আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাই,

আমি Youtube এ আত-তাহরিক চ্যনেলে আহলে হাদিস এর হুজুর  ড. মুহাম্মাদ কাবিরুল ইসলাম। 
সহ কারী সম্পাদক, মাসিক আত-তাহরীক। ওনার ফতোয়া দেখি। ভিডিও লিঙ্ক :

https://youtu.be/yYTH6c90640

স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক ব্যাপারে ওনার কাছে প্রশ্ন করলে উনি উত্তর দেন যে, 
স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক দিচ্ছে কাকে তালাক দিচ্ছে। না জানিয়ে হাওয়ায় তালাক দিলে সেটা হবে না।  তবে স্ত্রীকে না জানিয়ে তালা* দিলে হবে তবে সেটা স্ত্রীর জানতে হবে  তাকে জানাতে হবে। বিবাহ আর তালাক স্বামি স্ত্রীর মধ্যকার ব্যাপার। সেটা মোবাইলে,চিঠিতে কাজির মাধ্যমে যেভাবে হোক সেটা জানাতে হবে। তাহলে তালা**  কার্যকর হবে। এবং ইদ্দতের ব্যাপারে স্ত্রী যেদিন জানতে পারবে সেদিন থেকে ইদ্দত পালন শুরু হবে।


হুজুর ওনাদের আত-তাহরিক ওয়েবসাইটেও একই ফতোয়া দেওয়া আছে: 
https://at-tahreek.com/article_details/7841

স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

 

ওনারা হাদিসের দলিল দিচ্ছে যে : 


আবূ সালামাহ্ (রহঃ) ফাত্বিমাহ্ বিনতু কয়স (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তার স্বামী আবূ ’আমর ইবনু হাফস্ তাকে চূড়ান্ত তালাক দেয়, ঐ সময়ে সে মদীনায় উপস্থিত ছিল না। অতঃপর স্বামীর ওয়াকীল (দুইজন প্রতিনিধি : আইয়্যাস ইবনু আবূ রবী’ এবং হারিস ইবনু হিশাম) আমার নিকট কিছু যব নিয়ে আসে, যাতে আমি (অতি নগণ্য মনে করে) অসন্তোষ হই। ওয়াকীল বলল, আল্লাহর কসম! আমাদের নিকট তোমার আর কিছুই পাওনা নেই। (কারণ, তুমি ত্বলাক (তালাক)ে বায়িনপ্রাপ্তা অর্থ বাবদ যব ছাড়া আর কিছুই রেখে যায়নি) এতে ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে অভিযোগ করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার কোনো খোরাকি খরচ নেই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে উম্মু শরীক-এর ঘরে ’ইদ্দত পালনের নির্দেশ দেন।

সহীহ : মুসলিম ১৪৮০, আবূ দাঊদ ২২৮৪, নাসায়ী ৩২৪৫, আহমাদ ২৭৩২৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪০৪৯। মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩২৪

হুজুর উপরোক্ত হাদিসে তার স্বামি অনুপস্থিতিতে  তাকে তালাক দিলেও তিনি দুইজন প্রতিনিধি পাঠান এবং দুইজন ওয়াকীল তাকে তালাক কথা তার কাছে এসে বলে। তারপর তিনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে অভিযোগ করলেন। তারপর তাকে ইদ্দত পালন করতে বললেন।অতঃপর যখন তার ’ইদ্দতকাল শেষ হবে, তখন রাসুল (সাঃ) কে জানাতে বলেছে।তারপর তার ’ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার পর রাসুল (সাঃ) কে জানিয়েছিলেন।

হুজুর ডা: কাবিরুল ইসলাম যে ফতোয়ার আলোকে বলেছেন এবং ওনার কথা সহিহ হাদিস এর সাথে মিল আছে। 

 

তারপরও আমি জানতে চাই ওনার কথা গুলা কি যুক্তিযুক্ত?? এবং ওনার কথার দ্বারা আমল করা যাবে??? উনি যেহেতু সহিহ হাদিছ বা আহলে হাদিসের হুজুর ওনার কথা অনুযায়ী আমল করতে পারবো???

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রীর অগোচরে বা স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক দিলেও সেটা পতিত হবে। স্বামী তার স্ত্রীর অগোচরে বা স্ত্রীকে না জানিয়ে যখনই তালাক দিবে,তখন থেকেই ইদ্দত শুরু হয়ে যাবে।
 
الدر المختار: (520/3، ط: دار الفکر)
(ومبدأ العدة بعد الطلاق و) بعد (الموت) على الفور وتنقضي العدة وإن جهلت المرأة بهما أي بالطلاق والموت لأنها أجل فلا يشترط العلم بمضيه سواء اعترف بالطلاق أو انكر.

البحر الرائق: (157/4، ط: دار الكتاب الاسلامي)
(قوله: ومبدأ العدة بعد الطلاق والموت): يعني ابتداء عدة الطلاق من وقته وابتداء عدة الوفاة من وقتها سواء علمت بالطلاق والموت أو لم تعلم، حتى لو لم تعلم ومضت مدة العدة فقد انقضت؛ لأن سبب وجوبها الطلاق أو الوفاة فيعتبر ابتداؤها من وقت وجود السبب كذا في الهداية


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...