নিম্মের লেখাটি সম্পর্কে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের অভিমত জানতে চাচ্ছি।
"অনেক মানুষ আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ যেন সবুরকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। ধৈর্য্য বাড়িয়ে দেন।আমাদের সুনানে নাসায়ির উস্তাদ, হাফিজ মাওলানা মুফতি সিদ্দিক আহমদ চিশতি হুজুর হাফিযাহুল্লাহ আমাদেরকে ছাত্রজীবনে এমন দুয়া করতে নিষেধ করতেন।তিনি বলতেন, আল্লাহর কাছে শুকুরগোজার বান্দা হওয়ার তাওফিক চাইবে। কৃতজ্ঞ হওয়ার, ধৈর্যের নয়। কারণ ধৈর্য্য যে চাইবে, তার উপর বিপদ আসতেই থাকবে। আর সে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতেই থাকবে। যদিও তার বিনিময় বিরাট। কিন্তু এই পরীক্ষা কষ্টের। পক্ষান্তরে শুকরিয়া আদায় করলে, আল্লাহ নেয়ামত বাড়িয়ে দেবেন, এটি তাঁর ওয়াদা। তিনি বলেন,لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ
যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেবো।(সুরা ইবরাহীম, ৭)
হ্যাঁ, বিপদ চলে আসলে ধৈর্য্য ধরুন। তবে আগ থেকে এটি চেয়ে নেবেন না। আল্লাহ তাওফিক দিন, আমিন।
মুআয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী (সাঃ) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে তখন বলছিল,“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ধৈর্য প্রার্থনা করি”। তিনি বলেনঃ তুমি আমার প্রভুর কাছে বিপদ কামনা করলে। অতএব তুমি তার কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। (তিরমিযী,আহমাদ) আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৭৩০"
ধৈর্য্য যে চাইবে, তার উপর কি বিপদ আসতে থাকবে? পবিত্র কুরআন মাজিদে ধৈর্য্যের যে দুয়া আছে সেগুলো আমরা কখন পড়ব, কিভাবে পড়ব?