আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম,
আমার এক প্রতিবেশী, যিনি তার স্ত্রীকে না জানিয়ে, কাজী অফিসে গিয়ে লিখিতভাবে স্বীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়। পরবর্তীতে ডিভোর্স রিসিটের ছবি পাঠিয়ে মেসেজের মাধ্যমে স্ত্রীকে জানায়। ডিভোর্সের বিষয়টি স্ত্রী পক্ষ জানার পর মামলা করে বসে এবং একটা পর্যায়ে মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে ডিভোর্সটি পুন:রায় কোর্ট এর মাধ্যমে বিবেচিত হয়।
এরপর দ্বীর্ঘ প্রায় ১ বছর পর, আমার সেই প্রতিবেশী পুন:রায় সেই স্ত্রীকে গ্রহন করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এবং এ ব্যাপারে একজন আলেম এবং অন্য একজন কাজীর সাথে পরামর্শ করে।
আলেমের বক্তব্য:
আমার সেই প্রতিবেশী যখন আলেমের কাছে তার সাবেক স্ত্রীকে পুন:রায় পাওয়ার ইচ্ছে করে এবং এ ব্যাপারে শরীয়তের বিধান জানতে চায়, তখন উক্ত আলেম বলেন যে, ডিভোর্স যেহেতু ছেলে একা দিয়েছে এবং স্ত্রীকে সামনে রেখে বা শুনিয়ে দেয়নি ও স্ত্রী যেহেতু ডিভোর্স মানতে রাজি ছিলো না, সেহেতু এটা শরীয়ত মতে ডিভোর্স হয়নি। ছেলে-মেয়ে উভয়ে চাইলে এখন একসাথে হতে পারে।
কাজীর বক্তব্য:
কাজীর বক্তব্য ছিলো, যে তাদেরকে পুন:রায় বিবাহ করতে হবে।
অবশেষে
আমার সেই প্রতিবেশি পুন:রায় দেন-মোহর ধার্য্য করে সেই স্ত্রীকে বিবাহ করে ঘর সংসার করছে!
----------
এখন আমার প্রশ্ন হলো
১। উপরোক্ত ঘটনার বিবরণে, বাস্তবিকই কি উক্ত লিখিত ডিভোর্সটি কার্য্যকর হয় নি তথা ডিভোর্স বা তালাক কি স্ত্রীকে জানিয়ে-শুনিয়ে-ই দিতে হবে?
২। পুন:রায় বিবাহ করে ঘর-সংসার করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত হয়েছে?
৩। যদি পুন:রায় বিবাহ করা শরীয়ত সম্মত না হয়, তবে করনীয় কি?