بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লামা হাসক্বাফী
রাহ লিখেন,
لُفَّ
طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ
وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ
نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.
যদি পবিত্র কাপড়কে
-অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা
অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ
করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি
পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে,
নতুবা অপবিত্র হবে না। (রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)
কাপড়ে মযী
বা পেশাব লাগার পর যদি তা শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় টেবিল বা অন্য শুকনা কিছুতে লাগলে
তা নাপাক হবে না। শুকিয়ে যাওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত না
হওয়া। (নাসবুর রায়া ১/২৭৭; ইলাউস সুনান ১/৩৯৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২)
পক্ষান্তরে
উক্ত কাপড় যদি এতটা ভেজা থাকে যে, টেবিল বা অন্য শুকনা কিছুতে লাগলে তার চিহ্ন দেখা যায়,
তাহলে ওই চিহ্ন এক দেরহাম পরিমাণ হলে
অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে অধিক হয় তাহলে যতটুকুতে লেগেছে ততটুকু নাপাক
হয়ে যাবে।
عن علي
وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء
হযরত আলী রাযি. এবং ইবনে মাসউদ রাযি. নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট
করেছেন এক দিরহাম। আর মানার জন্য দলিল হিসাবে এই দু’জনই যথেষ্ট। (উমদাতুল কারী ৩/১৪০)
উল্লেখ্য,
হাতের তালু সোজা করে পানি নিলে যতটুকু
পানি তালুতে আটকে যায়; ততটুকু আয়তনকে এক দিরহাম ধরা হয়।
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে নাপাক কাপড় ধৌত করার সময়
টেপ ও টেপের সাথে লেগে থাকা কাপড়ের অংশটুকু ভালো ভাবে ধৌত করা হয় তাহলে টেপ ও কাপড়
শুকিয়ে গেলে তা পবিত্র বলে গণ্য হবে।
নাপাক কাপড়ের স্পর্শে
যদি পবিত্র বিছানায় নাপাকের কোন চিহ্ন ও অংশবিশেষ ভেজা পরিলক্ষিত
না হয় তাহলে বিছানা নাপাক হবে না।