ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
”إذا أصابت النجاسة البدن یطہر بالغسل ثلاث مرات متوالیات لأن العصر متعذرة فقامت التوالي في الغسل مقام العصر“ (المحیط البرہاني: ۱/۳۸۱)
যদি শরীরে নাজাসত লাগে,তাহলে তিনবার ধারাবাহিক ধৌত করার দ্বারা শরীর পবিত্র হয়ে যাবে। কেননা শরীরকে নিংড়ানো তো অসম্ভব। শরীরের ক্ষেত্রে ধারাবারিক ধৌত করা নিংড়ানোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে। (আল- মুহিতুল বুরহানি- ১/৩৮১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তেল ব্যবহার করার পর যদি ইস্তিঞ্জা করার সময় পায়ে ছিটা ফোটা লাগে। তখন সেটাতে শুধুমাত্র তিনবার ধারাবারিক পানি ঢেলে দিলেই হবে।পা পবিত্র হয়ে যাবে।
(২) অজুর সময় অল্প পানি নিয়ে ঢলে ঢলে একটা অঙ্গ ধৌত করা যায়। হ্যা, ফরজ গোসলেও এমনটা করা যাবে।