বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গর্ভাবস্থায় আসা রক্ত ইস্তেহাযা তথা রোগের রক্ত।
ইস্তেহাযার বিধান হল,
নামায,রোযা করতে হবে। এ অবস্থায় সকল প্রকার ফরয ইবাদত করতে হবে।এবং নফল ইবাদত করা যাবে।
প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একটি ওজু করে নিলেই যথেষ্ট হবে।এক ওয়াক্তের ভিতর যত সম্ভব উক্ত ওজু দ্বারা ইবাদত করা যাবে।(খাওয়াতিনে ইসলামি ইনসাইক্লোপেডিয়া-৩৪১-৩৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যদি অধিকাংশ ধারণা থাকে যে,উক্ত স্রাব নামায বা ইবাদতের পরই বের হয়েছে,তাহলে প্রস্রাবের পূর্বে দেখা উক্ত স্রাব পবিত্রতার কোনো ক্ষতি করবে না।
কেননা ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ
পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।
(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
কিন্তু যদি অধিকাংশ ধারণা হয় যে,উক্ত স্রাব নামাযের পূর্বে বা নামাযের সময়ই বের হয়েছে,তাহলে পবিত্রতা চলে যাবে।আবার নতুন ওজু করে নামায আদায় করতে হবে।
আপনার যদি নিয়মিত এমন হয়,তাহলে একদিন একটু কষ্ট করে পরীক্ষা করে দেখবেন যে,নামাযের সংকুচিত কোনো একটি ওয়াক্ত যেমন আছরের পূর্ণ ওয়াক্তেই কি এমন সমস্যা হচ্ছে,মিনিট পাঁচেক পরপর যখনই নামায পড়ার চেষ্টা করবেন,তখনই কি এমন হয়,যদি পূর্ণ ওয়াক্ত ব্যাপী এমন হয়ে থাকে,তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।মা'যুরের হুকুম হল,তিনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবারই ওজু করবেন।এবং সে ওয়াক্তের ভিতর এক ওজু দ্বারাই যতইচ্ছা ইবাদত করতে পারবেন।