بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মদ ও ব্যক্তি মাতাল হয়,
এমন বস্তু খাওয়া হারাম। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা
থাকলে রাষ্ট্র নিযুক্ত বিচারকের সামনে তা প্রমাণিত হলে,
তার নির্দেশে আশি বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রয়োগ
করা হতো। মৃত্যুর
আগে তওবা না করলে, আখেরাতে
কঠিন শাস্তি হবে।
আর বিড়ি সিগারেট যেহেতু ব্যক্তিকে
মাতাল করে না। আর তা মাতাল হবার জন্য খাওয়া হয় না। সেই সাথে এতে এমন কোন পরিমাণ বস্তুও
নেই যে, যা
সেবন করলে ব্যক্তি মাতাল হয়ে পড়বে। তাই সিগারেট খাওয়া হারাম নয়। বরং তা মাকরূহ।দুর্গন্ধ এবং ক্ষতিকর
হবার কারণে।
يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ
رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٥:٩٠
হে মুমিনগণ,এই যে মদ,জুয়া,প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য
বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো
থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। [সূরা মায়িদা-৯০]
عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، قَالَ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ، قَالَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ، وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
প্রতিটি মাতাল করে দেয়া বস্তুই মদ। আর
প্রতিটি মদই হারাম। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৩, ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৩৯০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৮৩০]
عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِرَجُلٍ
قَدْ شَرِبَ الْخَمْرَ، فَجَلَدَهُ بِجَرِيدَتَيْنِ نَحْوَ أَرْبَعِينَ»، قَالَ:
وَفَعَلَهُ أَبُو بَكْرٍ، فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ اسْتَشَارَ النَّاسَ، فَقَالَ
عَبْدُ الرَّحْمَنِ: أَخَفَّ الْحُدُودِ ثَمَانِينَ، «فَأَمَرَ بِهِ عُمَرُ»،
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে
বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে মাদ পান করা এক ব্যক্তি
আসল। তখন তাকে খেজুর গাছের দু’টি ডাল দিয়ে চল্লিশ বেত্রাঘাত করা হয়।[এক বেতে চল্লিশ
হলে, দুই
বেতের দ্বারা হচ্ছে আশি] একই পদ্ধতিতে আবু বকর রাঃ ও এ অপরাধের শাস্তি দিতেন। তারপর
যখন হযরত উমর রাঃ এর সময় আসল। তিনি লোকদের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করলেন। তখন আব্দুর
রহমান পরামর্শ দিলেন যে, কমপক্ষে
আশি বেত্রাঘাত। [দুই ডাল একসাথে নয়, বরং আলাদা করে আশিটি] তখন হযরত উমর রাঃ আশিটি বেত্রাঘাতের
হুকুম দিলেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং-১৭০৬]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
গাঁজা সেবন করা যেমন হারাম ঠিক তেনি ভাবে গাঁজা থেকে তৈরীকৃত
খাবার খাওয়াও হারাম। কেননা, যে দ্রব্যই মানুষের বিবেক-বুদ্ধি আচ্ছন্ন করে,
অনুভূতি ও বিচার-বুদ্ধি,
বোধশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ শক্তি হরণ
বা কোন রূপ প্রভাবিত করে, তাই
খামর বা মাদকদ্রব্য নামে অভিহিত। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ সে জিনিসকেই চিরদিনের তরে হারাম করেছেন। আর বলা বাহুল্য যে,
গাঁজা, আফিম, কোকেন, প্রভৃতি এই পর্যায়েরই জিনিস।