জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ
" তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে। এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ": ﻣﺎ ﻣﻦ ﻧﺒﻲ ﺑﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺃﻣﺘﻪ ﻗﺒﻠﻲ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﻟﻪ ﻣﻦ ﺃﻣﺘﻪ ﺣﻮﺍﺭﻳﻮﻥ ﻭ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﻳﺄﺧﺬﻭﻥ ﺑﺴﻨﺘﻪ ﻭ ﻳﻘﺘﺪﻭﻥ ﺑﺄﻣﺮﻩ ﺛﻢ ﺃﻧﻬﺎ ﺗﺨﻠﻒ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻫﻢ ﺧﻠﻮﻑ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻣﺎﻻ ﻳﻔﻌﻠﻮﻥ ﻭ ﻳﻔﻌﻠﻮﻥ ﻣﺎﻻ ﻳﺆﻣﺮﻭﻥ ﻓﻤﻦ ﺟﺎﻫﺪﻫﻢ ﺑﻴﺪﻩ ﻓﻬﻮ ﻣﺆﻣﻦ ﻭ ﻣﻦ ﺟﺎﻫﺪﻫﻢ ﺑﻠﺴﺎﻧﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﺆﻣﻦ ﻭ ﻣﻦ ﺟﺎﻫﺪﻫﻢ ﺑﻘﻠﺒﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﺆﻣﻦ ﻭﻟﻴﺲ ﻭ ﺭﺍﺀ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺣﺒﺔ ﺧﺮﺩﻝ ." ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ . [ ( ﺭﻗﻢ ) 50
তরজমাঃ নবীজী সাঃ বলেনঃ-অতীতে এমন কোনো নবী অতিবাহিত হননি যার কিছু সাহায্যকারী ও সাথী ছিলেন না,যারা সেই নবীর সুন্নাতকে আকড়ে ধরতেন এবং তার পদাঙ্ক অনুসরণ করতেন।অতঃপর তাদের পরবর্তী এমন কিছু লোক আসল যারা যা বলে তা তারা করে না এবং যা করে তা তারা বলে না। যে ব্যক্তি (শরীয়ত বিরোধী কাজকে প্রতিহত করতে)হাত দ্বারা চেষ্টা প্রচেষ্টা করবে,সে মু'মিন।এবং যে জবান দ্বারা চেষ্টা-প্রচেষ্টা করবে সেও মু'মিন। এবং যে অন্তর দ্বারা চেষ্টা-প্রচেষ্টা করবে সেও মু'মিন। কিন্তু এর পরবর্তী ঈমানের দানা পরিমানও আর কোনো স্থর নেই।(সহীহ মুসলিম-৫০)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত হাদীস মতে আপনার সাধ্য যতটুকু,ততটুকুই করবেন।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কেউ যদি গায়রুল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সেজদা করে, গায়রুল্লাহর নামে কোরবানী করে, গায়রুল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য তার নাম জপতপ করে, মানবীয় ক্ষমতার উর্ধ্বের কোনো বিষয় গায়রুল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, মাযার-দরগাহর তওয়াফ করে, মোটকথা, যেসব কাজ আল্লাহ তাআলা তাঁর উপাসনার জন্য নির্ধারণ করেছেন তা গায়রুল্লাহর জন্য করে তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ শিরক।
এবং যে ব্যাক্তি মাযার বা মাযারে শায়িত ব্যক্তি সম্পর্কে অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে,সে শিরক করলো।
,
সুতরাং কেহ যদি সত্যিকারঅর্থেই এহেন আকিদা, বিশ্বাস মনে প্রানে পোষন করে মাজারে সেজদাহ ইত্যাদি করে,তাহলে সে কুফরী করলো।
তাকে নতুন করে কালেমা পড়ে ঈমান আনতে হবে।
খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,তারা সত্যিকারঅর্থেই এহেন আকিদা, বিশ্বাস মনে প্রানে পোষন করে মাজারে সেজদাহ করে,তাহলে তারা মুশরিক হবেন,নতুন করে ঈমান আনতে হবে।
অন্যথায় তারা মুসলমান,তবে তারা ভ্রান্ত।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের থেকে খারিজ।