আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
১। না জেনে কেউ যদি কোন মুসলমানকে তথা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে যে - তার বা তাদের আল্লাহর উপর বিশ্বাস নাই। তাহলে কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে?
২। কোমল পানি সম্পর্কে কেউ যদি বলে যে এগুলো হালাল নয় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) না জেনে কেউ যদি কোন মুসলমানকে তথা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে যে - তার বা তাদের আল্লাহর উপর বিশ্বাস নাই। তাহলে ঈমানে কোন সমস্যা হবে না।তবে এমন কথা কখনো বলা জায়েয হবে না।কেননা অন্তরের খবর আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউই জানেনা।

(২)
পানীয় র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।যথা-
(১)মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
(২)তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
(৩)নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।
(৪)নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/165


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোমল পানি সম্পর্কে ঢালাওভাবে হারাম বলা যাবে না।তবে এই বলার দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (676,170 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...