আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
497 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
ওয়াদা করা হয়েছে কিন্তু এখন সময় খুব কম তাকে কি না বলে দিবো

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
জবাবঃ-
এসাইন্টমেন্ট যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত থাকে,তা ছাত্রদের মেধা যাচাই ইত্যাদির জন্য নির্ধারণ করা হয়, বিষয়টা যখন এমন তাই উক্ত এসাইন্টমেন্টকে ছাত্ররা নিজেরাই করবে। অন্যকোথাও থেকে তা লেখিয়ে আনা যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাহলে তা ধোকা হবে। চায় টাকার বিনিময়ে হোক বা এমনিতেই হোক। উক্ত পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির জন্য তা লিখে দেওয়া কখনো বৈধ হবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏ
ِ তরজমাঃ সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। সূরা মায়েদা-২;
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে নেকীর কাজে সাহায্য- সহযোগিতা করা হবে। অন্যায়-ধোকা তথা গোনাহের কোনো কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

আরেকটি প্রশ্নোত্তর দেখুন-
আসসালামু আলাইকুম, শাইখ Emdad Haque
আচ্ছা এক্ষেত্রে কি এমনটা হতে পারে যে, আমার সাথে কারো চুক্তি হয়েছে একটি Assignment এর কাজ করে দেয়ার। আমি জানি যে সে এটি নিজ নামে ব্যবহার করবে Grade পাওয়ার জন্য যেটা কারচুপি হবে বা ধোঁকা দেয়া হবে। কিন্তু আমার সাথে তার চুক্তি শুধু কাজ করে দেয়ার। সে এই কাজ নিয়ে কি করবে না করবে শুধুই কি তার ব্যাপার হবে?
এক্ষেত্রে আমার এক বন্ধু বলেছিল ব্যাপারটি নাকি ছুরি বিক্রির মত হবে। যে ছুরি ক্রয় করছে, ব্যবহার তার উপর। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে যদি আমি জানি যে কেউ ছুরি ক্রয় করছে শুধু কাউকে অনৈতিকভাবে হত্যার জন্য তবে তার কাছে ছুরি বিক্রির জন্য কি আমার দায়বদ্ধতা থাকবে না?
লেনদেনের দিক থেকে এটা হারাম হওয়ার কারণগুলো বললে বুঝতে সুবিধা হত।
জাযাকাল্লাহু খাইরান শাইখ।

সমাধানঃ-
(وجاز بيع العصير من خمار)؛ لأن المعصية لا تقوم بعينه بل بعد تغيره بخلاف بيع السلاح من أهل الفتنة؛ لأن المعصية تقوم بعينه فيكون إعانة لهم، وتسبيبا، وقد نهينا عن التعاون على العدوان والمعصية؛ ولأن العصير يصلح الأشياء كلها جائز شرعا فيكون الفساد إلى اختياره.
আঙ্গুরের রস বিক্রয় করা জায়েয, কেননা রসে কোনো গোনাহ নেই,বরং রস পরিবর্তিত হয়ে যখন মদ হবে তখনই তাতে গোনাহ সংযোক্ত হবে।তবে ফেৎনা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের হাতে অস্র বিক্রয় জায়েয হবে না।কেননা সয়ং অস্রতে গোনাহ নিমজ্জিত রয়েছে।(অর্থাৎ অতিরিক্ত কোনো পরিবর্তন না করে উক্ত অস্র দ্বারাই গোনাহ সংগঠিত  হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে গোনাহের কাজে সাহায্য করা হয়ে যাবে বা উক্ত অস্র বিক্রি গোনাহ সংগঠনের কারণ বনে যাবে(যা হারাম)।অথচ সীমালঙ্ঘন করা এবং গোনাহর কাজ করা বা তাতে সহযোগিতা করা থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।আঙ্গুরের রস দ্বারা বৈধ অনেক কিছুই বানানো যায়, সুতরা উক্ত রস দ্বারা কৃতকর্মের উপরই হুকুম আরোপিত হবে।
তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব,৬/২৮আল-মাতবাআতুল কুবরা আল-আমিরিয়্যাহ মিশর,কর্তৃক১৩১৩হিজরীতে প্রকাশিত।

তবে যদি এমন না হয়,তথা বিষয়টা উন্মোক্ত থাকে,এরকম নিয়ম থাকে যে,যে কেউ লিখে দিতে পারবে,তাহলে আপনি লিখে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...