আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।
এক বোনের পক্ষ থেকে
আমি একজন মেয়ে। গত তিনবছর ধরে আমার জন্য বিয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনো অব্দি আমার জন্য প্রায় ৫০ এর বেশি সম্বন্ধ এসেছে এবং হাতে গোনা ২/৩ টা ছাড়া সব জায়গাতেই পছন্দ হয়েছে বললেও পরে আর আগায়নি। আর ৩ বার বিয়ে প্রায় ঠিক হয়েও ভেঙে গেছে কোন কারণ ছাড়াই। আমি রুকইয়াহ্ সম্পর্কে পড়ে জানতে পারি আমাকে বিয়ে বন্ধের যাদু করা হয়েছে এবং একজন অভিজ্ঞ রাক্বিও সমস্যা শুনে নিশ্চিত করেছেন সমস্যার কথা। কিন্তু আমি ঢাকার বাইরে হওয়ায় চাওয়া সত্বেও সরাসরি রুকইয়াহ সম্ভব হয়নি(মাহরাম দূর দেখে নিয়ে যাবেনা)। সেল্ফ রুকইয়াহ করেছি অনেকবার কিন্তু করতে পারিনা একটানা আর সমস্যা বেশি হওয়ায় সরাসরি রুকইয়াহর পরামর্শ দিয়েছিলেন ঐ রাক্বি।

আজকে আমার মা আমাকে একজন হুজুরের কাছে নিয়ে গেছেন। সে ওড়না মেপে বলেছে বিয়ে বন্ধ করা আছে(আমি তার কথা বিশ্বাস ছাড়াই জানতাম) তার পদ্ধতিতে বুঝলাম সে কবিরাজ টাইপ। সে চিকিৎসা হিসেবে আমাকে তাবিজ এবং দুআ লিখে দিতে চেয়েছে। দুআ গুলো ভিজিয়ে খেতে হবে। তো আমি যেহেতু তাবিজ ব্যবহার করবোনা তাই সে আমাকে তাবিজে কুরআনের যে সুূরা এবং আয়াত লিখে দিতো ওটা আমল করেতে বলেন। আর দুআ ভিজানো পানিটা খেতে বলেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে দুআ ভেজানো পানি খেতে পারবো? তাতে আমার ইমানের ক্ষতি হবে?
আমার একপ্রকার বাধ্য হয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিতে হচ্ছে। আমি অনেকদিন ধরেই রুকইয়াহ্ করতে যাওয়ার।  চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। প্লিজ উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন। আমি এখন নিরুপায়, পরিবার থেকে তিনবছর ধরে অনেক চাপ দিচ্ছে।
জাঝাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে তা  জায়িজ।  কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। 
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

এ হাদীস স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাঃ তাঁর অবুঝ সন্তানদের জন্য তাবীজ লিখে তা লটকিয়ে দিতেন।

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহকেই সকল ক্ষমতার অধিকারী মেনে দুআ ভেজানো পানি খেতে পারবেন। তাতে আপনার ঈমানের ক্ষতি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...