ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি এভাবে আকিদা রাখতে পারেন যে,
"যিনা হারাম, এটা আল্লাহর বিধান।"
"যারা যিনা করে,তারাও শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে পায়, আল্লহর হুকুমে করে। কেননা, তাদেরকে যিনা করার যোগ্যতা বা যিনা থেকে বেচে থাকার যোগ্যতা , উভয়টিই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয় । কিন্তু বেচে নেয়ার দায়িত্ব বান্দার। বান্দার বেচে নেয়ার উপর ফল ভোগ করবে। অর্থাৎ আকিদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইস্তেতাআত তথা কাজের যোগ্যতা আল্লাহই দান করেন। বান্দাকে নেক কাজের সামর্থ্য এবং বদ কাজের সামর্থ্য উভয়টিই আল্লাহ দান করেন। কেউ যদি যিনা করে, তাহলে একথা বলা যাবে যে, এ যিনা করার মত সুযোগ বা সামর্থ্য হত্যা করার মত সামর্থ্য সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কিছুই করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যিনা না করার এবং হত্যা না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নেক কাজ করার হুকুম আল্লাহর তরফ হতে এসেছে, এবং বদ কাজ থেকে বেচে থাকার হুকুম আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে। তবে নেক কাজ বলেন, আর বদ কাজ বলেন, সবকিছুই আল্লাহ প্রদত্ব যোগ্যতা ও সামর্থ্য দ্বারা হয়ে থাকে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কোনো কাজ করতে পারবে না। নেক কাজও পারবে না,এবং বদ কাজও পারবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আসসালামু আলাইকুম
(১) সকল কাজ আল্লাহ প্রদত্ব সামর্থ্যর দ্বারাই হয়ে থাকে।তবে বান্দা ইচ্ছা করে, সুতরাং বান্দা কর্তৃক ইচ্ছা করার কারণে উক্ত খারাপ কাজের সম্পর্ক আল্লাহর দিকে করা যাবে না।বরং বান্দার দিকেই করা হবে।
(২)সকল কাজ আল্লাহর অনুমোদনে হয়, কথাটাকে এভাবে বলা যেতে পারে।বান্দা ইচ্ছা করার পর সামর্থ্য আল্লাহই দেন। এটা আল্লাহর পক্ষ্য থেকে বান্দার জন্য পরীক্ষা।
(৩)পুকুরে ফরজ গোসলের সময় নাপাকি পরা কাপড় গায়ে রেখেই গোসল করলে, ফরজ গোসল তো আদায় হবে।তবে কাথরুমে করলে ফরয গোসল আদায় হবে না।