬. ধরেন হাতে নাপাকি লাগল। তখন হাত কি সাবান দিয়ে ধুতে হবে নাকি তিনবার ধুতে হবে? নাকি দুইটার একভাবে করলেই হবে?

নামাজ সম্পর্কিত ঃ

৭. নামাজের শেষ বৈঠকে যদি শুধু তাশাহুদ পড়ি, দরুদ আর দোয়া মাসুরা না পড়ি তাহলে কি নামাজ শুদ্ধ হবে?

৮. নামাজে অন্য চিন্তা আসলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৯. প্রবাসীর দিগন্ত ওয়েবসাইটে মাগরিবের নামাজের শেষ সময় ৭ঃ০৫ মিনিট দেওয়া। এখন -

(i) ৭ঃ০৫ এর পরে মাগরিবের ফরজ নামাজ পড়া যাবে কি? নাকি কাযা এর নিয়ত করব?

(ii) ৭ঃ০৫ এর পরে মাগরিবের সুন্নত নামাজ পড়ব কি? মানে যদি ৭ঃ০৫ এর আগেই ফরজ নামাজ শেষ হয়ে যায়; শুধু সুন্নতের নামাজ বাকি থাকে, তাহলে সেই সুন্নত নামাজ ৭ঃ০৫ এর পর পড়া যাবে কি না?

(iii) ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ পড়া কি সুন্নত? নাকি না পড়লেও হবে?

১০. ফরজ গোসলের সময় তিনবার গড়গড়া করতে হয় নাকি একবার করলেই হয়? নাকে পানিও কি একবার দিলেই হবে? ]

by (13 points)

প্লিজ ওয়াসওয়াসা ভাববেন না দয়া করে উত্তর দিন।

1 Answer

+2 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের কারও হায়েয হলে, পাক হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।
(বুখারী হা/ ৩০৮ ; ইবনে মাজাহ হা/ ৬৩০)

عن أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ قالتُ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يَكُونُ فِي الثَّوْبِ قَالَ: حُكِّيهِ بِضِلْعٍ، وَاغْسِلِيهِ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ

উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে হায়েযের রক্ত কাপড়ে লাগলে কি করতে হবে তা জিজ্ঞেস করি। তিনি (ﷺ) বলেন: প্রথমে এক খণ্ড কাঠ দিয়ে তা খুঁচবে অতঃপর কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে ধৌত করবে।
(আবূ দাউদ হা/ ৩৬৩; নাসাঈ ১/১৯৫; ইবনে মাজাহ হা/ ৬২৮)

وَإِزَالَتُهَا إنْ كَانَتْ مَرْئِيَّةً بِإِزَالَةِ عَيْنِهَا وَأَثَرِهَا إنْ كَانَتْ شَيْئًا يَزُولُ أَثَرُهُ وَلَا يُعْتَبَرُ فِيهِ الْعَدَدُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ فَلَوْ زَالَتْ عَيْنُهَا بِمَرَّةٍ اكْتَفَى بِهَا وَلَوْ لَمْتَزُلْ بِثَلَاثَةٍ تُغْسَلُ إلَى أَنْ تَزُولَ، كَذَا فِي السِّرَاجِيَّةِ. . . . . وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ مَرْئِيَّةٍ يَغْسِلُهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُشْتَرَطُ الْعَصْرُ فِي كُلِّ مَرَّةٍ فِيمَا يَنْعَصِرُ وَيُبَالِغُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ حَتَّى لَوْ عَصَرَ بَعْدَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ وَيُعْتَبَرُ فِي كُلِّ شَخْصٍ قُوَّتُهُ وَفِي غَيْرِ رِوَايَةِ الْأُصُولِ يَكْتَفِي بِالْعَصْرِ مَرَّةً وَهُوَ أَرْفَقُ. كَذَا فِي الْكَافِي وَفِي النَّوَازِلِ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة وَالْأَوَّلُ أَحْوَطُ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الْبَابُ السَّابِعُ فِي النَّجَاسَةِ وَأَحْكَامِهَا وَفِيهِ ثَلَاثَةُ فُصُولٍ، الْفَصْلُ الْأَوَّلُ فِي تَطْهِيرِ الْأَنْجَاسِ-1/42

কাপড়ে নাপাক লাগার পর যদি উক্ত নাপাক শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে হাত বা কাপড় লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকানোর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নাপাক লেগে শুকিয়ে যাওয়া কাপড় নিংড়ালে কোন কিছু বের হয় না। অর্থাৎ কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে যে কাপড় শুকিয়ে যাওয়া নাপাকে লেগেছে সে কাপড় ও স্থান নাপাক হয় না। সুতরাং পেশাব শুকিয়ে গেলে উক্ত স্থানে হাত লাগার দ্বারা হাতে নাপাকীর চিহ্ন না দেখা যায়, তাহলে হাত বা কাপড় নাপাক হবে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি স্বপ্নদোষের কারণে বীর্য বিছানায় লেগে যায়, আর সেই বিছানা কিছুক্ষণ পর শুকিয়েও যায়। এরপর যদি ভিজা হাতে ঐ বিছানা স্পর্শ করা হয়,সেক্ষেত্রে হাতে বীর্যের চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে হাত নাপাক হবেনা।

হাতে বীর্যের চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।

(০২)
অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে।

(০৩)
শুধু থুথু ফেলাই যথেষ্ট। 
তবে এই পরিমান থুথু ফেলতে হবে,যাতে নাপাকি দূর হওয়া সম্পর্কে প্রবল ধারণা হয়।

তা কুলি করাই সবচেয়ে ভালো।

(০৪)
অল্প হোক বা বেশি হোক,সর্বছুরতেই সেটি খাওয়া হারাম হবে।

(০৫)
এগুলোর কোনোটিই নাপাক নয়।

(০৬)
দুইটার একভাবে করলেই হবে।

হাত এমন ভাবে ধোয়া জরুরী, যাতে সেখান হতে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে প্রবল ধারণা হয়। এক্ষেত্রে একবার ধোয়াও যথেষ্ট। 

(০৭)
তাহলেও নামাজ শুদ্ধ হবে।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা। 
তবে এটি সুন্নাতের খেলাফ হবে।

(০৮)
না,এক্ষেত্রে সাহু সেজদা আবশ্যক হবেনা।

(০৯)
(¡)
(¡¡)
বর্তমান বাংলাদেশের কোথাও এই সময়ে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়না।
বরং আরো প্রায় এক ঘন্টার মতো মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে।

সুতরাং এ সময়ে মাগরিবের ফরজ সুন্নাত সবই পড়া যাবে। কোনোটিই কাজা পড়তে হবেনা।

(¡¡¡)
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের বিধান নেই।
তবে ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে সেক্ষেত্রে সেই দিন ইশরাকের ওয়াক্ত হতে জোহরের ওয়াক্ত আসার আগে আদায় করা যায়।

(১০)
একবারই যথেষ্ট। 
তবে তিনবার করা সুন্নাত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
+1
জাজাকাল্লাহু খাইরান। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...