আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু 'আলাইকুম!!!
প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে অর্থাৎ ১২/১৩ বছর বয়সে কারও নামে যদি কোন মিথ্যা কথা বলা হয় বা অপবাদ দেওয়া হয় তাহলে বড় হওয়ার পর(১৮ বছর বয়সে) যদি মনে পড়ে তাহলে করণীয় কি?উল্লেখ্য আমার মতে যার কাছে বলা হয়েছে এবং যারা শুনেছে তাদের সবার এখন সেসব কথা মনে নেই বা খেয়ালে নেই!!!আমি একজনকে সত্যবোঝাতে চেষ্টা করেছি,,,কিন্তু দেখি তার মনে নেই,,,, এখন তাদের সবার কাছে কাছে সত্য বলতে গেলেও কারও দ্বারা ফিতনার আশঙ্কা আছে এবং সেসব বিষয়ে বলা এখন লজ্জার বিষয়!!!ঘটনাটি প্রায় ৬ বছর আগের!!! যার নামে বলা হয়েছে তাকে সত্য বলতে গেলেও ফিতনার আশঙ্কা আছে এবং সে একজন মেয়েলোক এবং তার সঙ্গে আমার ধরতে গেলে কথা হয় না!!!!যে ঘটনাটি হয়েছিল,,,,এক বাসায় গিয়েছিলাম!!!দুইজন মেয়েলোক কতাবা্রতা বলছিল,,,,,তাদের কথা আমি শুনেছিলাম,,,কার কি সার্চ দেয়া নিয়ে বলছিল,,,,আমি এক বাসায় থাকতে সেখানকার একজনকে সেটা সার্চ দিতে বলি,,,,,সেখানে  অশ্লীল কিছু হয়তো আসে,,,সম্ভব ত আমার মা আমাকে জিঞ্জাসা করে কে বলেছে আমাকে এবং আমি তাদের দুইজনের মধ্যে একজনের নাম বলে দেই এবং সে যে আমাকে বলেছে সেটাও  জিঞ্জাস করাতে সম্ভবত হ্যা সূচক উত্তর দিয়েছি নাকি স্পষ্ট মনে নেই এবং তা সেখানে উপস্থিত অন্যরাও শুনে!!!কেউ একজন তার ব্যাপারে জিঞ্জাসা করে এবং সে তার পরিচয় দিয়ে দেয় সবার সামনে!!!যদিও তারা(যারা কথা বলছিল,,,যাদের কথা শুনেছিলাম) আমাকে বলে নি,,তাদের নিজেদের মধ্যে কতাবার্তা বলছিল!!! তো এখন আমার করণীয় কি,,,উল্লেখ্য: যার ব্যাপারে বলা হয়েছে সে জানে না তার বিষয়ে বলা হয়েছে

1 Answer

0 votes
by (57,570 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/79517/নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

বালেগ হওয়ার পূর্বে কৃত গুনাহের ক্ষেত্রে যেহেতু সে মুকাল্লাফ হয়নি,তাই এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবেনা। তার উপর কোনো শাস্তিও আরোপ করা হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত। (সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। (আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/15026/

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১২/১৩ বছর বয়সে আপনি বালেগ ছিলেন কি না? যদি বালেগ না হয়ে থাকেন , তাহলে জেনে রাখা উচিত যে, বালেগ হওয়ার পূর্বে কৃত গুনাহের ক্ষেত্রে যেহেতু আপনি মুকাল্লাফ হনি,তাই এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা। কোনো শাস্তিও আরোপ করা হবেনা। তবে কেউ কেউ বলেছেন যে বালেগ হওয়ার পূর্বে কোনো গুনাহ করলে তার উপর কোনো শাস্তি আরোপ করা না হলেও সেই গুনাহ আমলনামায় লেখা হয়।

আর যদি আপনি ঐ সময় বালেগ হয়ে থাকেন তাহলে তাদের কাছে আপনি ক্ষমা চেয়ে নিবেন এই ভাবে যে, যদি কখনো কোন অন্যায় আপনাদের সাথে করে থাকি তাহলে মাফ করে দিবেন। উক্ত মিথ্যা কথা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...