বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নবীর উপর কেউ দুরুদ পড়লে, তার নাম ঠিকানা সহ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট পেশ করা হয়।
তবে এছাড়া অন্যান্য আ'মল সম্পর্কে বিশেষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
হ্যা ইমাম বাযযার রাহ ইবনে মাসউদ থেকে একটি বর্ণনা নকল করেন যে,উম্মতের সকল প্রকার আ'মল নবীজীর নিকট পেশ করা হয়।(মসনদে বাযযার-৫/৩০৮)
(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রিয় উম্মতের সকল প্রকার কল্যাণের নিমিত্তে দু'আ করে গেছেন।বিশেষকরে উম্মতকে ক্ষমা করার জন্য।
(৩)
প্রিয় নাবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ তায়াল কিছুই সৃষ্টি করতেন না,এটি হাদীস নয়।
সিলসিলাতুয-যইফাহ-২৮২,মাজমুউল ফাতাওয়া-১১/৮৬
(৪)
রাসূলুল্লাহ সাঃ সর্বদাই নিজ ঘরে সুন্নত পড়তেন।
হযরত আয়েশা রাযি এর বর্ণনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিশেষ জরুরত ব্যতীত সুন্নত এবং নফল নামাযকে ঘরেই আদায় করতেন।
عن عبد الله بن شقيق قال سألت عائشة عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم عن تطوعه فقالت كان يصلي في بيتي قبل الظهر أربعا ثم يخرج فيصلي بالناس ثم يدخل فيصلي ركعتين وكان يصلي بالناس المغرب ثم يدخل فيصلي ركعتين ويصلي بالناس العشاء ويدخل بيتي فيصلي ركعتين وكان يصلي من الليل تسع ركعات فيهن الوتر وكان يصلي ليلا طويلا قائما وليلا طويلا قاعدا وكان إذا قرأ وهو قائم ركع وسجد وهو قائم وإذا قرأ قاعدا ركع وسجد وهو قاعد وكان إذا طلع الفجر صلى ركعتين .رواه مسلم ( 730
এজন্য ইমাম নববী আল-মিনহাজ কিতাবে ঘরে সুন্নত পড়াকে মুস্তাহাব বলে থাকেন।
(৫)
আযানের জবাব দেয়ার পাশাপাশি সময়ের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তাসবিহ জপা যাবে।তবে এসময়ে তাসবিহ না জপে আযানের প্রত্যেকটা কালেমাকে মনোযোগ সাহকারে শ্রবণ করা এবং অর্থের দিকে লক্ষ্য করাই উচিৎ।যাতেকরে মহান রবের দিকে আহবান কারী প্রত্যেকটা কালেমাকে গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করা যায়।
(৬)
ওযু করার সময়ে প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।তবে কথা না বলে অজুর দু'আ সমূহ পড়া মুস্তাহাব।অযথা কথা বলা মাকরুহে তানযিহি।
ওযুর সময়ে অজুর মুস্তাহাব হল,অজুর দু'আ পড়া।এবং আযানের সময় অজুতে না বসা।আযানের পূর্বে অজু করে নেয়া বা আযান শেষ হওয়ার পর অজু করা।যদি কেউ অজুতে থাকাবস্থায় আযান হয়ে যায়,তাহলে সে যেন অজুকে বন্ধ রেখে প্রথমে আযানের জবাব দেয়,অতঃপর অজুকে সমপ্ত করে।
(৭)অজুর দু'আ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
(৮)
বাড়িতে কুরবানীর গরুর হাড় ঝুলিয়ে রাখলে খারাপ জিন দূরে থাকবে, এমনটা বিশ্বাস করা কুসংস্কার ও শির্কি আকাদা
(৯)
স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলে রাখাও না জায়েজ ও হারাম।
(১০)
তেলাওয়াতের পূর্বে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সুন্নত।
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....ل
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)
বিভিন্ন সূরা থেকে কিছু কিছু আয়াত তিলাওয়াতের সময়ে ফুকাহায়ে কেরামের কিছু সংখ্যক বলেন যে, আউযুবিল্লাহ পড়ে নেয়া উত্তম।যদি ধারাবাহিক আয়াতসমূহের মধ্য অর্থগত অমিল থাকে,এবং সাথে বিসমিল্লাহ পড়ে নেয়াই উত্তম।
আর অর্থগত মিল না থাকলে,আউযুবিল্লাহ না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।
(১১) বোন বলে ডাকা উচিৎ
(১২)
আববিতি,আমরা যাদের উত্তরসূরী।