ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আশুরা উপলক্ষ্যে যেসব আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে,সেখানে রোযা রাখা,নফল ইবাদত করা ইত্যাদির আলোচনা এসেছে।বিশেষ অন্য কোনো আমল বর্ণিত হয়নি।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم
‘রমযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা হল সর্বশ্রেষ্ঠ।’(সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১৫৭)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘
ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني رمان
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’
(সহীহ বুখারী ১/২১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঈসালে সওয়াব যে কারো জন্য করা যায়। এর জন্য কোনো দিন তারিখ নির্দিষ্ট নেই।যে কারো জন্য যে কোনো সময় ঈসালে সওয়াব করা যায়।হযরত হুসাইন রাযি কে যেভাবে শহীদ করা হয়েছে, নিঃসন্দেহে সেটা অত্যান্ত গর্হিত ও নির্লজ্জ কাজ। যেজন্য তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। হুসাইন রাযির জন্য উনার পরিবারের জন্য ঈসালে সওয়াব করা নিঃসন্দেহে পূন্যর কাজ।তবে আশুরার দিনে নির্দিষ্ট করে এমন কোনো আমল বর্ণিত হয়নি। জরুরী মনে না করে করলে করা যেতে পারে।