আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)

১।একজন ভাই আমাকে বললেন যে জীন রাখা বা পালা নাকি হারাম ? তবে অনেকের সাথেই তো জীন থাকে তাদের সাহায্য করে বিভিন্ন কাজে এই বিসয়ে একটু বিস্তারিত জানতে চাই


২। অনেক সময় অনেকে বেয়াদবি করে এরকম বলে যে  কবরে গিয়ে কি ক্লাস নিবি বা টাকা পয়সা কি কবরে নিয়ে যাবি । আর আমার বেচে থাকার যোগ্য নই  এরকম কথা বলা কি কুফুরি কি আর এরকম কথা বললে কি ঈমান থাকবে কি ?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। 

(সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।)
,
আরো  জানুনঃ 

★জ্বীনের সাহায্য নেয়ার মাসয়ালা হলো এক্ষেত্রে জীন যদি কুরআন হাদীসের আলোকে কাজ করে,কোনো কুফরি শিরকি কিছু না করে,কাহারো ক্ষতি ইত্যাদি না করে,তাহলে সেক্ষেত্রে জীনের সাহায্য নেয়ার অনুমতি রয়েছে। 

নতুবা জায়েজ হবেনা।

فتسخیر الجن ان کان بالعزائم الشرکیۃ أو غیر مفہومۃ المعنی لایجوز مطلقا وان کان بکتاب اللہ تعالی أو أسمائہ ، فان کان دفعا للمضر ۃ وازالۃ لمکائد الجن وأذاہ عن نفسہ أو عن غیرہ جاز الخ ۔ (احکام القرآن: ۳/۵۱۴، اشرفیہ ، دیوبند
সারমর্মঃ-
জীনকে বশিভূত করা,নিজ কাজে নিয়োজিত করা, যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,আর তাহা যখন ক্ষতি দূরকরনের জন্য হয়,এবং জীনদের কষ্ট,চক্রান্ত ইত্যাদি দূর করনের জন্য হয়,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইচ্ছাকৃতভাবে জীন রাখা/পালার ক্ষেত্রে যদি নিজের ক্ষতি দূরকরণ,অন্যান্য জীনদের চিক্রান্ত থেকে হেফাজত,নিজের নফসকে বা অন্যকে জীনদের কষ্ট পৌছানো হতে বাঁচানোর উদ্দেশ্য হয়,তাহল সেক্ষেত্রে জীনকে বশিভূত করা,যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,তাহলে এটি জায়েজ হবে।

(০২)
এরকম কথা বলা কুফরি নয়,এরকম কথা বললে কাহারো ঈমান চলে যায়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...