আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম। [আমার নিজের ফোনে সিম নেই। আমি বিভিন্নজনের কাছে ফোন দেই এজন্য  আমাকে সিম দেয় নি।আমি অন্যের সিমে এম্বি কিনে প্রশ্ন 

করেছি আমার জুম মিটিং করার মতো অবস্থা নেই।  ]     আমি ইমদাদুল হুজুর এর নিকট প্রশ্ন করেছি। তিনিই উত্তর দিবেন ।
(আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। আমি মানসিক ডাক্তার দেখাচ্ছি। ডাক্তার বলেছে আমার Ocd রোগ হয়েছে।

     আমি আমার স্বামীকে কখনো  তালাক দিতে চাইনি।
আমি তার সাথে থাকতে চাই দুনিয়া এবং জান্নাতে একসাথে ।কিন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  মুফতীদের সাথে কথা বলার সময় এমন কথা বলছি যা নিয়ে সম্যসা হচ্ছে।
আমার অবস্থা বুঝে ফতোয়া দিবেন। আমার তালাক
 হয়েছে কিনা। আমি খুবই মানসিক  কষ্টে আছি।)
আমার আগের প্রশ্ন ঃ
https://ifatwa.info/72458/
https://ifatwa.info/71246/
https://ifatwa.info/71735/

Note ( আমার স্বামীর কাছে আমি   কখনো তালাকের অধিকার চাইনি। আর সেও আমাকে তালাকের
 অধিকার  দিতে চায়নি। কিন্তু বিভিন্ন সময়  তালাকের অধিকার নিয়ে আলোচনা করায় তার মুখ থেকে
অধিকার এর কথা অনিচ্ছাকৃত  ভাবে বের হয়ে গেছে।
**    আমার স্বামীকে পান খেতে ফোনে   নিষেধ করছি তখন সে বলছে ,

"  আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়।"

***একদিন  তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা

 চলছিল তখন বলছে অধিকার দিলাম। (তার অধিকার

দেওয়ার নিয়ত ছিল না)

***অন্যএকদিন  তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া নিয়ে  আলোচনা চলছিল তখন রাগ করে  বলছে, তোমার  যা ইচ্ছে করো। (তার তালাক গ্রহনের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না)

**অন্য একদিন বলছে তুমি যখন ইচ্ছে তখন তালাক
গ্রহন করতে পারবে।( আমি একেবারে শিওর না সে এটা বলছে কিনা। সে বলছে আমি এটা বলি নায়।)
***আর কাবিননামায়ও তালাক গ্রহনের  অধিকার দিছে)

প্রশ্ন ১) তোমারে সেদিনকা আমি বলছিলাম  নিজ

নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি   এই কথাটা এক আপুকে  বলছি।

প্রশ্ন হলো উপরের ওই কথাগুলো মুখে বলায় এবং  লেখায়  আমার স্বামী   কি তালাক হবে  ?

প্রশ্ন ২) আমি বলছি " শয়তান আমাকে বুঝাইতেছে তুই যে বলছো সেদিন তোমারে বলছিলাম তাইলে  নিজ

 নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি৷

এখন  প্রশ্ন  উপরের কথাগুলো মুখে বলায় এবং  লেখায় আমার স্বামী কি তালাক হবে?

৩) সেদিন যখন ওই আপুকে কথাগুলো  বলছি তখন তাইলে বলি নায়। কিন্ত পরে যখন বলছি ওই একই কথা তার আগে তাইলে যুক্ত করে বলছি এরকম (*তাইলে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি)

এখন প্রশ্ন হলো উপরের কথাগুলো  মুখে বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী  তালাক হবে কি?

প্রশ্ন ৪)  "সেদিন তোমারে  এই কথাটা  বলছিলাম না যে, নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি এই কথা সেদিন তোমারে আমি বলছিলাম অই আপুরে বলছি

এইরকম"।

প্রশ্ন উপরের কথাগুলো মুখে  বলায় এবং   লেখায় কি আমার স্বামী তালাক হবে?          
প্রশ্ন৫) জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার এক

 মুফতিকে জিজ্ঞেস করছি-

" আমিঃ- মুফতি সাহেব  আমি  কাবিননামায়  অধিকার পাইছি এখন  বনিবনা না হওয়ার কারনে   যদি নিজ

 নফসের উপর তালাক দেই   তাহলে তালাক হবে?

মুফতিঃ কি বলছেন?

আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।( মুফতির কাছে মিথ্যে বলছি।এই কথাগুলো   এর আগে এভাবে স্পষ্টভাবে   কখনো বলি নায়।মুফতি জিজ্ঞেস  করার পর  কথাগুলো  প্রথমবারের মতো   ওইভাবে

 বলছি)

এখন প্রশ্ন মুফতির জিজ্ঞেস করায় উপরে যে আমি লিখেছি  ----

"আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।"

এই কথা  মুখে বলার  কারনে এবং লেখার কারনে

আমার স্বামী কি তালাক হবে?

৬) এক মুফতিকে জিজ্ঞেস করছিলাম,  আমি   যদি

 নফসের উপর তালাক দেই তাহলে হবে?

মুফতিঃকেমনে?  কি শব্দে

আমিঃ  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি

এইটা বলে।

এখন প্রশ্ন আমি যে উপরে  লিখছি " নিজ নফসের

উপর তালাক  দিলাম বা দিছি   এইটা বলে"। এইটা লেখার  কারনে এবং মুখে বলার কারণে  আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ৭)  আমি একজন মুফতিকে বলছি আমি যদি

নিজ নফসের উপর তালাক দেই তাহলে হবে?

মুফতিঃ আপনার ওই শব্দ বুঝতে হবে আগে।

আমিঃ আমি বলছি যে নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।

এখন প্রশ্ন আমি যে উপরে লিখেছি, " আমি বলছি নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি "। এইটা লেখার কারনে এবং মুখে বলার কারণে আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ৮) একদিন আমি বলছিলাম নফসের উপর তালাকের কথা বলছি। এই কথা মুখে  বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ৯) একদিন আমি জোড়ে জোড়ে শব্দ করে বলছি  সেদিন তোমারে  বলছি নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি এই কথাটা ।

প্রশ্ন উপরের কথাগুলো লেখায় এবং মুখে  বলার

 কারণে আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ১০)    একদিন আমি এক  মুফতিকে ফোনে

  বলছিলাম,  অন্য এক মেয়ে বলছে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।  (এই কথাটা ২ বার বলছি তাকে)

( note: আসলে অন্যকোন মেয়ে ওই কথাগুলো  বলে নায় কখনো।  আমি নিজেই বলছি  উপরের কথাগুলো।নিজেকে অন্য মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করে কথাগুলো  মুফতিকে  বলছি৷)

তাহলে প্রশ্ন মুফতির কাছে অন্য মেয়ে  সেজে

 কথাগুলো  মুখে বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী  তালাক  হবে  কি?

প্রশ্ন ১১)  আমি যদি শব্দ করেই  নফসের উপর তালাক দিলাম এই লেখাটা  পড়ি তবে আমার স্বামী  তালাক

হবে কিনা?

এখন প্রশ্ন উপরের কথাগুলো   মুখে বলায়  এবং  লেখায় আমার স্বামী তালাক হবে কি?

প্রশ্ন ১২) যদি আমি  নিচের লেখাটা শব্দ করে পড়ি  ("আমি আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম")

তাহলে উপরের কথাগুলো মুখে  বলায় এবং লেখায়

 আমার স্বামী তালাক হয়ে যাবে কি?

১৩) যদি  আমি   কোনো  এক মুফতিকে বলি, আমি আমার হাসবেন্ডকে নফসের উপর তালাক দিছি।

( আসলে  তালাক দেই নি।) তাহলে অই কথা মুখে

বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী কি তালাক হবে?

১৪) আমার স্বামীকে বলছি বাড়ি যাও। তালাকের নিয়ত ছাড়া যতটুকু মনে পড়ে।  এতে কি সে তালাক হবে?

১৫) আমি একদিন  এক মুফতিকে বলছিলাম,

" মুফতি সাহেব  আপনি যে বলছেন আমি আমার

 হাসবেন্ডকে নফসের উপর তালাক দিছি৷  এতে নাকি

এক তালাকে রজয়ী হয়েছে। "

 তাহলে প্রশ্ন , আমি কখনো  তালাক  দেইনি৷  কিন্ত

মুফতির কাছে  বলছি -

"  আপনি যে বলছেন আমি আমার হাসবেন্ডকে

নফসের উপর তালাক দিছি৷"

এই কথাগুলো  মুখে  বলায় এবং  লেখায়  কি  আমার  স্বামী  তালাক  হবে ?

১৬)  আমি একদিন বলছি ওই কাজ করলে   স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। তার কয়েকদিন  পর সেই কাজ করেছি। এতে কি আমার স্বামী তালাক হবে?

১৭)যদিও আমি কখনো লিখে  তালাক  দেইনি।কিন্ত

 আমি এক মুফতির কাছে  লিখেছি,

"ওয়াসওয়াসা রুগীর তালাক হয় না। কিন্ত আমি তো   তালাকের কথা মুখে উচ্চারণ করে বলছি এবং লিখছি।  মুুুখে  উচ্চারণ করে বলায় এবং  লিখে  তালাক

 দেওয়ার  কারনেও তালাক হবে না?"

 তাহলে  প্রশ্ন  উপরের  কথাগুলো  লেখায়  আমার  স্বামী  কি  তালাক  হবে?

১৮)  স্বামী বলছে যদি কখনো তালাক হয় তাহলে

 এমনিতেই অটোমেটিক আলাদা হয়ে যাবো। এখন প্রশ্ন হলো যদি কখনো এক  তালাক হয় তাহলে এই কথায় অটোমেটিক আবার তালাক হবে?

১৯) যদি কোনো  মেয়ে সারাজীবন এর জন্য     তালাক  গ্রহনের  অধিকার  পায় এবং কখনো  লিখে  তালাক  না দেওয়া স্বত্তেও  নিচের  কথাটা লেখে-

"আমি তো তালাকের কথা বলছি এবং  লিখছি। লিখে  তালাক দেওয়ার  কারনেও তালাক। হবে না"

তাহলে  প্রশ্ন  উপরের  কথাগুলো  লেখায়  তার  স্বামী  কি  তালাক  হবে?

২০)যদি কোনো মেয়ে সারাজীবন এর জন্য   তালাক গ্রহনের অধিকার পায়। এবং    কোনো মুফতির কাছ থেকে উত্তর জানার জন্য এমনভাবে প্রশ্ন করে যেভাবে প্রশ্ন করার দরুন তার স্বামী তালাক হয়ে যায়।কিন্ত সে স্বামীকে তালাক দিতে চায়নি। শুধু উত্তর জানার জন্য  প্রশ্ন

 করেছে। তাহলে এতে  কি তার স্বামী তালাক হবে? 

1 Answer

0 votes
by (690 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...