ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুদ হারাম।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) :
ব্যাংকে চাকুরী করা সর্বক্ষেত্রে হারাম নয়।বরং কিছু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৈধ রয়েছে।যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।
পাত্রর বাবা যদি ব্যাংকের সূদী সেক্টরে চাকুরী করে,এবং ব্যাংকের টাকায় বাড়ী গাড়ী করা হয়,তাহলে এসব হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে।পাত্রর বাবার জন্য ওয়াজিব ঐ সমস্ত মাল সদকাহ করে দেয়া।বাবার মৃত্যুর পর পাত্র উক্ত মালের মালিক হবে না।কেননা হারামের মালের মালিক কেউ হয় না।বরং এগুলো সদকাহ করতে হয়।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
ছেলের যদি আলাদা ইনকাম সোর্স থাকে,এবং সে আলাদা ভাড়ীতে রাখার ওয়াদা করে,বাবার হারাম কোনো টাকা সংসারে খরচ করবে না বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়,তাহলে এমন পাত্রর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা নয়। নতুবা এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়াই উচিত।হ্যা, কারো হয়ে গেলে, তার জন্য ঐ পাত্রের বাড়ীতে থাকা খাওয়া নাজায়েয হবে না।তবে হারাম সম্পদ থাকার কারণে পাত্র গোনাহগার হবে।