জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না।
(সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।)
,
আরো জানুনঃ
★জ্বীনের সাহায্য নেয়ার মাসয়ালা হলো এক্ষেত্রে জীন যদি কুরআন হাদীসের আলোকে কাজ করে,কোনো কুফরি শিরকি কিছু না করে,কাহারো ক্ষতি ইত্যাদি না করে,তাহলে সেক্ষেত্রে জীনের সাহায্য নেয়ার অনুমতি রয়েছে।
নতুবা জায়েজ হবেনা।
فتسخیر الجن ان کان بالعزائم الشرکیۃ أو غیر مفہومۃ المعنی لایجوز مطلقا وان کان بکتاب اللہ تعالی أو أسمائہ ، فان کان دفعا للمضر ۃ وازالۃ لمکائد الجن وأذاہ عن نفسہ أو عن غیرہ جاز الخ ۔ (احکام القرآن: ۳/۵۱۴، اشرفیہ ، دیوبند
সারমর্মঃ-
জীনকে বশিভূত করা,নিজ কাজে নিয়োজিত করা, যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,আর তাহা যখন ক্ষতি দূরকরনের জন্য হয়,এবং জীনদের কষ্ট,চক্রান্ত ইত্যাদি দূর করনের জন্য হয়,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইচ্ছাকৃতভাবে জীন রাখা/পালার ক্ষেত্রে যদি নিজের ক্ষতি দূরকরণ,অন্যান্য জীনদের চিক্রান্ত থেকে হেফাজত,নিজের নফসকে বা অন্যকে জীনদের কষ্ট পৌছানো হতে বাঁচানোর উদ্দেশ্য হয়,তাহল সেক্ষেত্রে জীনকে বশিভূত করা,যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,তাহলে এটি জায়েজ হবে।
(০২)
এরকম কথা বলা কুফরি নয়,এরকম কথা বললে কাহারো ঈমান চলে যায়না।