আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি অনলাইনে মধু, খেজুর এসব সেল করি মাঝে মাঝে। আমি আমার সেল করার ধরনটা বলছি -

আমার এক পরিচিত ভাইয়া রয়েছেন, যিনি এসব নিজে সংগ্রহ করেন। তো আমি ভাইয়ার কাছে আগে জেনে নেই কোন প্রডাক্টের কত দাম। উনি আমাকে কত দামে জিনিস গুলো দিবে,  এবং জিনিস গুলো এভেলএবল আছে কিনা। এসব কিছু জেনে নেয়ার পর আমি আমার সোশাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে পোষ্ট করি। যেমন - লিচু ফুলের মধু ৪৫০টাকা কেজি, লাগলে ইনবক্স করুন।
এর পর ওডার পেলে এবং তা কনফার্ম  হওয়ার পর,  আমি ভাইয়ার থেকে প্রডাক্ট গুলো কিনে নেই,  এবং গ্রাহকদের কাছে কুরিয়ার করে পাঠাই।
কখন কুরিয়ার পাওয়ার পর ক্লাইন্টদের থেকে টাকা নেই। আবার কখন প্রডাক্ট কুরিয়ার করার আগে পেমেন্টা নিয়ে থাকি।
তো এই ভাবে জিনিস গুলো বিক্রি করা সঠিক হবে কি?
এক জায়গায় দেখেছিলাম, নিজের মালিকানা জিনিস না থাকলে তা বিক্রি করা যাবেনা।
তো এখানে জিনিস গুলো মালিকানা প্রথমে আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে থাকে। পরে আমি পোষ্ট করে অডার পেলে, সেই পরিমান জিনিস তার থেকে কিনে নিয়ে গ্রাহক কে ডেলিভারি দেই।
যার থেকে জিনিস গুলো নেই,  অনেক সময় তাকে সঙ্গে সঙ্গেই টাকা দেই, তার প্রডাক্ট নেয়ার সময় ,  কখনওবা কিছুদিন পরে দেই।

ইন শা আল্লাহ  এবিষয়ে জানাবেন, এবাবে বিক্রি জায়েজ হবে কিনা।?
যদি জায়েজ না হয়, তাহলে কোন সুরতে বিক্রি করলে জায়েজ হবে।

এই বিষয়ে জানার জন্য কোন কিতাব থাকলে জানাবেন ইন শা আল্লাহ৷

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
আপনার নিকট উক্ত প্রডাক্ট না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার (হস্তগত হওয়ার) পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। 

★হ্যাঁ, আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যার থেকে সেই প্রডাক্ট ক্রয় করবেন, সেই মালিক তথা আপনার ভাইয়ের পক্ষ থেকে নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তার প্রডাক্ট বিক্রয় করতে পারবেন যদি সেই পন্যের মালিক (আপনক্র ভা আপনাকে তার এজেন্ট নিয়োগ করে। বা আপনার সাথে তার এই চুক্তি হয়।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

https://ifatwa.info/60300/


★অথবা আপনি পন্য আগেই ক্রয় করে তারপর ক্লাইন্ট দের অর্ডার কনফার্ম করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...