জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ يَا عِبادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعاً إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
‘বলে দাও, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর সীমালংঘন করেছে, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল বড় মেহেরবান।’
(সূরা যুমার : ৫৩)
,
وَالَّذِينَ إِذا فَعَلُوا فاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ اللَّهُ
‘এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনওভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে- আর আল্লাহ ছাড়া আর কেইবা আছে, যে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে? ’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ما أصر من استغفر
অর্থাৎ যে বান্দা গোনাহ থেকে ইসতিগফার করতে থাকে সে গোনাহের উপর জমে আছে বলে গণ্য হবে না। (আবু দাউদ : ১৫১৪)
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য শক্ত ভাবে হিম্মত আর পাকা ইরাদা চাই।
এবং এর সাথে সাথে কোনো হক্কানী
শায়েখের ছহবত গ্রহন করা।
,
বেশি বেশি সাইয়িদুল ইস্তেগফার পড়তে হবে।
(اللھم أنت ربی لاالہ الا أنت،خلقتنی وأنا عبدک ،وأنا علی عھدک ووعدک مااستطعت،أعوذبک من شر ما صنعت ، أبوء لک بنعمتک علی وأبوء بذنبی ،فاغفرلی فانہ لا یغفر الذنوب الا أنت))[رواہ مسلم]
বেশি বেশি এই দোয়াও পড়া যাবে।
,
رَبِّ اَعُوْذُبِکَ مِنْ ہَمَزَاتِ الشَّیَاطِیْنِ وَاَعُوْذُبِکَ رَبِّ أنْ یَّحْضُرُوْن
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ পরিহার করা উচিত,কারন এটি বুযুর্গানে দ্বীন থেকে পাওয়া কোনো তরীকা নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا
‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।’ (সুরা বাকারা :২৮৬)
,
তবে কিছু বুযুর্গানে দ্বীন বলেছেন যে এক্ষেত্রে সে ছদকাহর শর্ত করে।
যে এই গুনাহ আমার দ্বারা হলে আমি এতো টাকা ছদকাহ করে দিবো,তাহলে এই ছদকাহ দেওয়া অব্যাহত থাকলে এক দিন এসে অবশ্যই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যাবে।
ইনশাআল্লাহ।