বর্তমানে যে আমার স্ত্রী তার সাথে আমি পূর্বে হারাম রিলেশন করেছিলাম যার জন্য দুইজনে আল্লাহর কাছে খাস দিলে ক্ষমা চেয়েছি, বিয়ের আগে দুইজন অনেকদিন যোগাযোগ রাখিনি তারপর পরিবারকে জানিয়ে দ্রুত বিয়ে করেছি, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, আমি যখন একসময় আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে ছিলাম একদিন আমি তার সাথে বেড়াতে গিয়েছিলাম, তখন তার পাশের বাসার এক ছেলে তার সাথে হুদাই ভাই এর মতো অধিকার দেখাতো, যেহেতু আমার স্ত্রীর পরিবারও ছেলেওটিকে চিনতো এবং ভদ্র ছেলে ভাবতো। তো ওই ছেলেটি আমার স্ত্রী কে আমার সাথে দেখে, এবং ওর মাকে বলে দিবে এসব বলে আর হাল্কা কথা কাটাকাটিতে সে আমার স্ত্রীকে চড় মারে (আমার তখন সে স্ত্রী ছিলো না, আর আমি ওই ছেলেকে চিনতাম, আমারও ইসলাম জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে তাকে ভাই এর মতো ভাবতাম, তাই কাপুরুষের মতো সে চড় মারাতেও আমি তাকে কিছুই বলিনি)
এখন অনেকদিন পার হয়ে গেছে, তবে এখন আমি আর আগের মতো নেই অনেক ইসলামিক হয়েছি, তবে আমার এই কষ্ট আমার থেকে যাচ্ছে না, হ্যাঁ আমি হারাম রিলেশন করছি মানছি ঠিক আছে, তার জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাই সবসময়, তবে কিভাবে একজন ছেলে আমার স্ত্রী কে চড় মারলো আর আমি চুপ করে দাঁড়ায় থাকলাম? আমার খুব ঘৃণা হয় নিজের প্রতি, আমি এটা আমার স্ত্রীকেএ বলতে লজ্জা লাগে। (আমার স্ত্রী কখনোই কোনো ছেলের সাথে কথা বলতো না, বাট কিছুটা গ্রামের দিকে থাকায় সবার সাথে সম্পর্ক ভালো থাকায় ওই ছেলেকে ভাই এর মতো ভাবতো, তবে অনেক আগেই সে বুঝতে পারছে, যে সে তার নান-মাহরাম। তার ফ্যামিলির মানুষও ওভাবে ভাবেনি কারণ স্ত্রীর বাবা তাড়াতাড়ি মারা যাওয়ায় স্ত্রীর সেফটির জন্য তার পরিবার ওই ছেলেকে এমনি একটু দেখেশুনে রাখতে বলেছিলো (ইসলাম জ্ঞানের স্বল্পতা ছিলো, তবে আর কোনো খারাপ কাজ না)
কিন্তু আমি এই টা মেনে নিতে পাচ্ছি না, কিভাবে ও আমার স্ত্রীকে চড় মারলো আর আমি চুপ করে দাঁড়ায় থাকলাম? আমি কি পুরুষ? কেন এত কাপুরুষের মতো কাজ করলাম? আমি এ থেকে পরিত্রাণ পাবো কি করে? ইসলামে তো সব সমস্যার সমাধান আছে, আমি এই কষ্ট কিভাবে কমাবো, এর থেকে সমাধান কি? ওই ছেলেকে কি আমি এখন গিয়ে মারবো? আমি কিচ্ছু বুঝতেছি না, আমার রাতে ঘুম হয় না।
আপনারা আমাকে পরামর্শ দিন আমার কি করা উচিত এখন, আমার তাকে ওই সময় মারা উচিত ছিলো যখন সে আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলছে (তখন সে আমার স্ত্রী ছিলো না, আর আমি ভাই এর মতো ভেবে খুব স্বাভাবিক ভাবে নিছিলাম ব্যাপারটা)। আশা করি একটি সমাধান পাবো ইন শা আল্লাহ।