জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমেই আমরা সেনাবাহিনীতে চাকুরীর বিধান জেনে নেইঃ
সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের অতন্দ্রপ্রহরী। এটি একটি সরকারি চাকরি। স্বাভাবিকভাবে সরকারি চাকরি করা জায়েজ। খালেস নিয়তে চাকরি করলে সওয়াবের অধিকারী হওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق،
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন" নামে আন্তর্জাতিক একটি কার্জক্রমের সাথে আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত আছেন, এখানে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা হয়,তাহলে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যতটুকু কাজ তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী করেছে,ততটুকু কাজের বেতন নেওয়া তাদের জায়েজ হবেনা।
আর যতটুকু তারা বৈধ কাজ করেছিলো,ততটুকু কাজ বা ততদিনের বেতন নেওয়া জায়েয আছে।
বাকি টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিবে।
যদি তার পুরো কাজই ইসলাম বিরোধী হয়,তাহলে পুরো টাকাই ছদকাহ করে দিতে হবে।
,
সাথে সাথে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবাও করতে হবে।