আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,

আমিত চাইনা আমার স্ত্রীর তালাক হোক, আমার স্ত্রীর উপর একবার ভুলের কারণে শর্তযুক্ত তালাক পড়ে। তখন ভাবতাম যদি শর্ত যদি পাওয়া যায় তাহলে তালাক হয়ে যাবে,হায় তার আগেই যদি আমার স্ত্রী মারা যায় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ তালাক হবেনা।আর তাকে জান্নাতেও পাব। আর যদি মারা যেতে দেরি হয় তাহলে আজীবন এই ভয়ে থাকতে হবে কখন এই শর্ত এসে যায়! আমার চিন্তা ছিল তালাক হয়ে চিরদিনের বিচ্ছিন্ন হবার চেয়ে মারা যেয়ে সাময়িক বিচ্ছিন্ন হওয়া ভাল।আমার এই চিন্তায় কি কোনো সমস্যা আছে?

২,স্ত্রীকে তালাক দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে যদি বলা হয় তুমি মরে যাও।তাহলে তালাক হবে?

৩, একবার স্ত্রীর কথা ভেবে তালাক দেয়ার নিয়তে নিজে নিযে একাকি 'যাহ','যা' 'চলে যা' বললে কি তালাক হবে?

৪, স্ত্রী কথা শুন্তেছিল না,বা রাগান্বিত করেছে। ত শুধু তালাক দেয়ার নিয়তে শুধু 'যাহ/যা' বললে তালাক হবে?

৫, আল্লাহু আকবার নামাজে তাকবির দেয়ার সময়,হু শব্দে যদি একাধিক আলিফ টান আসে তাহলে কি নামাজ নষ্ট হবে?

৬, আমার একবার সালাম ফেরানোর পর সাহু সিজদা দেয়ার দরকার পড়ে। আমার পাশে এক লোক দাড়িয়েছিল আমাকে অতিক্রম করার জন্য,তবে নামাজ শেষ না হওয়ার দরুন অপেক্ষায় ছিল,সে সালাম ফেরা মাত্র অতিক্রম করা শুরু করি,আমিত আগে থেকে থেকে বুঝতে পারছি যে সে আমার সাহু সিজদার আগেই সালাম দেখেই অতিক্রম করবে এজন্য সে অতিক্রম করার সময় ইচ্ছা করে হাত দিয়ে আঘাত করেছি এজন্য যে দেখো আমি সাহু সিজদা দিচ্ছি।তাকে দেখানোটাই উদ্দেশ্য ছিল। আমি তাকে আঘাত না করলেও হয়ত সে বুঝত,তবু ইচ্ছা করে করেছি।

আমার নামাজ কি হয়েছে?

৮, স্ত্রীর থেকে যদি চারমাসের অধিক দূরে থাকা হয়,বিয়ে কি ভেংগে যায়?

৯,সালাতে সুরা বাইয়িনাহ তেলাওয়াত করছিলাম,প্রথম আয়াতে, 'হাত্তা' শব্দে ه উচ্চারণ করেছি।ভুল করে। কিন্তু শুধরে নেইনি।নামাজ হবে?

১০, সিজদায় একটা দুয়া পড়ছিলাম যার মধ্যে ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বইয়ুম আছে। ত ক্বইয়ুম এ যে এক আলিফ টান আছে তা ব্যতিত পড়েছি।এতে নামাজ নষ্ট হবে?

১১,নামাজে টাইট কাপড় পড়লে যা সতরের আকার বুঝা যায় নামাজ হবে?

১২, অনেক সময় আন্ডার ওয়ার না পড়ার কারণে পেনিসের স্থান উচু হয়ে থাকে অনেক সময় মুসলমানি করার যে চামড়া উলটে দেয় সেই পুরু চামড়াত দাগ বুঝা যায়। এতে কি নামাজ নষ্ট হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।


(১.২.৩.৪)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবেনা। তবে শুদ্ধ ভাবে বলার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। 

(০৬)
আপনার নামাজ হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلَا يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلْيَدْرَأْهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ "

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সলাত আদায়কালে তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে দিবে না এবং সাধ্যমত যেন তাকে বাধা দেয়া হয়। সে বাধা উপেক্ষা করলে তার সাথে যুদ্ধ করবে। কারণ সে হচ্ছে একটা শয়তান।
(মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ মুসল্লীর সম্মুখে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাধা দান, ১/২৫৮), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ক্বিবলাহ, অনুঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার ব্যাপারে কঠোরতা, হাঃ ৭৫৬), আবু দাউদ ৬৯৭.মালিক (১/৩৩), আহমাদ (৩/৩৪)

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ حُمَيْدٍ، - يَعْنِي ابْنَ هِلَالٍ - قَالَ قَالَ أَبُو صَالِحٍ أُحَدِّثُكَ عَمَّا رَأَيْتُ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسَمِعْتُهُ مِنْهُ، دَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْ فِي نَحْرِهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ يَمُرُّ الرَّجُلُ يَتَبَخْتَرُ بَيْنَ يَدَىَّ وَأَنَا أُصَلِّي فَأَمْنَعُهُ وَيَمُرُّ الضَّعِيفُ فَلَا أَمْنَعُهُ

হুমায়িদ ইবনু হিলাল সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সালিহ (রহঃ) বলেছেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে যা করতে দেখেছি ও বলতে শুনেছি তোমার নিকট তাই বর্ণনা করব। একদা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) মারওয়ানের নিকট গিয়ে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ কোন কিছুকে সুতরাহ বানিয়ে সলাত আদায়কালে কেউ তা লঙ্ঘন করে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে সে যেন তার বক্ষে হাত মেরে তাকে বাধা দেয়। যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ সে হচ্ছে একটা শয়তান।
বুখারী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে মুসল্লীর বাধা দেয়া উচিত, হাঃ ৫০৯), মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাধা দেয়া,আবু দাউদ ৭০০)

(০৮)
এতে বিবাহ ভেঙ্গে যায়না।

(০৯)
এতে নামাজ নষ্ট হয়নি।

(১০)
নামাজ হয়ে যাবে।

(১১)
এতে নামাজ নষ্ট হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...