ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী মডারেট মুসলিম কিংবা ফেমিনিস্ট চিন্তাভাবনাধারী হওয়ার কারণে তাকে তালাক দেওয়া যাবে না। বরং তাকে বুঝাতে হবে, বুঝানোর সকল প্রকার চেষ্টা করতে হবে। বুঝানোর সকল প্রকার পদ্ধতি গ্রহণ করার পরও যদি দেখা যায় যে, সে অবাধ্যতার দিকে অগ্রসর হতে হতে নিজ পরিবারে ফরজ বিধানকে লঙ্গন করে নিচ্ছে, তাহলে তখন তালাক দেয়ার রুখসত থাকবে।এমনকি পর্যায়ভেদে তালাক দেওয়াটা জরুরীও হবে।
(২)
ট্রান্সজেন্ডার নারী কিংবা পুরুষের সামনে নারী পুরুষ সবাইকে পর্দা করতে হবে।কেননা তারা তখন খুনছা বা হিজড়াদের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যাবে।