জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের কারও হায়েয হলে, পাক হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।
(বুখারী হা/ ৩০৮ ; ইবনে মাজাহ হা/ ৬৩০)
عن أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ قالتُ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يَكُونُ فِي الثَّوْبِ قَالَ: حُكِّيهِ بِضِلْعٍ، وَاغْسِلِيهِ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ
উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে হায়েযের রক্ত কাপড়ে লাগলে কি করতে হবে তা জিজ্ঞেস করি। তিনি (ﷺ) বলেন: প্রথমে এক খণ্ড কাঠ দিয়ে তা খুঁচবে অতঃপর কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে ধৌত করবে।
(আবূ দাউদ হা/ ৩৬৩; নাসাঈ ১/১৯৫; ইবনে মাজাহ হা/ ৬২৮)
وَإِزَالَتُهَا إنْ كَانَتْ مَرْئِيَّةً بِإِزَالَةِ عَيْنِهَا وَأَثَرِهَا إنْ كَانَتْ شَيْئًا يَزُولُ أَثَرُهُ وَلَا يُعْتَبَرُ فِيهِ الْعَدَدُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ فَلَوْ زَالَتْ عَيْنُهَا بِمَرَّةٍ اكْتَفَى بِهَا وَلَوْ لَمْتَزُلْ بِثَلَاثَةٍ تُغْسَلُ إلَى أَنْ تَزُولَ، كَذَا فِي السِّرَاجِيَّةِ. . . . . وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ مَرْئِيَّةٍ يَغْسِلُهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُشْتَرَطُ الْعَصْرُ فِي كُلِّ مَرَّةٍ فِيمَا يَنْعَصِرُ وَيُبَالِغُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ حَتَّى لَوْ عَصَرَ بَعْدَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ وَيُعْتَبَرُ فِي كُلِّ شَخْصٍ قُوَّتُهُ وَفِي غَيْرِ رِوَايَةِ الْأُصُولِ يَكْتَفِي بِالْعَصْرِ مَرَّةً وَهُوَ أَرْفَقُ. كَذَا فِي الْكَافِي وَفِي النَّوَازِلِ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة وَالْأَوَّلُ أَحْوَطُ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الْبَابُ السَّابِعُ فِي النَّجَاسَةِ وَأَحْكَامِهَا وَفِيهِ ثَلَاثَةُ فُصُولٍ، الْفَصْلُ الْأَوَّلُ فِي تَطْهِيرِ الْأَنْجَاسِ-1/42
কাপড়ে নাপাক লাগার পর যদি উক্ত নাপাক শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে হাত বা কাপড় লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকানোর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নাপাক লেগে শুকিয়ে যাওয়া কাপড় নিংড়ালে কোন কিছু বের হয় না। অর্থাৎ কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে যে কাপড় শুকিয়ে যাওয়া নাপাকে লেগেছে সে কাপড় ও স্থান নাপাক হয় না। সুতরাং পেশাব শুকিয়ে গেলে উক্ত স্থানে হাত লাগার দ্বারা হাতে নাপাকীর চিহ্ন না দেখা যায়, তাহলে হাত বা কাপড় নাপাক হবে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি স্বপ্নদোষের কারণে বীর্য বিছানায় লেগে যায়, আর সেই বিছানা কিছুক্ষণ পর শুকিয়েও যায়। এরপর যদি ভিজা হাতে ঐ বিছানা স্পর্শ করা হয়,সেক্ষেত্রে হাতে বীর্যের চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে হাত নাপাক হবেনা।
হাতে বীর্যের চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।
(০২)
অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে।
(০৩)
শুধু থুথু ফেলাই যথেষ্ট।
তবে এই পরিমান থুথু ফেলতে হবে,যাতে নাপাকি দূর হওয়া সম্পর্কে প্রবল ধারণা হয়।
তা কুলি করাই সবচেয়ে ভালো।
(০৪)
অল্প হোক বা বেশি হোক,সর্বছুরতেই সেটি খাওয়া হারাম হবে।
(০৫)
এগুলোর কোনোটিই নাপাক নয়।
(০৬)
দুইটার একভাবে করলেই হবে।
হাত এমন ভাবে ধোয়া জরুরী, যাতে সেখান হতে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে প্রবল ধারণা হয়। এক্ষেত্রে একবার ধোয়াও যথেষ্ট।
(০৭)
তাহলেও নামাজ শুদ্ধ হবে।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা।
তবে এটি সুন্নাতের খেলাফ হবে।
(০৮)
না,এক্ষেত্রে সাহু সেজদা আবশ্যক হবেনা।
(০৯)
(¡)
(¡¡)
বর্তমান বাংলাদেশের কোথাও এই সময়ে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়না।
বরং আরো প্রায় এক ঘন্টার মতো মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে।
সুতরাং এ সময়ে মাগরিবের ফরজ সুন্নাত সবই পড়া যাবে। কোনোটিই কাজা পড়তে হবেনা।
(¡¡¡)
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের বিধান নেই।
তবে ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে সেক্ষেত্রে সেই দিন ইশরাকের ওয়াক্ত হতে জোহরের ওয়াক্ত আসার আগে আদায় করা যায়।
(১০)
একবারই যথেষ্ট।
তবে তিনবার করা সুন্নাত।