আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১)কাউকে সংশোধনের জন্য যাতে তার সাথে ভালো করে কথা বলা যায় সেজন্য কি তার দোষ সম্পর্কে জেনে নিলে কি গুনাহ হবে?

২)যদি তার সেই দোষটি সম্পর্কে তার কাছেই জিজ্ঞাসা করা হয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসলেই  তার মধ্যে সেই দোষটি আছে কি না তাহলে কি গুনাহ হবে?

৩)অনেককেই দেখা যায় নিজের হিদায়াত পাওয়ার গল্প প্রকাশ করে যেখানে তার অতীত অনেক পাপের কথাও বলা হয়।এতে কি গুনাহ হবে?

৪)যদি পাপের কথা সরাসরি না বলে পরোক্ষভাবে বলা হয় তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرُونَ وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ عَمَلًا بِاللَّيْلِ ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ. فَيَقُولَ: يَا فُلَانُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাত ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে; কিন্তু যে ব্যক্তি নিজের অপরাধ প্রকাশকারী, সে ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়। এটা কতই না লজ্জাহীনতার কাজ যে, লোক রাতে খারাপ কাজ করে, আর আল্লাহ তা‘আলা তার কুকর্ম গোপন করে রাখেন। অতঃপর সকাল হতেই লোকেদেরকে বলে ফেলে, হে অমুক! আমি রাতে এরূপ কাজ করেছি। আল্লাহ তা‘আলা রাতে তার দোষ ঢেকে ছিলেন, কিন্তু সকাল হতেই সে আল্লাহ তা‘আলার পর্দা উন্মুক্ত করে দিলো।

(সহীহ : বুখারী ৬০৬৯, মুসলিম ৫২-(২৯৯০), সহীহুল জামি‘ ৪৫১২, আল মু‘জামুস্ সগীর ৬৩২, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪৪৯৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়াহাক্বী ১৮০৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৯৬৭৩।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটি জায়েজ হবেনা।
তবে ব্যাক্তিটি জালেম বা ধোকা প্রদান কারী হলে তার জুলুম/ধোকা থেকে বাঁচারা লক্ষ্যে সেই বিষয় জেনে নেয়া যাবে,যিনি বলবেন, তার জন্যেও এটি জায়েজ হবে। 

 الرابع: تحذير المسلمين من الشر، وذلك من وجوه خمسة كما ذكر النووي. أولا: جرح المجروحين من الرواة والشهود، وذلك جائز بالإجماع، بل واجب صونا للشريعة. ثانيا. الإخبار بغيبة عند المشاورة في مصاهرة ونحوها. ثالثا: إذا رأيت من يشتري شيئا معيبا أو نحو ذلك، تذكر للمشتري إذا لم يعلمه نصيحة له، لا لقصد الإيذاء والإفساد. رابعا: إذا رأيت متفقها يتردد إلى فاسق أو مبتدع يأخذ عنه علما. وخفت عليه ضرره، فعليك نصيحته ببيان حاله قاصدا النصيحة. خامسا: أن يكون له ولاية لا يقوم لها على وجهها لعدم أهليته أو لفسقه، فيذكره لمن له عليه ولاية ليستبدل به غيره أو يعرف. فلا يغتر به ويلزمه الاستقامة. 

 (চার) মুসলমানকে কারো মন্দ থেকে বাঁচাতে গিবত করা। এটা পাঁচ ভাবে হতে পারে।যথাঃ- (১)হাদীসের রাবীদের দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা।এটা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।এমনকি শরীয়তকে বাঁচানোর জন্য এটা ওয়াজিব পর্যায়ের। (২)বিয়ে-শাদীতে কোনো এক পক্ষের খোঁজ নিতে গিয়ে মাশওয়ারার সময় কারো সম্পর্কে সঠিক সংবাদ দেয়া। (৩)ক্রেতাকে অজ্ঞাতবশত কোনো দোষণীয় জিনিষ ক্রয় করতে দেখলে, তখন তাকে সে সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া।বিক্রেতাকে কষ্ট দেয়া বা ফাসাদ সৃষ্টি করার মনোভাব থাকলে তখন জায়েয হবে না। (৪)যদি কেউ দেখে যে একজন ফকিহ কোনো এক ফাসিক বা বিদাতি লোকের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করছে,তাহলে নসিহতের উদ্দেশ্যে ঐ ফকিহকে বাস্তব হাল সম্পর্কে জ্ঞাত করা উচিত। (৫)যদি কোনো ব্যক্তির উপর কারো অভিভাবকত্ব থাকে,কিন্তু সে কোনো কারণে ঐ ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করে ওকে শাসন করতে পারে না,এমতাবস্থায় সে তার অভিভাবক(অর্থাৎ ঐ অভিভাবকের অভিভাবক)এর নিকট প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করতে পারবে।

বিস্তারিত জানুনঃ-

(০২)
এমনটি বলা জায়েজ নয়।

(০৩)
হ্যাঁ, এভাবে নিজ গুনাহের কথা জাতীর সামনে প্রকাশ করার দরুন গুনাহ হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে নিজের দিকে ইঙ্গিত করে না বললে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 365 views
...