আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
জৈনিক বক্তা বেশ কিছু দাবি করেছে হাদিস নিয়ে। তিনি নিজেকে হাদিস অস্বীকারকারী মানেন না। তবে তিনি সুক্ষ ভাবে হাদিসঃ অস্বীকার করেন। যেমন কুরআনের সাথে যেই হাদিস সাংঘর্ষিক সেই হাদিস তার মতে বাদ। কিন্তু তিনি সঠিক হাদিসকেও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক দেখায়। আল্লাহ্‌ ক্ষমা করুন। তার একটি প্রশ্নের উত্তর দরকার। একটু বিস্তারিত হতে ভালো হয় যেন উত্তর থেকে পাল্টা প্রশ্ন করার আর কোন অবকাশ না থাকে।
কবর নিয়ে তার দাবি সমূহ,

.
১) আল্লাহ'তালা কুরআনের কয়েক স্থানে বলেছেন তিনি মানুষদের ২বার মৃতুয় ও দুইবার জীবন দিয়েছেন। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে আমরা শুরুতে মৃত ছিলাম, আল্লাহ জীবন দিলেন। এর পরে আমরা মারা যাবো এবং হাশরের ময়দানে আবার জীবিত করা হবে। এই হচ্ছেই ২ মৃত্যু ও ২ জীবন। --কিন্তু হাদিসে বলা হচ্ছে কবরে মানুষকে জীবিত করা হবে। বা সোয়াল জবাব করা হবে। এটা করা হলে জীবন ও মৃত্যু ৩ টা হচ্ছে তাই কুরআন এর সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তাই কবরের আজাব নিয়ে সকল হাদিস মিথ্যা। কুরআনের সাথে কিছু যোগ ও বিয়োগ হারাম, কবরের আজাবের কথা বললে যোগ বিয়োগ হয়।
(আমি একজনকে উত্তরে বলেছিলাম যে, কোন হাদিসে বলে হয়নি পৃথিবীর জীবনের মত জীবন কবরে থাকবে। যেমন শহিদ দের জীবন।)

.
২) কুরআনে কবর বলতে ইল্লিন সিজ্জিন বোঝানোয় হয়েছে, আত্মার শাস্তি হবে, দেহের শাস্তি হবে না। দেশে শাস্তি হতে হলে জীবন দিতে হবে। তাই দেহে শাস্তি হবে না। দেহ পচে গলে যায়, পচা গলা শরীরে রুহ কিভাবে ফিট করবে। তাই এই বিষয় হাদিস মিথ্যা।

.
৩) কবর যদি শাস্তি হবে , কাফেরদের তো কবর হয় না, হিন্দুদের কবর হয় না। তাহলে তাদের শাস্তি হবেনা। কাফের হিদু হাতে তালি দিবে ও খুশি হবে যে তাদের কবরের শাস্তি নেই। এটাই নাকি আরেকটা কারন কবরের আজাম মিথ্যা। এই বিষয়ের হাদিস বানানো।

.
৪) মুনকার নাকিব মিথ্যা। তাদের কে যদি কবরে এসেই জিজ্ঞাসা করতে হয়, তাহলে যার লাস পোষ্ট মডেমে, বা আগুনে পূরে গেছে বা সমুদ্রে, মহা আকাশে, তাদের তো কবর হয়নি, তাদের কাছে মুনকার নাকিব কিভাবে আসবে?
.

৫) তার দাবি হুর হচ্ছে খুবি গুরুত্ত পূর্ন বিষয়, এটাকে অরক্ষিত স্থানে রাখা যায় না। এটাকে সুরক্ষিত স্থানে রাখতে হয়। কবর হচ্ছে অরক্ষিত স্থান, অরক্ষিত স্থানে সুরক্ষিত রুহ রাখা যাবে না। 

(যদিও তিনি এই করার কোন দলীল দেয় নাই)

.
৬) ১৮ মাস পর পর কবর ভেঙে নতুন কব্র দেওয়া হয় তাই কবরের আজাম মিথ্যা।
.

৭) মানুষের বডি ও আত্মা এর সাথে গারির বডি ও ইঞ্জিনের উদাহরণ। যেহেতু গারীর ইঞ্জিন ফিট করতে হলে সুরক্ষিত বডি লাগবে, সেহেতু মানুষের বডিতে রুহ দিতে হবে বডি ফিট লাগবে (নাহলে আল্লাহ্‌র রুহ দিতে পারবেন না, পচে চাওয়া শরীরে রুহ দিতে অক্ষম নাউজুবুল্লাহ)

.
৮) কবরে কি মৃতের রুহ নফস কেয়ামত পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হবে নাকি উঠিয়ে নিবে? উঠিয়ে নিলে কয় মাস পরে? তাহলে কি কবরে আবার জান কবজ করতে হবে ?
.
অনুগ্রহ করে বিস্তারি উত্তর দিবে। আপনার প্রশ্নের উত্তর অনেকের হেদায়াতের কারন হতে পারে। সরাসরি এই উত্তরে লিংক আমি শেয়ার করবো অনেক স্থানে।
--(আরো কিছু টপিক প্রশ্ন আছে, সামনে করবো ইন-শা-আল্লাহ)

1 Answer

+1 vote
by (684,760 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

کَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ کُنۡتُمۡ اَمۡوَاتًا فَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۸﴾

তোমরা কিভাবে আল্লাহর সাথে কুফরী করছ? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুনরায় জীবিত করবেন, তারপর তারই দিকে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
(সুরা বাকারা ২৮)

قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَہَلۡ اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ﴿۱۱﴾ 

তারা বলবে, হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি?
(সুরা আল মু'মিন ১১)

অধিকাংশ মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রথম মৃত্যু হল সেই বীর্য, যা পিতার পৃষ্ঠদেশে থাকে। অর্থাৎ, অস্তিত্বের পূর্বে তার অস্তিত্বহীনতাকে মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মৃত্যু হল ঐ মৃত্যু, যা মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করার পর বরণ করে এবং যার পর সে কবরে দাফন হয়। আর দু'টি জীবন বলতে, একটি হল এই পার্থিব জীবন, যার আরম্ভ হয় জন্ম থেকে এবং শেষ হয় মৃত্যুর উপর। আর দ্বিতীয় জীবন হল, সেই জীবন, যা কিয়ামতের দিন কবর থেকে ওঠার পর লাভ করবে। এই দু'টি মৃত্যু ও দু'টি জীবনের উল্লেখ সূরা বাক্বারার ২;২৮ ﴿ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ﴾ আয়াতেও করা হয়েছে,যাহা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।


https://www.ifatwa.info/39833/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 

 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " الْمَيِّتُ تَحْضُرُهُ الْمَلاَئِكَةُ فَإِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَالِحًا قَالُوا : اخْرُجِي أَيَّتُهَا النَّفْسُ الطَّيِّبَةُ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الطَّيِّبِ اخْرُجِي حَمِيدَةً وَأَبْشِرِي بِرَوْحٍ وَرَيْحَانٍ وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى تَخْرُجَ ثُمَّ يُعْرَجُ بِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَيُفْتَحُ لَهَا فَيُقَالُ : مَنْ هَذَا فَيَقُولُونَ : فُلاَنٌ . فَيُقَالُ : مَرْحَبًا بِالنَّفْسِ الطَّيِّبَةِ، كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الطَّيِّبِ ادْخُلِي حَمِيدَةً، وَأَبْشِرِي بِرَوْحٍ وَرَيْحَانٍ وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ . فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى يُنْتَهَى بِهَا إِلَى السَّمَاءِ الَّتِي فِيهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَإِذَا كَانَ الرَّجُلُ السُّوءُ قَالَ اخْرُجِي أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْخَبِيثَةُ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الْخَبِيثِ اخْرُجِي ذَمِيمَةً وَأَبْشِرِي بِحَمِيمٍ وَغَسَّاقٍ . وَآخَرَ مِنْ شَكْلِهِ أَزْوَاجٌ . فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى تَخْرُجَ ثُمَّ يُعْرَجُ بِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَلاَ يُفْتَحُ لَهَا فَيُقَالُ : مَنْ هَذَا فَيُقَالُ : فُلاَنٌ . فَيُقَالُ : لاَ مَرْحَبًا بِالنَّفْسِ الْخَبِيثَةِ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الْخَبِيثِ ارْجِعِي ذَمِيمَةً فَإِنَّهَا لاَ تُفْتَحُ لَكِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ فَيُرْسَلُ بِهَا مِنَ السَّمَاءِ ثُمَّ تَصِيرُ إِلَى الْقَبْرِ "

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মৃত্যুর সময় মানুষের নিকট ফেরেশতা আগমন করেন। অতএব মুমূর্ষু ব্যক্তি উত্তম লোক হলে তারা বলেন, হে পবিত্র আত্মা! পবিত্র দেহ থেকে প্রশংসিত অবস্থায় বের হয়ে এসো এবং আল্লাহর রহমত ও সুঘ্রাণের সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমার রব তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন। রূহ বের হয়ে আসা পর্যন্ত তারা এভাবে আহবান জানাতে থাকে। অতঃপর রূহ বের হয়ে আসলে তারা তা নিয়ে আসমানে আরোহণ করেন। এ রূহের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়।

জিজ্ঞেস করা হয়, সে কে? ফেরেশতাগণ বলেন, অমুক ব্যক্তি। তখন বলা হয়, পবিত্র আত্মাকে স্বাগতম, যা ছিল পবিত্র দেহে। প্রশংসিত অবস্থায় তুমি প্রবেশ করো, আল্লাহর রহমত ও সুঘ্রাণের সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমার রব তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন। তাকে অবিরতভাবে এ সংবাদ প্রদান করা হয়, যাবত না তা মহামহিম আল্লাহ যে আসমানে অবস্থান করেন সেখানে পৌঁছে যায়। মুমূর্ষু ব্যক্তি পাপাচারী হলে ফেরেশতা বলেন, হে নিকৃষ্ট দেহের নিকৃষ্ট আত্মা! নিন্দিত অবস্থায় বের হয়ে আয় এবং উত্তপ্ত গরম পানি ও রক্ত-পুঁজের দুঃসংবাদ গ্রহণ কর এবং অনুরূপ বহু বিষাক্ত বস্ত্তর। রূহ বের হয়ে আসা পর্যন্ত তারা এভাবে আহবান জানাতে থাকেন। অতঃপর তারা রূহসহ উর্দ্ধাকাশে আরোহণ করেন। কিন্তু তার জন্য দরজা খোলা হয় না।

জিজ্ঞেস করা হয়, এ ব্যক্তি কে? বলা হয়, অমুক। তখন বলা হয়, নিকৃষ্ট দেহের নিকৃষ্ট আত্মার জন্য নাই কোন সাদর সম্ভাষণ। তুই নিন্দিত অবস্থায় ফিরে যা। কারণ তোর জন্য আকাশের দ্বারসমূহ খোলা হবে না। অতঃপর একে আসমান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং তা কবরে ফিরে আসে।(সুনানু ইবনি মা’জা-৪২৬২)

কবরের আযাব সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا أُقْبِرَ الْمَيِّتُ اَتَاهُ مَلَكَانِ اَسْوَادَانِ اَرْزَقَانِ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا الْمُنْكَرُ وَالْآخَرُ النَّكِيْرُ فَيَقُوْلَانِ مَاكُنْتَ تَقُوْلُ فِيْ هذَاالرَّجُلِ فَيَقُوْلُ هُوَعَبْدُاللهِ وَرَسُوْلُهُ أَشْهَدُ أنْ لَّااِلَهَ اِلَّااللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسًوْلُهُ فَيَقُوْلَانِ قَدْكُنَّا نَعْلْمُ إِنَّكَ تَقُوْلُ هَذَا ثُمَّ يُفْسَحُ لَهُ فِيْ قَبْرِهِ سَبْعُوْنَ ذِرَاعًا فِيْ سَبْعِيْنَ وَيُنَوِّرُلَهُ فِيْهِ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ نَمَّ فَيَقُوْلُ اَرْجِعُ اِلَي أَهْلِيْ فَأُخْبِرُهُمْ فَيَقُوْلَانِ لَهُ نَمْ كَنَوْمَةِ الْعَرُوْسِ الَّذِيْ لَايُوْقِظُهُ اِلَّا أَحَبُّ اَهْلِهِ اِلَيْهِ حَتَّي يَبْعَثَهُ اللهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ وَاِنْ كَانَ مُنَافِقًا قَالَ سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُوْلُوْنَ قَوْلًا فَقُلْتُ مِثْلُهَ لَا اَدْرِىْ فَيَقُوْلَانِ لَهُ قَدْكُنَّا نَعْلَمُ اَنَّكَ تَقُوْلُ ذَلِكَ فَيُقَالُ لِلْأْرْضِ الْتَئِمِيْ عَلَيْهِ فَتَلْتَنِمُ عَلَيْهِ فَتَخْتَلِفُ اَضْلَاعُهُ فَلَايَزَالُ فِيْهَا مُعَذَّبًاحَتَّي يَبْعَثَهُ اللهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয়, তখন তার নিকট নীল চক্ষু বিশিষ্ট দু’জন কাল বর্ণের ফেরেশ্তা এসে উপস্থিত হন। তাদের একজনকে বলা হয় মুনকার, অপর জনকে বলা হয় নাকির। তারা রাসূল (সা.) -এর প্রতি ইশারা করে বলেন, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি দুনিয়াতে কি বলতে? মৃত ব্যক্তি মুমিন হ’লে বলেন, তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তখন তারা বলেন, আমরা পূর্বেই জানতাম আপনি এ কথাই বলবেন। অতঃপর তার কবরকে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৭০ (সত্তর) হাত করে দেয়া হয়। অর্থাৎ অনেক প্রশস্ত করে দেয়া হয় এবং সেখানে আলোর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। তারপর তাকে বলা হয় ঘুমিয়ে থাক। তখন সে বলে না অমি আমার পরিবারের নিকট ফিরে যেতে চাই। ফেরেশ্তাগণ বলেন, তুমি এখানে বাসর ঘরের দুলার ন্যায় আনন্দে ঘুমাতে থাক যাকে তার পরিবারের সর্বাধিক প্রিয়জন ব্যতীত আর কেউ ঘুম ভাঙাতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত আল্লাহ তাকে এ শয্যাস্থান হ’তে না উঠাবেন, ততদিন পর্যন্ত সে ঘুমিয়ে থাকবে। যদি মৃত ব্যক্তি মুনাফিক হয় তাহ’লে সে বলে, লোকে তার সর্ম্পকে যা বলত আমিও তাই বলতাম। আমার জানা নেই তিনি কে? তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমরা জানতাম যে, তুমি এ কথাই বলবে। তারপর জমিন কে বলা হয় তোমরা এর উপর মিলে যাও। সুতরাং জমিন তার উপর এমনভাবে মিলে যায় যাতে তার এক পাশের হাড় অপর দিকে চলে যায়। সেখানে সে এভাবে শাস্তি ভোগ করতে থাকবে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে তার এ স্থান হ’তে উঠাবেন 
(তিরমিযী ১০৭১, সহীহুত্ তারগীব ৩৫৬০, মিশকাত হা/১৩০, হাদীছ সহীহ)। 


بَابُ اِثْبَاتِ عَذَابِ الْقَبْرِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنه حَدثهمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ وَتَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ أَتَاهُ مَلَكَانِ فَيُقْعِدَانِهِ فَيَقُولَانِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَقْعَدِكَ مِنَ النَّارِ قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ بِهِ مَقْعَدًا مِنَ الْجنَّة فَيَرَاهُمَا جَمِيعًا قَالَ قَتَادَة وَذكر لنا أَنه يفسح لَهُ فِي قَبره ثمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيث أنس قَالَ وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَهُ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فَيُقَالُ لَا دَرَيْتَ وَلَا تَلَيْتَ وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيدٍ ضَرْبَةً فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ غَيْرَ الثقلَيْن» وَلَفظه للْبُخَارِيّ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দাকে যখন কবরে রেখে তার সঙ্গীগণ (আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব) সেখান থেকে চলে আসে, আর তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়। তার নিকট (কবরে) দু’জন মালাক (ফেরেশতা) পৌঁছেন এবং তাকে বসিয়ে প্রশ্ন করেন, তুমি দুনিয়াতে এই ব্যক্তির (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) ব্যাপারে কী জান? এ প্রশ্নের উত্তরে মু’মিন বান্দা বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিঃসন্দেহে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। তখন তাকে বলা হয়, ঐ দেখে নাও, তোমার ঠিকানা জাহান্নাম কিরূপ (জঘন্য) ছিল। তারপর আল্লাহ তা’আলা তোমার সে ঠিকানা (জাহান্নামকে) জান্নাতের সাথে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তখন সে বান্দা দু’টি ঠিকানা (জান্নাত-জাহান্নাম) একই সঙ্গে থাকবে। কিন্তু মুনাফিক্ব ও কাফিরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, দুনিয়াতে এ ব্যক্তি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তুমি কী ধারণা পোষণ করতে? তখন সে উত্তর দেয়, আমি বলতে পারি না (প্রকৃত সত্য কী ছিল)। মানুষ যা বলতো আমিও তাই বলতাম। তখন তাঁকে বলা হয়, তুমি বিবেক-বুদ্ধি দিয়েও বুঝতে চেষ্টা করনি এবং (আল্লাহর কুরআন) পড়েও জানতে চেষ্টা করনি। এ কথা বলে তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে কঠিনভাবে মারতে থাকে, এতে সে তখন উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে। এ চীৎকারের শব্দ (পৃথিবীর) জিন আর মানুষ ছাড়া নিকটস্থ সকলেই শুনতে পায়। 
(সহীহ : বুখারী ১৩৭৪, মুসলিম ২৮৭০, নাসায়ী ২০৫১, আহমাদ ১২২৭১, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩১২০, সহীহ আল জামি‘ ১৬৭৫, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৫৫।) 

একটি মাসয়ালা হলোঃ-
মৃত্যুর পর সওয়াল-জওয়াব,আযাব হওয়ার জন্য লাশ মাটিতে দাফন করা এবং লাশ অক্ষত থাকা জরুরি নয়; বরং এ সময়ে বান্দার দেহ যেখানে যেভাবে থাকুক আল্লাহ তাঁর কুদরতে ঐ দেহের সাথে রূহের সম্পর্ক করে দিবেন এবং সওয়াল-জওয়াব ও শান্তি বা শাস্তি সব কিছুই হবে। 

লাশ মাটিতে দাফন করা হোক বা না হোক এবং লাশ অক্ষত থাকুক বা না থাকুক এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। 

যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান এবং হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা.সহ অন্যান্য সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের আগে এক ব্যক্তি ছিল, যে মৃত্যুর সময় তার ছেলেদেরকে অসিয়ত করেছে যে, আমি তো আল্লাহর নিকট কোনো ভালো আমল জমা রাখিনি। জেনে রাখ,আমি যখন মৃত্যুবরণ করব তোমরা আমার দেহকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে প্রবল বাতাসের দিন সমুদ্রে উড়িয়ে দিবে। অতপর ছেলেরা অসিয়তমতে মৃত্যুর পর তার দেহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে প্রবল বাতাসের দিন সমুদ্রে উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে আল্লাহ তাআলা ঐ ছাইগুলো জমা করে তাকে জীবিত করে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে এ কাজে কিসে প্ররোচিত করল? সে বলল, একমাত্র আপনার ভয়ই আমাকে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাফ করে দিলেন। [সহীহ বুখারী,হাদীস ৬৪৮০, ৬৪৮১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭৫৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২৩৩৫৩; কিতাবুর রূহ ৭৪; মিরকাতুল মাফাতীহ ১/৩১০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আলমে বারযাখ বলা হয়।
নেককার বান্দা বান্দীদের রুহ ইল্লিয়্যিনে যায়,বদকার বান্দা দান্দীদের রুহ সিজজিনে যায়।
মূলত আযাব সেখানেই হয়,তবে কবরের যেই দেহ থাকে,তার সাথে একটি কানেকশন থাকে।

এটি মনে করার সুযোগ নেই যে কবরে মাটি তো অক্ষত আছে,তাই চাপ দিচ্ছেনা কেনো. বা লাশ পঁচে গেলো কেনো।
এগুলো বলার সুযোগ নেই।
কেননা মূল ফলাফল  ইল্লিয়্যিন আর সিজজিনে হচ্ছে।
 
প্রথমেই বলে রাখি, ঈমান নিয়ে বাঁচার জন্য যাবতীয় যুক্তি তর্ক বাদ দিয়ে আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আনীত বিষয়াবলির উপর ঈমান আনতে হবে।
যুক্তি তর্কের পিছনে পড়লে ঈমান হারানোর সমূহ সম্ভাবনা থাকে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আসলে রুহের কোনো মৃত্য নেই,মৃত্যু হয় মূলত শরীরের। 

কবরের আযাব ও সুওয়াল জওয়াবের ক্ষেত্রে বান্দাকে মূলত জীবিত করা হয়না,তবে বান্দার শরীরের সাথে রুহের কানেকশন করে দেয়া হয়,যাহা অসীম ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহর কাছে কঠিন কিছু নই।

(০২)
এ সংক্রান্ত হাদীস উপরে উল্লেখ রয়েছে।
হাদীসকে মিথ্যা প্রমানিত করতে দলিল লাগবে।হাদীসের হুকুম জানতে হবে।

এমনিতেই হাদীসকে মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই।

এহেন কথা মুসলিম বলতে পারেনা।

রাসুলের পর থেকে ছাহাবায়ে কেরাম পরবর্তী আমাদের পর্যন্ত যে ধারাবাহিক ভাবে হাদীস এসেছে,যারা সনদ বিস্তারিত রয়েছে, সুতরাং মিথ্যা বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

(০৩)
এ ধরনের হাদীস বানানো নয়।
হাদীসটি উপরে রেফারেন্স সহ উল্লেখ রয়েছে। 

যেসব ব্যাক্তির মৃত্যুর পর কবর হয় না।তারা আগুনে পুড়ে ছাই হয় অথবা পানিতে পড়ে মারা যায় অথবা কোন জীব জন্তু খেয়ে ফেলে তাদেরও কবরের হিসাব হবে।
তার লাশ মাটিতে দাফন করা এবং লাশ অক্ষত থাকা জরুরি নয়; বরং এ সময়ে তার দেহ যেখানে যেভাবে থাকুক, আংশিক বা সম্পূর্ণ পুড়ে ফেলা হোকনা কেনো, আল্লাহ তাঁর কুদরতে ঐ দেহের সাথে (দেহ না থাকলে পুনরায়  ছাই ইত্যাদি থেকে দেহ সৃষ্টি করে দেহের সাথে)   রূহের সম্পর্ক করে দিবেন এবং সওয়াল-জওয়াব ও শান্তি বা শাস্তি সব কিছুই হবে। 

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْمُسْلِمُ إِذَا سُئِلَ فِي الْقَبْرِ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَة) وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِت) نَزَلَتْ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ يُقَالُ لَهُ: مَنْ رَبك؟ فَيَقُول: رَبِّي الله ونبيي مُحَمَّد 

বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিমকে যখন কবরে জিজ্ঞেস করা হয় তখন সে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই এবং নিঃসন্দেহে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল। ’’যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনে অটল ও অবিচল রাখেন’’- (সূরাহ্ ইবরাহীম ১৪: ২৭)। আল্লাহর এ বাণীর অর্থ হলো এটাই।

অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’ইউসাব্বিতুল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূ বিল ক্বওলিস্ সা-বিতি’’- এ আয়াত কবরের ’আযাব সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। কবরে মৃতকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার রব কে? সে বলে, আমার রব মহান আল্লাহ তা’আলা। আর আমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(বুখারী ৪৬৯৯, মুসলিম ২৮৭১, আবূ দাঊদ ৪৭৫০, সহীহ আল জামি‘ ৬৭০৮, সহীহাহ্ ৩৯৬৩, নাসায়ী ২০৫৭, তিরমিযী ৩১২০, ইবনু মাজাহ্ ৪২৬৯।)

★কবর দ্বারা সাধারণত মানুষ যেটা বুঝে,সেটি পূর্ণ সহীহ নয়।
এখানে মূলত আলমে বারযাখ উদ্দেশ্য। 
মাটির নিচে দাফন হলেই সেটি কবর বা আলমে বারযাখ হবে,দাফন না হলে হবেনা,বিষয়ট এমন নহে।

বরং মৃত্যুর পরবর্তী কিয়ামতের আগ পর্যন্ত পুরোটুকু টাইমটাই কবর বা আলমে বারযাখ। 
চাই শরীর যা হয়ে যাকনা কেনো।

কবর দ্বারা উদ্দেশ হচ্ছে ’’আলামুল বারযাখ’’। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,

وَمِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ اِلى يَوْمِ يُبْعَثُوْنَ

অর্থাৎ- ’’পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত তারা বারযাখে থাকবে।’’ (সূরাহ্ আল মু’মিনূন ২৩: ১০০)

আর বারযাখ হচ্ছে দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝের এক পৃথিবী। এখানে কবর দ্বারা মৃত্যু বরণকারী লাশকে দাফন করার গর্ত উদ্দেশ্য নয়। কেননা, অনেক মৃত ব্যক্তি আছে। যেমন, পানিতে ডুবে যে মৃত্যুবরণ করেছে অথবা আগুনে পুড়ে অথবা প্রাণী তাকে খেয়ে ফেলেছে এগুলোকে দাফন করা হয় না অথচ এদেরকেও শাস্তি দেয়া হয় এবং নি’আমাতও দান করা হয়।

(০৫)
আল্লাহর কাছে এগুলো কোনো ব্যপার নয়।

(০৬)
মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আলমে বারযাখ বলা হয়।
নেককার বান্দা বান্দীদের রুহ ইল্লিয়্যিনে যায়,বদকার বান্দা দান্দীদের রুহ সিজজিনে যায়।
মূলত আযাব সেখানেই হয়,তবে কবরের যেই দেহ থাকে,তার সাথে একটি কানেকশন থাকে।

এটি মনে করার সুযোগ নেই যে কবরে মাটি তো অক্ষত আছে,তাই চাপ দিচ্ছেনা কেনো. বা লাশ পঁচে গেলো কেনো।
এগুলো বলার সুযোগ নেই।
কেননা মূল ফলাফল  ইল্লিয়্যিন আর সিজজিনে হচ্ছে।

১৮ মাস পর আমাদের চোখে কবরে সেই দেহ দেখা না গেলেও অস্বীকার করার কি কোনো সুযোগ আছে যে সেখানে দেহ একদমই নেই?

আমরা চোখে দেখিনা বিধায় যে তাহা সেখানে নাই,এর প্রমান কি?

চোখে দেখা না গেলেই যে তাহা বিশ্বাস করা যাবেনা,তাহলে আল্লাহ,জান্নাত,জাহান্নাম,হাশরকে কেনো বিশ্বাস করা হয়?

(০৭)
এটি আল্লাহর ক্ষমতার উপর সন্দেহ, বৈ কিছু নয়। যাহা কোনো মুমিনের পক্ষে সম্ভব নয়।

(০৮)
রুহ মূলত শরীরে দেয়া হবে,চাই শরীর যেখানেই যে অবস্থাতেই থাক।

এরপর নেককার বান্দা বান্দীদের রুহ ইল্লিয়্যিনে যায়,বদকার বান্দা দান্দীদের রুহ সিজজিনে যায়।
মূলত আযাব সেখানেই হয়।

রুহ ইল্লিয়্যিনে আর সিজজিনে আল্লাহ তায়ালার আদেশ যখন হবে,তখনই যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আলহামদুলিল্লাহ্, শুকরিয়া।
শেষের কমেন্টে ৮নং পয়েন্ট কিছু প্রশ্ন তৈরি হতে পারে ।
"রুহ মূলত শরীরে দেয়া হবে,চাই শরীর যেখানেই যে অবস্থাতেই থাক"
যদি তাই হয়, তাহলে কি এটা জীবন দেওয়ার মতোই হয়ে যাচ্ছে না? নাকি এটাকে সরাসরি জীবন দেওয়া হিসেবে বলা যায় না, একটা কানেকশন যুক্ত হিসেবে দেখা যায়?
-এবং
"...নেককার বান্দা বান্দীদের রুহ ইল্লিয়্যিনে যায়,বদকার বান্দা দান্দীদের রুহ সিজজিনে যায়।
মূলত আযাব সেখানেই হয়।"
এর তাহলে কি শরীরের কোন আজাব নেই? নাকি শরীরেরও আজাব আছে পাশা পাশি মূল আজাব হবে সিজজিনে।
(কমেন্টে অতিরিক প্রশ্নের জন্যে ক্ষমা করবেন।)
by (684,760 points)
এটাকে সরাসরি জীবন দেওয়া হিসেবে বলা যায় না, বরং কানেকশন হিসেবে ধরা হবে।

শরীরের সাথে কানেকশন থাকবে,মূল আযাব সিজ্জিনে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...