আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।বউয়ের হায়েজ থাকে ৩দিন ব্লিডিং হই আর এক দুই দিন হইত হুলুদ বা নাল্টা স্রাব থাকে।হাসবেন্ড দূরে থাকাই যখন আসছে তখন বউ না করতে পারে নাই।তারা জানে এই অবস্থায় করতে হই না।কিন্তু করলে যে কাফফারা দিতে হই তা জানে না।৪,৫ বার এমন হইছে।ব্লিডিং অফ হওয়ার পর ৬ দিনের দিন করছে।তখন ব্লাড ছিল না।কিন্তু করার পর একটু ব্লিডিং হইছে।আবার অনেক সময় ব্লিডিং ছিল না কিন্তু স্রাব একদম সাদা  হই নাই।এই অবস্থায় করা হইছে।আবার হইত কোন স্রাব ই হই হই নাই করার সময় দেখছে হাসবেন্ড এর গোপনাজ্ঞে হলুদ স্রাব বরছে।এখন তাদের মনে হইতেছে ৪,৫ বার এমন হইছে।
ক।এখন কয় বার কাফফারা  দিতে হবে? অর্ধ দিনার সমান কত টাকা।

খ।হাসবেন্ড এর ইনকাম ভাল না।সংসার ই চলে না।তাহলে যেদিন দিতে পারব তখন দিলেই হবে?

গ। কাফফারা আদায় না করলে কি বউ হারাম হবে?

ঘ।কাফফারা আদায় না করলে এর শাস্তি কি?তওবা করে আর এসব না করলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?
২।হাসবেন্ড অধিকার দেওয়া বুজে না এই মাসালায় জানে না।বউ ও এসব মাসালা জানত না।এখন হাসবেন্ড এর কথাই যদি অধিকার পাইয়া থাকে কিন্তু যে সময় হাসবেন্ড অধিকার মত কথা বলছে তা হাসবেন্ড জানে না যে আই কথা বললে অধিকার দেওয়া বুজাই বা মেয়েদের আবার অধিকার আছে। আর বউ ও জানত না যে সে অই কথাই অধিকার পাইছে। এখন বউয়ের কোন কথায় যদি তালাক হওয়ার মত কিছু ঘটে তাহলে কি তা...হবে?.হাসবেন্ড বউ কেও জানে না যে বউ অধিকার পাইছে।এসব মাসালা তারা জানত না।এখন মাসালা জেনে বুজতে পারছে হাসবেন্ড  এর অই কথাই বউ অধিকার পাইছিল।তাহলে জা জানার দরুন তাদের কি তা.. হবে??বউ জানত না তার অধিকার আছে।হাসবেন্ড ও জানত না বউকে কোন কথায় অধিকার দেওয়া হইছে।


৩।হাসবেন্ড যদি বলে তুমারে দিয়া লাভ কি।প্রিয় মানুসের দিকে তাকিয়া শান্তি না লাগলে প্রিয় মানুষ থাইকা লাভ কি।এসব কি কেনায়া বাক্য।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হায়েজ অবস্থায় (পিরিয়ড চালাকালিন সময়)  স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর দরুন মারাত্মক গুনাহ হয়েছে। লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে এর জন্য খালেস দিলে তওবা করতে হবে,এবং ভবিষ্যতে আর এহেন গুনাহ করবেনা মর্মে মহান আল্লাহর কাছে ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে।

হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা। সুতরাং কাফফারা আদা না করলেও স্ত্রী হালালই থাকবে।

(০২)
এক্ষেত্রে স্পষ্ট বাক্যে তালাকের অধিকার দিলে তালাক হয়ে যাবে।

আর অস্পষ্ট বাক্যে তালাকের অধিকার দিলে তালাক হবেনা।

(০৩)
এসব কেনায়া বাক্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...