আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
415 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)

নিম্মের লেখাটি সম্পর্কে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের অভিমত জানতে চাচ্ছি। 

"অনেক মানুষ আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ যেন সবুরকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। ধৈর্য্য বাড়িয়ে দেন।আমাদের সুনানে নাসায়ির উস্তাদ, হাফিজ মাওলানা মুফতি সিদ্দিক আহমদ চিশতি হুজুর হাফিযাহুল্লাহ আমাদেরকে ছাত্রজীবনে এমন দুয়া করতে নিষেধ করতেন।তিনি বলতেন, আল্লাহর কাছে শুকুরগোজার বান্দা হওয়ার তাওফিক চাইবে। কৃতজ্ঞ হওয়ার, ধৈর্যের নয়। কারণ ধৈর্য্য যে চাইবে, তার উপর বিপদ আসতেই থাকবে। আর সে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতেই থাকবে। যদিও তার বিনিময় বিরাট। কিন্তু এই পরীক্ষা কষ্টের। পক্ষান্তরে শুকরিয়া আদায় করলে, আল্লাহ নেয়ামত বাড়িয়ে দেবেন, এটি তাঁর ওয়াদা। তিনি বলেন,لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ

যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেবো।(সুরা ইবরাহীম, ৭)

হ্যাঁ, বিপদ চলে আসলে ধৈর্য্য ধরুন। তবে আগ থেকে এটি চেয়ে নেবেন না। আল্লাহ তাওফিক দিন, আমিন। 

মুআয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী (সাঃ) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে তখন বলছিল,“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ধৈর্য প্রার্থনা করি”। তিনি বলেনঃ তুমি আমার প্রভুর কাছে বিপদ কামনা করলে। অতএব তুমি তার কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। (তিরমিযী,আহমাদ) আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৭৩০" 

 ধৈর্য্য যে চাইবে, তার উপর কি বিপদ আসতে থাকবে? পবিত্র কুরআন মাজিদে ধৈর্য্যের যে দুয়া আছে সেগুলো আমরা কখন পড়ব, কিভাবে পড়ব? 

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ اللَّجْلاَجِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ تَمَامَ النِّعْمَةِ . فَقَالَ " أَىُّ شَيْءٍ تَمَامُ النِّعْمَةِ " . قَالَ دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا أَرْجُو بِهَا الْخَيْرَ . قَالَ " فَإِنَّ مِنْ تَمَامِ النِّعْمَةِ دُخُولَ الْجَنَّةِ وَالْفَوْزَ مِنَ النَّارِ " . وَسَمِعَ رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ فَقَالَ " قَدِ اسْتُجِيبَ لَكَ فَسَلْ " . وَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصَّبْرَ . فَقَالَ " سَأَلْتَ اللَّهَ الْبَلاَءَ فَسَلْهُ الْعَافِيَةَ " . حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... মু’আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি দু’আয় বলছেঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে নিয়ামতের পূর্ণতা চাই। তিনি বললেনঃ নিয়ামতের পূর্ণতা কি? লোকটি বললঃ একটি দু’আ করলাম আর এতে আমি কল্যাণ আশা করি। তিনি বললেনঃ নিয়ামতের পূর্ণতার মানে হল জান্নাতে দাখিল হওয়া এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির সাফল্য লাভ করা।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আবার এক ব্যাক্তিকে বলতে শুনলেনঃ ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। তিনি বললেনঃ তোমার দু’আ অবশ্যই কবুল হবে তুমি প্রার্থনা কর।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ধৈর্যধারনের তাওফিক চাই। তিনি বললেনঃ তুমি তো আল্লাহ তা’আলার মুসীবতের প্রার্থনা করছ, তার কাছে তোমার নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।

আহামাদ ইবন মানী (রহঃ) থেকে এই সন্দে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান।

(তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী] আল আদাবুল মুফরাদ ৭৩০.মুসনাদে আহমাদ।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ধৈর্য্য যে চাইবে, তার উপর বিপদ আসতে পারে। তাই উপরোক্ত হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাঃ ধৈর্যধারনের তাওফিক চাওয়ার দোয়া করা হতে নিষেধ করেছেন।

পবিত্র কুরআন মাজিদে ধৈর্য্যের যে দুয়া আছে সেগুলো আমরা বিপদ,মুসিবত, অসুস্থতা ইত্যাদি সময়ে কুরআনে বলে দেয়া বাক্য ব্যবহার করেই পড়বো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...