বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুমিনের স্বপ্ন নবুয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ৷
এই হাদিসটি নিজের জীবনের জন্য সিদ্বান্ত নিতে অর্থাৎ নিজের বেলায় কার্যকর তবে অন্যের বেলায় প্রযোজ্য হবে না।
(২)নিজের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে স্বপ্ন,খোয়াব,এলহাম ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য। তবে অন্যর বেলায় প্রযোজ্য হবে না।
(৩) শাহ নিয়ামত উল্লাহর ক্বাসীদায় যে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে ভারতবর্ষ সম্পর্কে, এটা যেহেতু বিষয়ক একটি ধারণামাত্র।তাই আপনি যদি সেটাকে পরিপূর্ণ নিশ্চিত মনে না করেন, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। পুরোপুরি নিশ্চিত মনে করা কখনো জায়েয হবে না।
(৪) এলহাম/স্বপ্নযোগে পাওয়া কোনো আদেশ দ্বারা ইদাদের মতো কোনো কঠিন বিষয়ে সিদ্ধান গ্রহণ করা যাবে না।বিস্তারিত জানতে শরহে আকাঈদে নসফী পড়তে পারেন।
(৫)কোনো ব্যক্তি যদি এরকম ইদাদের ক্ষেত্রে নিজেকে এলহাম প্রাপ্ত বলে দাবি করে এবং কাওকে তার মতাদর্শ মানতে বলে, তাহল সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করা যাবে না। বরং সর্বদাই সেই ব্যক্তি পরিত্যাক্ত বলে বিবেচিত হবে।