ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) না জেনে কেউ যদি কোন মুসলমানকে তথা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে যে - তার বা তাদের আল্লাহর উপর বিশ্বাস নাই। তাহলে ঈমানে কোন সমস্যা হবে না।তবে এমন কথা কখনো বলা জায়েয হবে না।কেননা অন্তরের খবর আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউই জানেনা।
(২)
পানীয় র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।যথা-
(১)মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
(২)তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
(৩)নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।
(৪)নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোমল পানি সম্পর্কে ঢালাওভাবে হারাম বলা যাবে না।তবে এই বলার দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।