আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
559 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন" নামে যে আন্তর্জাতিক একটি কার্জক্রমের সাথে আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত আছেন, এখানে অংশগ্রহণ করা কি কোনভাবে জায়েয? তাদের কার্জক্রম নিয়ে সাম্প্রতিক সময় বেশ কিছু বিতর্কিত তথ্য বেড়িয়ে আসছে, বিশেষ করে ইসলাম-বিদ্বেষী ফ্রান্স তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন দেশগুলোতে খনিজ পদার্থ ও অন্যান্য সম্পদ লুটপাটের মতো নানান অত্যাচার চালাচ্ছে। আমাদের দেশের মুসলিম সৈন্যরা যেহেতু মূলত তাদের এবং অন্যন্য অমুসলিম ও ইসলাম-বিরোধী দেশের সহায়তার জন্যই মিশনগুলোতে যায়, তাদের এই কাজ এবং এর থেকে উপার্জিত অর্থ কি হালাল? আর যদি তা হারাম হয়ে থাকে তাহলে অজ্ঞতা-বশত যারা ইতঃমধ্যে মিশন শেষ করে এসেছে তাদের করণীয় কী?

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই আমরা সেনাবাহিনীতে চাকুরীর বিধান জেনে নেইঃ   
সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের অতন্দ্রপ্রহরী। এটি একটি সরকারি চাকরি। স্বাভাবিকভাবে সরকারি চাকরি করা জায়েজ। খালেস নিয়তে চাকরি করলে সওয়াবের অধিকারী হওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।

হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق،

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-

انما الطاعة في المعروف

'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন" নামে আন্তর্জাতিক একটি কার্জক্রমের সাথে আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত আছেন, এখানে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা হয়,তাহলে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয়। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
  
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যতটুকু কাজ তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী করেছে,ততটুকু কাজের বেতন নেওয়া তাদের জায়েজ হবেনা।
আর যতটুকু তারা বৈধ কাজ করেছিলো,ততটুকু কাজ বা ততদিনের বেতন নেওয়া জায়েয আছে। 
বাকি টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিবে।
যদি তার পুরো কাজই ইসলাম বিরোধী হয়,তাহলে পুরো টাকাই ছদকাহ করে দিতে হবে।
,
সাথে সাথে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবাও করতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
জাযাকাল্লহ শায়েখ। 

by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রাসঙ্গিক আরেকটা প্রশ্ন, যদি মিশন করে আসার পরে সেখান থেকে পাওয়া টাকার বড় একটা অংশ আত্বীয়-স্বজনদের দিয়ে বা মাসজিদে দিয়ে বা এমন অন্য কোন ক্ষেত্রে খরচ হয়ে যায় তাহলেও সম্পূর্ণ টাকা সাদাকাহ করতে হবে নাকি নিজেদের জন্য ব্যবহৃত অংশটুকুই করতে হবে ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...