আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
১.নাপাক কয়েকটা কাপড় যদি একবার বালতিতে পানি দিয়ে ধোয়া হয় তারপর যদি সব কাপড় আলাদা আলাদা করে একবার ট্যাপের পানিতে ধোয়া হয় তাহলে কি পাক হবে??

২.বিয়ে পড়ানোর সময় হাসব্যান্ড বলেছিল যে কাবিন নমা তে ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর যেনো না লিখা হয়।কিন্তু কাজী বলে এইটা দেশের নিয়ম তাই হা লিখতে হবে।তাই হা লিখা হয়।এইভাবেই বিয়ে হয়।পরে হাজবেন্ডের সঙ্গে কথা বলতে উনি বলেন ১৮ নম্বরের উত্তর "না " তার জন্য। যে অধিকার ওয়াইফ কে দিয়া হয়নি।সেইটার উত্তর "না". এমনকি হাসব্যান্ড বলে ইসলামে এমন কাবিননামার ভ্যালু নাই।সাক্ষী ওয়ালি উপস্থিতিতে ইজাব কবুলে বিয়ে হয়।

এইখানে উইফ কেনায়া তালাক/ তালাক দিতে পারবে/উইফের মনে মনে এমন কোনো কথা আসলে কি তালাক/কেনয়া তালাক হবে ??

৩. মেহেদীর সঙ্গে চা, কফি মিশানো হয় রং গাঢ় করার জন্য।এই ভাবে কি মিশিয়ে মেহেদী হাতে,চুলে দিয়া যাবে? মেহেদীর সঙ্গে অনেক সময় বিট রুটের জুস মিশিয়ে চুলে দিয়া হয় চুলের রং পরিবর্তন করার জন্য।এইটা কি ঠিক?
by (16 points)
edited by
হাসব্যান্ড কিস করতে চাইলে ওয়াইফ না বলে(তারপর মনে মনে বলে কেনায় তালাক, কাল বিষয় নিয়ে আপনাদের ওয়েবসাইটে পরেছিলাম তাই ভুলে বলে দিয়েছি) এই ক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে গেছে? (দুপুরের ঘটনা) অনেক ওয়াসওয়াসা আসছে তালাক এর বিষয় টা জনার পর থেকে।আমাকে সাহায্য করুন। আমি নিজের কাছে তালাক দিয়ার অধিকার রাখতে চাইছি না ।কারণ এই নিয়ে আমার অনেক ওয়াসওয়াসা আসছে।

আবার হাসব্যান্ড কে বলেছি তোমাকে আমাদের ব্যাচের কোনো মেয়ে পছন্দ করে না কয়েক সেকেন্ড থেমে বলেছি আমি বাদে।দিয়ে মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ বলছি ২-৩ বার।পরে মনে আবার কেনায়া শব্দ টা আসছে। তখনই থেমে গেছি(সন্ধার ঘটনা))। আমার এই বিষয়ে ভয় লাগতে শুরু করেছে এখন। হাসব্যান্ড এর সঙ্গে ভয় ভয় নিয়ে কথা বলছি কি বলে ফেলি আর কি হয়ে যায়।আগেও এমন কিছু বলে ফেলেছি নাকি।আমাকে দ্রুত সঠিক টা জানলে ভালো হতো।

নিজের সঙ্গে নিজে মনে মনে কথা বলছি যে আমি আর আমার হাসব্যান্ড সেপারেট হয়ে গেলে এই টাইপ কিছু(সঠিক টা মনে নাই) মনে হলো পাশে থেকে কেউ আমাকে কেনায়া শব্দ টা মনে করায় দিলো আর আমার শব্দ টা মনেহয় গেলো(কিছুই আমি মুখে উচ্চারণ করিনি . সব মনে মনে হয়েছে).এইটা রাতের ঘটনা।আমাকে সাহায্য করেন।আমি আর এই ব্যাপারটা নিতে পারছি না।

দুয়া করছিলাম আল্লাহ আমার হাসব্যান্ড কে আমার থেকে আলাদা করে দিয়েন না,ছিনিয়ে নিয়েন না তখন হটাৎ মনে হয় এইগুলা কেনায়া বাক্য।আমি দুয়া  থামায় দেই।আমাদের বিয়ের কি সমস্যা হবে এই জন্য?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ يُونُسَ بِنْتُ شَدَّادٍ، قَالَتْ حَدَّثَتْنِي حَمَاتِي أُمُّ جَحْدَرٍ الْعَامِرِيَّةُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَتْ : كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَعَلَيْنَا شِعَارُنَا وَقَدْ أَلْقَيْنَا فَوْقَهُ كِسَاءً فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ الْكِسَاءَ فَلَبِسَهُ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْغَدَاةَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ هَذِهِ لُمْعَةٌ مِنْ دَمٍ . فَقَبَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَا يَلِيهَا فَبَعَثَ بِهَا إِلَىَّ مَصْرُورَةً فِي يَدِ الْغُلَامِ فَقَالَ " اغْسِلِي هَذِهِ وَأَجِفِّيهَا ثُمَّ أَرْسِلِي بِهَا إِلَىَّ " . فَدَعَوْتُ بِقَصْعَتِي فَغَسَلْتُهَا ثُمَّ أَجْفَفْتُهَا فَأَحَرْتُهَا إِلَيْهِ فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهِيَ عَلَيْهِ

উম্মু জাহদার আল-‘আমিরিয়্যাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে গেলে কি করতে হবে? ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, এক রাতে আমি (হায়িয অবস্থায়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রাত যাপন করলাম। আমাদের গায়ে নিজ নিজ কাপড় ছিল। সেটির উপর আমরা একটি চাদরও জড়িয়ে নিলাম। ভোর হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ চাদরখানি পরিধান করে ফজরের সলাত আদায়ে চলে গেলেন। তিনি সলাত আদায় করার পর বসলেন। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! এতে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাগ ও তার আশেপাশের অংশ হাতের মুঠোয় ধরে ঐ অবস্থায়ই এক গোলামের দ্বারা চাদরটি আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ এটা ধুয়ে ভাল করে চিপে নিয়ে আবার আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। আমি এক পাত্র পানি নিয়ে তা ধুয়ে ভাল করে পানি নিংড়িয়ে (শুকিয়ে) তাঁর নিকট পাঠিয়ে দিলাম। দুপুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ চাদরটি গায়ে দিয়ে (ঘরে) ফিরলেন।
(আবু দাউদ ৩৮৮)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করতে হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)

উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩) 
,
আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এভাবে সব কাপড় আলাদা আলাদা ভাবে সরাসরি ট্যাপের পানিতে  এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে।

(০২
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাজী সাহেব পাত্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিকাহনামার ১৮ নং ধারায় "হ্যাঁ" লিখেছে।

সুতরাং এক্ষেত্রে ১৮ নং ধারায় এই "হ্যাঁ" লেখার পর যদি পাত্র তাতে স্বাক্ষর করে থাকে,এবং পাত্রের এই স্বাক্ষর যদি ইজাব কবুলের পরে হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।

সুতরাং এক্ষেত্রে স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহনের সমর্থক কোনো কেনায়া বাক্য তালাকের গ্রহনের নিয়তে বললে তালাক হবে।

(০৩)
এইটা জায়েজ আছে।
তবে কোনো ভাবেই বিজাতীয় সংস্কৃতিএ অনুসরণ বা ফ্যাশনের নিয়তে এমনটি করা যাবেনা,এবং এতে যেনো চুল কালো হবে এমন কিছু ব্যবহার করা যাবেনা,পর পুরুষকে দেখানোর নিয়তে এমন করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...