আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)

https://ifatwa.info/77904/
এই জবাবে জনাব সদরুস শহীদ রহঃ এর ফতোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর আলোকে প্রশ্নগুলো।

প্রশ্ন১: একখন্ড কাগজে কোনো সংখ্যা লেখা থাকলে এবং সেই কাগজে কেউ তালাকের নিয়ত সহকারে সিগনেচার করলে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে?


আরও প্রশ্ন
---------------------
https://ifatwa.info/77904/ এই প্রশ্নের জবাব জেনে কোনো ব্যাক্তি দৈনন্দিন জীবনে নৈমিত্তিক কাজেকর্মে প্রায়ই সংখ্যা উচ্চারণ করতে গেলে বা করার সময় ভীষণভাবে ভীত/আতংকিত/ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ হয়। দৈনন্দিন জীবনে সংখ্যা উচ্চারণ করতে, তারিখ লিখতে, মোবাইল নম্বর বলতে/টাইপ করতে, ক্যালকুলেটরে সংখ্যা চাপতে, আওয়াজ করে টাকা গুনতে প্রায়শই মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়। এমনিতেই ব্যাক্তিটি আগে থেকেই প্রায়শই কেনায়া শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করতে ভয়ে থাকে। প্রায় দিনেই কয়েকবার নানারকম ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন২: অফিসের জ্বালানি/ফুয়েল ব্যবহারের পরিমাণ নথিভুক্ত/রেকর্ডভুক্ত করার উদ্দেশ্যে একটি কাগজে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা উল্লেখ করা ছিল এবং স্বাক্ষরিত হবার অপেক্ষায় ছিল। সংখ্যাগুলো ছিল ফুয়েলের পরিমাণ, মাস/সালের নাম, ফুয়েল ব্যবহারের সময়, টাকার পরিমান (ছবি এখানে)। এসময় সেই অফিশিয়াল কাগজে ঐ ব্যাক্তি সিগনেচার করার সময় নিয়ত সহকারে চিন্তা আসলে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো ক্ষতি হবে? জনাব সদরুস শহীদ এর ফতোয়ার পরে বিষয়টি চিন্তা করে ভয় হয়।

প্রশ্ন৩:
https://ifatwa.info/78437/
এই প্রশ্নের জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে-
"চাওয়া/ইচ্ছা কিংবা সংকল্পের মাত্রা  সম্পূর্ণ সময় জুড়ে দৃঢ়ভাবে মনের মধ্যে থাকলেই কেবল সেটাকে নিয়ত বলা যাবে।"

সেক্ষেত্রে প্রশ্ন২ এ বর্ণিত ক্ষেত্রে সিগনেচার অর্ধেক করার পরে মাথায় নিয়তের মত ভাবের উদ্রেক হলে সেটাকে কি নিয়ত বলা যাবে? সিগনেচার করার পুরোটা সময় জুড়ে নিয়তের ভাব না থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন৪: নিয়তের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া না গেলে বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন৫: এইসব প্রশ্ন (২নং থেকে ৫নং) করার ফলে কি কোনো স্বীকারোক্তি করা হয়ে যাবে?

(প্রতিটি প্রশ্নের জবাব উল্লেখ করবেন প্লিজ)

by
ভাই আপনি কি উত্তর পেয়েছেন?এই প্রশ্নের জবাব জানাটা আমার অত্যন্ত জরুরি। 

1 Answer

0 votes
by (690 points)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

by (26 points)
reshown by
এই জবাবের দ্বারা বিজ্ঞ মুফতি সাহেব কর্তৃক প্রশ্নে বর্ণিত ব্যাক্তিকে কি ওয়াসওয়াসার রোগী হিসেবে সাব্যস্ত করা হচ্ছে?

-----------------
আসসালামু আলাইকুম
বিজ্ঞ মুফতি সাহেব এবং IOM admin,

আপনাদেরকে ধন্যবাদ ifatwa ওয়েবসাইট চালানোর মত শ্রমসাধ্য কাজের জন্য। এই সাইটে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেখে অনেক কনফিউশন/ভুল ধারণা থেকে সঠিক বিষয় জানা সম্ভব হয়। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব সম্পর্কে জানতে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন সার্চ করে আরো অনেক কিছুই জানা যায় যে প্রশ্নগুলো অতীতে কোনো একসময় মনে এসেছিল কিংবা যে বিষয়গুলো জানা ছিল না। অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজে দেখে মন শান্ত হয়েছে। অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে মন শান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে, আপাতত ওয়াসওয়াসা বিষয়ক প্রশ্নের জবাব আপনারা প্রদান করবেন না। এ জাতীয় প্রশ্নে IOM admin অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইন কোর্স করার জন্য বলা হচ্ছে। আশা করি অনেকেই এর ফলে উপকৃত হবে।

জবাব প্রদান করার বিষয়টি আপনাদের আওতাধীন বিষয়। হয়তো প্রশ্নসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া বা সময়ের অভাবে আপনাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। কিংবা অন্য কোনো সংগত কারনে হয়তো জবাব প্রদান করছেন না। কিন্তু প্রশ্নের জবাব না পেলে বেশ অশান্তি লাগে। এটা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি। কোর্সের সাথে সাথে প্রশ্নের জবাব প্রদান অব্যাহত থাকলে মনে হয় ভাল হত।
by (597,330 points)

বিশেষ বিবেচনায় জবাব দেয়া হল,


একখন্ড সাধারণ কাগজে কোনো সংখ্যা লেখা থাকলে এবং সেই সাধারণ কাগজে কেউ তালাকের নিয়ত সহকারে সিগনেচার করলে, বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...