জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যে সমস্ত কাজে দুনিয়া, আখেরাত ও স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার নেই, ঐ সমস্ত অনর্থক কাজে সময় ব্যয় করা শরীয়তে নিষেধ। ক্যারাম বোর্ড, লুডু খেলায় কোনো ধরণের উপকারিতা না থাকায় তা নাজায়েয।
(আল বাহরুর রায়েক-৮/১৮৯, ফাতাওয়া শামী-৬/৩৯৫)
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﺸْﺘَﺮِﻱ ﻟَﻬْﻮَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻟِﻴُﻀِﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﻭَﻳَﺘَّﺨِﺬَﻫَﺎ ﻫُﺰُﻭًﺍ ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻣُّﻬِﻴﻦٌ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।(সূরা লুকমান-০৬)
ﻓَﺬَﺭْﻫُﻢْ ﻳَﺨُﻮﺿُﻮﺍ ﻭَﻳَﻠْﻌَﺒُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﻠَﺎﻗُﻮﺍ ﻳَﻮْﻣَﻬُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻮﻋَﺪُﻭﻥَ
অতএব, তাদেরকে বাকচাতুরী ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দিন সেই দিবসের সাক্ষাত পর্যন্ত, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়।(সূরা যুখরুফ-৮৩)
ﻭَﻟَﺌِﻦ ﺳَﺄَﻟْﺘَﻬُﻢْ ﻟَﻴَﻘُﻮﻟُﻦَّ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﺨُﻮﺽُ ﻭَﻧَﻠْﻌَﺐُ ﻗُﻞْ ﺃَﺑِﺎﻟﻠّﻪِ ﻭَﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﺴْﺘَﻬْﺰِﺅُﻭﻥَ
আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে?(সূরা:তাওবাহ,৬৫)
আবু হুরাইরা রাযি. বলেন,
রাসূল্লাহ ﷺ বলেছেন,
من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه
একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)
,
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কেরাম,লুডু খেলা জায়েজ নয়।
,
তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে
কেরাম,লুডু সম্পর্কে এতটুকুই বলা যায় যে,এগুলো সময়কে অপচয় করিয়ে দেয়।এবং আল্লাহর যিকির থেকে মানুষকে গাফেল করে দেয়।
তবে শুধুমাত্র ঐ উদ্দেশ্যে অনুমতি দেয়া যেতে পারে যে,এক ইবাদতের পর অন্য ইবাদতের পূর্বে সৃষ্ট ক্লান্তিকে দূর করতে অন্যান্য শরীয়ত বিরোধী কাজকে পরিহার মূলক ঐ খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
জানুনঃ
,
তবে সতর্কতামূলক কোনো সময়েই না খেলা উচিত।