শরীয়তের বিধান মতে পরীক্ষায় যেমন কোনো যোগ্য ছাত্রকে তার প্রাপ্য নাম্বার থেকে কম নাম্বার দেয়া জায়েজ নেই, অনুরূপ ভাবে
কোনো অযোগ্য ছাত্রকে তার প্রাপ্য নাম্বার হতে বেশি নাম্বার দেয়াও জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিক্ষক যে পরীক্ষার খাতার নাম্বারের ভিত্তিতে টাকা পাবেন। যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ আছে যে এক্ষেত্রে কোন ছাত্র ১০ পেলে শিক্ষক যা টাকা পাবেন ২০ পেলে টাকা বেশি পাবেন। অর্থাৎ প্রতি মার্কের উপর তার মূল্য নির্ধারিত।
সুতরাং এক্ষেত্রে মূল দেখার বিষয় যে উক্ত শিক্ষক কি প্রাপ্য নাম্বারই স্টুডেন্টকে দিচ্ছে? নাকি তার চেয়ে বেশি নাম্বার দিচ্ছে?
যদি প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট এর পরীক্ষার খাতা দেখে তার প্রাপ্য নাম্বারই তাকে দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে বেতন নির্ধারণ করায় উপার্জন হালাল হবে।
নতুবা উপার্জন সম্পূর্ণ হালাল হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে যেহেতু কতিপয় শিক্ষকদের পক্ষ হতে স্টুডেন্ট এর পরীক্ষার খাতা দেখে তার প্রাপ্য নাম্বার থেকে বেশি নাম্বার দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে বেতন নির্ধারণ না করার পরামর্শ থাকবে।