আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাই,
আমি Youtube এ আত-তাহরিক চ্যনেলে আহলে হাদিস এর হুজুর ড. মুহাম্মাদ কাবিরুল ইসলাম।
সহ কারী সম্পাদক, মাসিক আত-তাহরীক। ওনার ফতোয়া দেখি। ভিডিও লিঙ্ক :
https://youtu.be/yYTH6c90640
স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক ব্যাপারে ওনার কাছে প্রশ্ন করলে উনি উত্তর দেন যে,
স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক দিচ্ছে কাকে তালাক দিচ্ছে। না জানিয়ে হাওয়ায় তালাক দিলে সেটা হবে না। তবে স্ত্রীকে না জানিয়ে তালা* দিলে হবে তবে সেটা স্ত্রীর জানতে হবে তাকে জানাতে হবে। বিবাহ আর তালাক স্বামি স্ত্রীর মধ্যকার ব্যাপার। সেটা মোবাইলে,চিঠিতে কাজির মাধ্যমে যেভাবে হোক সেটা জানাতে হবে। তাহলে তালা** কার্যকর হবে। এবং ইদ্দতের ব্যাপারে স্ত্রী যেদিন জানতে পারবে সেদিন থেকে ইদ্দত পালন শুরু হবে।
হুজুর ওনাদের আত-তাহরিক ওয়েবসাইটেও একই ফতোয়া দেওয়া আছে:
https://at-tahreek.com/article_details/7841
স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
ওনারা হাদিসের দলিল দিচ্ছে যে :
আবূ সালামাহ্ (রহঃ) ফাত্বিমাহ্ বিনতু কয়স (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তার স্বামী আবূ ’আমর ইবনু হাফস্ তাকে চূড়ান্ত তালাক দেয়, ঐ সময়ে সে মদীনায় উপস্থিত ছিল না। অতঃপর স্বামীর ওয়াকীল (দুইজন প্রতিনিধি : আইয়্যাস ইবনু আবূ রবী’ এবং হারিস ইবনু হিশাম) আমার নিকট কিছু যব নিয়ে আসে, যাতে আমি (অতি নগণ্য মনে করে) অসন্তোষ হই। ওয়াকীল বলল, আল্লাহর কসম! আমাদের নিকট তোমার আর কিছুই পাওনা নেই। (কারণ, তুমি ত্বলাক (তালাক)ে বায়িনপ্রাপ্তা অর্থ বাবদ যব ছাড়া আর কিছুই রেখে যায়নি) এতে ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে অভিযোগ করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার কোনো খোরাকি খরচ নেই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে উম্মু শরীক-এর ঘরে ’ইদ্দত পালনের নির্দেশ দেন।
সহীহ : মুসলিম ১৪৮০, আবূ দাঊদ ২২৮৪, নাসায়ী ৩২৪৫, আহমাদ ২৭৩২৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪০৪৯। মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩২৪
হুজুর উপরোক্ত হাদিসে তার স্বামি অনুপস্থিতিতে তাকে তালাক দিলেও তিনি দুইজন প্রতিনিধি পাঠান এবং দুইজন ওয়াকীল তাকে তালাক কথা তার কাছে এসে বলে। তারপর তিনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে অভিযোগ করলেন। তারপর তাকে ইদ্দত পালন করতে বললেন।অতঃপর যখন তার ’ইদ্দতকাল শেষ হবে, তখন রাসুল (সাঃ) কে জানাতে বলেছে।তারপর তার ’ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার পর রাসুল (সাঃ) কে জানিয়েছিলেন।
হুজুর ডা: কাবিরুল ইসলাম যে ফতোয়ার আলোকে বলেছেন এবং ওনার কথা সহিহ হাদিস এর সাথে মিল আছে।
তারপরও আমি জানতে চাই ওনার কথা গুলা কি যুক্তিযুক্ত?? এবং ওনার কথার দ্বারা আমল করা যাবে??? উনি যেহেতু সহিহ হাদিছ বা আহলে হাদিসের হুজুর ওনার কথা অনুযায়ী আমল করতে পারবো???